ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

বরিশালে দোকানিরা হিমশিম খাচ্ছেন

খোকন আহম্মেদ হীরা

প্রকাশিত: ০১:২০, ৫ এপ্রিল ২০২৪

বরিশালে দোকানিরা হিমশিম খাচ্ছেন

অর্নামেন্ট দেখছেন এক ক্রেতা

আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে বরিশাল নগরীর ঈদ বাজার জমজমাট হয়ে উঠেছে। এতে করে বিক্রেতারাও বেশ খুশি। একইসঙ্গে নগরীর পোশাক তৈরির টেইলার্সগুলো বন্ধ করে দিয়েছে পোশাক তৈরির অর্ডার নেওয়া। সবমিলিয়ে ক্রেতাদের চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন বিক্রেতারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিগত ১৫ রমজানের পর থেকেই ক্রেতা আকর্ষণে নানা সাজসজ্জা আর বিভিন্ন প্রকার প্রস্তুতি শুরু করেছে জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও নগরীর খুচরা ও পাইকারি পোশাক বিক্রেতারা। ছোট-বড় মার্কেট, স্বনামধন্য বিদেশী শোরুম ও শপিংমলগুলোর ভেতরে পোশাকের সমাহার আর বাহিরে রং-বেরংয়ের বাতিতে ঝলমল করছে সর্বত্র। উৎফুল্ল ক্রেতাদের জমজমাট কেনাকাটায় জমে উঠেছে মার্কেটগুলো। ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আনা নিত্যনতুন কালেকশন নিয়ে পসরা সাজিয়েছে ফ্যাশন হাউস ও মার্কেটগুলো।
গৃহকর্তারা পরিবার পরিজন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে কেনাকাটায়। যা চলছে মধ্যরাত পর্যন্ত। এছাড়াও সু-স্টোরস্গুলোতে চলছে বিকিকিনি। পোশাক তৈরি করা টেইলার্সগুলোতে প্রচুর ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। বড় বড় টেইলার্সগুলো কাপড় তৈরীর অর্ডার নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন।
ঈদের পোশাক ক্রয় করতে নগরীর চকবাজারে আসা বিএম কলেজের ছাত্রী জেসিকা আহম্মেদ জুঁই, গৃহিণী মমতাজ বেগম, ফেরদৌস জাহান আঁখি বলেন, এ বছর রোজা শুরুর দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে বেশ কয়েকবার নগরীর একাধিক মার্কেটঘুরে ঈদের শপিং করেছি। কিন্তু চলতি বছর ঈদের সব জিনিসপত্র ও পোশাকের দাম গতবারের চেয়ে তিন থেকে চারগুণ বেশি। নগরীর চকবাজার এলাকার স্বদেশী বস্ত্রণালয়ের স্বত্বাধিকারী মৃণাল কান্তি সাহা বলেন, ক্রেতারা নিত্য-নতুন ডিজাইনের পোশাক ও শাড়ি কিনছেন।

নগরীর চকবাজার, ভেনাস মার্কেট, সদর রোড, হেমায়েত উদ্দিন রোড, সোবাহান কমপ্লেক্স, ফকির কমপ্লেক্স, শপিংমলগুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। এছাড়াও সিটি মার্কেট ও মহসিন মার্কেটে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের ক্রেতাদের ভিড় ছিল লক্ষণীয়। এ বছর ঈদকে ঘিরে নগরীর মার্কেটগুলোতে বিদেশী পোশাকের সঙ্গে সঙ্গে দেশী পোশাকের সমারোহ রয়েছে বেশ। ঈদ মার্কেটে পুরুষের কাছে পাঞ্জাবির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার জিহাদুল কবির বিপিএম সেবা, পিপিএম জনকণ্ঠকে বলেন, ঈদ বাজারে ক্রেতা ও ব্যবসায়ীদের নিñিদ্র নিরাপত্তা দিতে ও যানজটমুক্ত রাখতে মেট্রোপলিটন পুলিশ সদস্যরা সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছে। পাশাপাশি নগরীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে ইতোমধ্যে পুরো নগরীজুড়ে ২৬০টি সিসি ক্যামেরা স্থাপনের মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টা নগরীকে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

ফুটপাতে উপস্থিতি বেশি ॥ ঈদুল ফিতরকে ঘিরে নগরীর নামি-দামি শপিংমলের চেয়ে ফুটপাতে ক্রেতাদের উপস্থিতি বেশি লক্ষ্য করা গেছে। ক্রেতাদের দাবি, তুলনামূলকভাবে বরিশালে পোশাকের দাম গতবারের চেয়ে ৩/৪ গুণ বেশি। তাই তারা পরিবারের সদস্যদের চাহিদা মেটাতে অনেকটা কমদামে ফুটপাতের দোকানগুলো থেকে ক্রয় করতে বাধ্য হয়েছেন।
সরেজমিনে নগরীর চকবাজার, সদররোড, কাঠপট্টি এলাকার নামি-দামি প্রতিষ্ঠানগুলো ছাড়াও সিটি করপোরেশনের সামনের ফুটপাতের দোকান, হাজী মোহাম্মদ মহসিন হকার্স মার্কেট ও সিটি মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, নামি-দামি বিপণি বিতানের তুলনায় ফুটপাতের দোকানগুলোতে ক্রেতা সমাগম দিনে দিনে বৃদ্ধি পেয়েছে। আর বেচাবিক্রিও ভালো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
খোকন আহম্মেদ হীরা, বরিশাল

×