ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১২ মাঘ ১৪৩১

১১ বছর পর শিবিরকর্মীর কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন, মিলল গুলি

প্রকাশিত: ২০:২৯, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

১১ বছর পর শিবিরকর্মীর কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন, মিলল গুলি

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভায় আওয়ামী লীগ ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিতে নিহত শিবিরকর্মী মতিউর রহমান সজিবের মরদেহ ১১ বছর পর কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। এ সময় কবরের মাটির মধ্যে একটি গুলিও পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে বসুরহাট পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের নয়ন হাজী বাড়ির পারিবারিক কবরস্থান থেকে মরদেহটি উত্তোলন করা হয়। উত্তোলনের সময় বিপুল সংখ্যক উৎসুক জনতা ঘটনাস্থলে জড়ো হন।

মরদেহ উত্তোলনের সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাবেল উদ্দিন, কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মঈনুল হোসেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির অধ্যক্ষ বেলায়েত হোসেন, পৌরসভা আমির মাওলানা মোশাররফ হোসাইন, সেক্রেটারি মাওলানা হেলাল উদ্দিন এবং নিহতের পরিবারের সদস্যরা।

জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভায় বিক্ষোভ মিছিলে জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে চারজন নিহত হন।

নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগ নেতা ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই এবং বসুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র আবদুল কাদের মির্জাসহ ১১২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়। আদালতের নির্দেশে মামলার তদন্তের জন্য নিহত চারজনের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলনের নির্দেশ দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার প্রথম পর্যায়ে মতিউর রহমান সজিবের মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। কবর থেকে গুলি পাওয়া যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাবেল উদ্দিন।

মামলার বাদী মো. আমিরুল ইসলাম বলেন, 'আমার ভাই সাইফুল ইসলামসহ চারজনকে কাদের মির্জার নেতৃত্বে প্রশাসনের সহযোগিতায় গুলি করে হত্যা করা হয়। ঘটনার পর আমরা দীর্ঘ ১১ বছর ধরে বিচার চাইতে গিয়েও প্রভাবশালীদের কারণে কোনো বিচার পাইনি। এখন আমরা নৃশংস হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।'

সূত্র জানায়, পর্যায়ক্রমে বাকি তিনজন নিহত জামায়াত-শিবির কর্মীর মরদেহও উত্তোলন করা হবে।

এম.কে.

×