অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে প্লাবিত গ্রাম। ছবি: জনকণ্ঠ
ঘূর্ণিঝড় রেমাল এর প্রভাবে আজ রবিবার সকালে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দুর্গম ঢাল চর ও চর কুকরি মুকরি বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চল অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। জোয়ারের অন্তত ৫ ফুট পানিতে প্রায় ২০ হাজার লোক পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
ঢাল চর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুস সালাম জানান, তার ইউনিয়নের কোন আশ্রয় কেন্দ্র নেই। সেখানে জোয়ারে পানিতে প্রায় ১২ হাজার লোক পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে। এছাড়াও কুকরি মুকরি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল হাসেম জানান, তাঁর এলাকায় বেড়িবাঁধের বাইরে প্রায় ৭ হাজার লোক পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে। অনেক আশ্রয় কেন্দ্রে আসছে। তাদের শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।এদিকে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সকাল থেকে হালকা বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া বইতে শুরু করেছে। পাশাপাশি উত্তাল হয়ে উঠেছে মেঘনা নদী। ইতিমধ্যে নদী ও সাগর তীরবর্তী এলাকায় থাকা মাছ ধরা ট্রলারগুলো নিরাপদে সরিয়ে আনার জন্য স্বেচ্ছাসেবক কোষ্টগার্ড সতর্ক বার্তা প্রচার করেছে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৈরী আবহাওয়ার কারণে শনিবার সন্ধ্যা থেকে ভোলা-লক্ষ্মীপুর নৌ-রুটের লঞ্চ ও ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। এদিকে জেলে ও নদীর তীরবর্তী দুর্গম এলাকায় মানুষের মাঝে আতঙ্ক ও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় রেমাল আঘাত হানতে পারে এমন আশঙ্কায় সতর্কাবস্থায় রয়েছে প্রশাসন। ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় শনিবার রাতে 'জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি' জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইতোমধ্যে জেলার ৮৬৯টি আশ্রয় কেন্দ্র ও ১৪টি মুজিব কিল্লা প্রস্তুত করা হয়েছে। ১৩ হাজার ৮৬০জন সিপিপির স্বেচ্ছাসেবক সদস্য ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় মাঠে কাজ করছে। গঠন করা হয়েছে মেডিকেল টিম ও ৮টি কন্ট্রোল রুম।
ভোলা জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান জানিয়েছেন, দুর্গম চরাঞ্চল এলাকার প্রায় ১২ হাজার লোককে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে।
এসআর