ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ০৯ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২

চালু হলো গোসাইগাট-পট্টি নদী বন্দর

প্রকাশিত: ২২:৩০, ৭ নভেম্বর ২০২৩

চালু হলো গোসাইগাট-পট্টি নদী বন্দর

আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন নৌ-প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল ও নৌ-পথের বাণিজ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে শরীয়তপুরের গোসাইগাটে স্থাপন করা হয়েছে নতুন বন্দর ‘গোসাইগাট-পট্টি নদী বন্দর। এই বন্দরটি শরিয়তপুরের জয়ন্তি নদী অববাহিকায় পট্টি, হাটুরিয়া ও ডামুড্যা লঞ্চঘাটের পন্যবাহী কার্গো ও লঞ্চ পরিচালনার জন্য নির্মাণ করেছে অভ্যন্তরীন নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। 

মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) শরিয়তপুরে নবঘোষিত ‘গোসাইগাট-পট্টি নদী বন্দর’র কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন নৌ-প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। 

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে নৌ-প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘শরীয়তপুরসহ আশপাশের অঞ্চলের অর্থনীতির জন্য গোসাইরহাট-পট্টি নদীবন্দর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। দেশের অর্থনীতি যেহেতু ব্যাপক এগিয়ে যাচ্ছে সেখানে গোসাইরহাট ও শরীয়তপুরের এই অঞ্চল পিছিয়ে থাকবে না। ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে পায়রা, মংলা, চট্টগ্রাম ও মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর-সব কিছুর সাথে এই নৌপথ যুক্ত থাকবে। এই এলাকার আগামী দিনের অর্থনীতির ক্ষেত্রে এই বন্দরটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া, রূপসা থেকে পাথুরিয়া পর্যন্ত অভাবনীয় উন্নয়ন হয়েছে। আগে বাংলাদেশের মানুষের সম্মান ছিল না। শেখ হাসিনার সময়ে দেশের মানুষের সম্মান ও মর্যাদা বৃদ্ধি পেয়েছে।’

বিআইডব্লিউটিএ’র সূত্র জানায়, শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট উপজেলা এবং পৌরসভা সংলগ্ন জয়ন্তী নদীর অববাহিকায় বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃক স্থাপিত পট্টি নদী বন্দরের সংরক্ষক বিআইডব্লিউটিএ। গোসাইরহাট-পট্টি নদী বন্দর এলাকাটি গোসাইরহাট উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত। গোসাইরহাট-পট্টি নদী বন্দর এলাকার গোসাইরহাট-পট্টি লঞ্চঘাট থেকে বর্তমানে ঢাকা-চাঁদপুর-হাটুরিয়া-পট্টি-ডামুড্যা নৌপথে এবং ঢাকা-হাটুরিয়া-পট্টি-ডামুড্যা নৌপথে প্রতিদিন ৩টি করে মোট ৬টি দোতলা লঞ্চ  চলাচল করে। গোসাইরহাট-পট্টি লঞ্চঘাট থেকে প্রতিদিন প্রায় ২০-৩০টি ট্রলার যোগে বিভিন্ন ধরনের মালামাল চাঁদপুর এবং স্থানীয় চরাঞ্চলে পরিবহন করে থাকে। চলতি ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে পট্টি, হাটুরিয়া ও ডামুড্যা লঞ্চঘাট থেকে ইজারার মাধ্যমে সরকারের ১৮ লক্ষ টাকা আয় হয়েছে।

খালিদ মাহমুদ বলেন, ‘সমগ্র পৃথিবীর সভ্যতা গড়ে উঠেছে  নদীর অববাহিকায়, প্রান্তিক পর্যায়ে এই এলাকাগুলো এখানে ব্যবসা-বাণিজ্যের মূল জায়গাটা হচ্ছে নৌপথ। এই নৌপথ যাত্রীদের থেকেও ব্যবসা-বাণিজ্য যোগান দিবে বেশি। যখন নদীবন্দর হয়ে যাবে তখন বিআইডব্লিউটিএ চ্যানেল ঠিক করার জন্য সার্বক্ষণিক কাজ করে যাবে। আমরা অনেকগুলো ড্রেজার সংগ্রহ করেছি, বাংলাদেশে এখন অনেকগুলো ড্রেজার আমাদের সংরক্ষণে আছে সরকারি পর্যায়ে এবং বেসরকারী পর্যায়ে। নৌপথ সচল রাখতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ আছে। ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ খনন কার্যক্রমের মধ্যে এই নৌ পথটি একটি। নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় চায় নদী কেন্দ্রিক এই জেলার মানুষ সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা যেন পায় সেই জায়গাটা আমরা তৈরি করতে চাই, তারও একটি অংশ এই নদী বন্দর। ভবিষ্যতে বিআইডব্লিউটিএ এর আরো অনেক কার্যক্রম আমরা এই শরীয়তপুরে দেখতে পারব। ভবিষ্যতেও এই নদী বন্দরকে পূর্ণাঙ্গ করতে যা যা দরকার তা আমরা করবো। ’

বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমোডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শরীয়তপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি) মো. আখতার হোসেন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (সিনিয়র সচিব) নির্বাহী সচিব শেখ ইউসুফ হারুন ও শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নিজাম উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।

আকাশ

×