ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২০ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২

কোটি টাকার স্লুইস গেট পরিত্যক্ত

স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর

প্রকাশিত: ২০:৫২, ১৬ মার্চ ২০২৫

কোটি টাকার স্লুইস গেট পরিত্যক্ত

দিনাজপুর : চিরিনদী খালের ওপর নির্মিত স্লুইস গেট এক যুগ ধরে অকেজো

অপরিকল্পিতভাবে তৈরি করা চিরিনদী খালের ওপর নির্মিত স্লুইস গেটটি দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময় ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলায় এটি এখন কৃষকসহ কারও কাজে আসে না। দীর্ঘদিন ধরে অ-ব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকায় চুরি হয়েছে স্লুইস গেটটির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ। গেটটি অকেজো হওয়ায় নদী পারাপারে কৃষকরা কৃষিপণ্য আনা নেওয়ায় ভোগান্তিতে পড়ছেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কারও কোনো নজর নেই বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

কত সালে এটি তৈরি হয়েছে সংশ্লিষ্টরা সঠিকভাবে তা বলতে পারেননি। তবে স্লুইস গেটটি সম্ভবত ২০১০ সালের দিকে ১ কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে তৈরি করা হয়েছিল বলে জানান নির্মাণ পরবর্তী বর্ষার সময়ে নদীর পানি বেশি হলে, একপাশে মাটি সরে পানি চলে যাওয়ায়, নদীর মাঝখানে স্লুইস গেটটি রয় যায়। এরপর থেকে স্লুইস গেটটি এখনো পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, চিরিনদীতে কৃষকের সেচ সুবিধার জন্য শুষ্ক মৌসুমের পানি আটকে আলু, ভুট্টা, রসুন, সরিষা ও বোর ধান ক্ষেতে কম খরচে পানি দেওয়ার জন্য এলজিইডি একটি অপরিকল্পিত স্লুইস গেট নির্মাণকাজ শুরু করে। নির্মাণকাজ শেষে শুধু সংযোগ সড়কের জন্য দুই পাশে মাটি দিয়ে ভরাট করে দেওয়া হয়। পরবর্তী সময় বর্ষাকালে নদীর পানি বেশি হলে একপাশে মাটি সরে পানি চলে যায়। ফলে স্লুইস গেটটি পরিত্যক্ত হয়ে যায়।
স্থানীয় কৃষক সুবল রায় বলেন, সরকারি প্রকল্পে স্লুইস গেট তৈরি করা হয়েছিল, যাতে কৃষক জমিতে পানি দিতে পারে। কিন্তু এটি নদীর মাঝেখানে ছোট করে তৈরি করায়, কোনো কাজে আসে না। দীর্ঘ ১০ থেকে ১২ বছর ধরে তা অ-ব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে। অনেক জিনিস চুরি হয়েছে। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এটির প্রতি কর্তৃপক্ষের কোনো নজর নেই। স্লুইস গেটটি অপরিকল্পিতভাবে ছোট করে তৈরির কারণে এ অবস্থা। আমার চাই এটি সঠিক পরিকল্পনা করে গেটটি আবার মেরামত করা হোক।
এ বিষয়ে এলজিইডির চিরিরবন্দর উপজেলা প্রকৌশলী মাসুদার রহমান জানান, জগন্নাথপুর পূর্ব সাঁইতাড়া গ্রামে চিরিনদীতে দীর্ঘদিন আগে স্লুইস গেটটি তৈরি করা হয়েছে। গেটটি ছোট করে নির্মাণ করা হয়। নদীটি বড় হওয়ার কারণে সেখানে বর্ষার সময় পানি আটকে থাকে না। তাই নদীর পাড় ভেঙে পানি চলে যায়। সেখানে একটি সেচ কমিটি আছে। তারা আমাদের কাছে সঠিকভাবে আবেদন করলে, বিষয়টি নিয়ে নতুন করে পরিকল্পনা করা হবে।

×