ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

নড়াইল জেলা

মনোনয়ন ঘিরে বিভেদ বড় দুই দলেই

রিফাত-বিন-ত্বহা, নড়াইল

প্রকাশিত: ০০:২১, ১৭ অক্টোবর ২০২৩

মনোনয়ন ঘিরে বিভেদ বড় দুই দলেই

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আওয়ামী লীগের দুর্গ হিসেবে পরিচিত নড়াইলে

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আওয়ামী লীগের দুর্গ হিসেবে পরিচিত নড়াইলের দুটি আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে। জেলায় বইছে নির্বাচনী হাওয়া। নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে, ‘অতিথি পাখি’ হিসেবে পরিচিত মনোনয়নপ্রত্যাশীদের তৎপরতা ততই বাড়ছে। নির্বাচনী নানা হিসাব-নিকাশের মধ্যেও ভেতরে ভেতরে জোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন বিএনপির নেতারাও। জোট-মহাজোটের মনোনয়ন লাভের আশায় কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখার পাশাপাশি নিজ সংসদীয় আসনে গণসংযোগ অব্যাহত রেখেছেন মনোনয়নপ্রত্যাশীরা।
তিন উপজেলা নিয়ে গঠিত নড়াইলে দুটি সংসদীয় আসন। আওয়ামী লীগ চাচ্ছে আগামী নির্বাচনেও আসন দুটি ধরে রাখতে। অন্যদিকে বিএনপি মরিয়া দখলে নিতে। তবে এবারের নির্বাচনে জেলা এবং তৃণমূলের মতামত উপেক্ষা করে প্রার্থী মনোনয়ন দিলেই আওয়ামী লীগকে বড় ধরনের সংকটে পড়তে হতে পারে বলে স্থানীয় নেতাকর্মীদের দাবি।
মাঠ পর্যায়ের নেতাদের সাফ কথা বহিরাগত কোনো প্রার্থীকে কেউই মেনে নেবে না। মনোনয়ন দিতে হবে স্থানীয়দের মধ্যে যোগ্য এবং জনপ্রিয় নেতাদের। নেতৃত্ব ও তৃণমূল পর্যায়ে নড়াইল-২ আসনে আওয়ামী লীগের কোন্দল এখন প্রকাশ্য। অন্যদিকে নড়াইল-১ আসনের চিত্র একেবারেই ভিন্ন। আওয়ামী লীগের কোন্দল এড়াতে শেষ পর্যন্ত নড়াইলের একটি আসনে এবার নৌকার মাঝি হিসেবে নতুন মুখ দেখা যেতে পারে- এমন গুঞ্জন রয়েছে। নড়াইলের দুটি সংসদীয় আসনে
১৯৯১ সাল থেকে এ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিজয়ী হয়ে আসছেন। আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ চায় বিজয়ী হয়ে তাদের ঐতিহ্য ধরে রাখতে। দুটি আসনে আওয়ামী লীগের ১০/১২ জননেতা সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে দলীয় মনোনয়ন বাগাতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করলেও বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী প্রার্থীর সংখ্যা কিছুটা কম। এ কারণে ক্ষমতাসীন দলটিকে যোগ্য প্রার্থী বাছাইয়ে সমস্যায় পড়তে হতে পারে। সে ক্ষেত্রে বিএনপি কিছুটা সুবিধাজনক অবস্থায় থাকলেও যোগ্য প্রার্থী বাছাইয়ে তাদেরও হিমশিম খেতে হবে। 
সরকারের মেয়াদ প্রায় শেষ হতে চললেও আওয়ামী লীগের নির্বাচিত এমপিদের সঙ্গে জেলার শীর্ষ নেতাদের মধ্যে খুব একটা মিল দেখা যায়নি। নেতায়-নেতায় দ্বন্দ্ব এখনো মেটেনি। সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনগুলোও এখন মূল দলের সঙ্গে এক হয়ে কাজ করতে পারছে না। এতে হতাশ তৃণমূল নেতাকর্মীরা। স্থানীয় নেতাকর্মীদের মতে, আগামী নির্বাচনে দুটি আসনে যোগ্য প্রার্থী মনোনয়নে ব্যর্থ হলে সুযোগ কাজে লাগিয়ে বিজয় ছিনিয়ে নিতে পারে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট।
নড়াইল-১ ॥ এই আসনটি সংখ্যালঘু অধ্যুষিত। সদর উপজেলার পাঁচটি ও কালিয়ার ১৪টি ইউনিয়ন এবং একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত এই আসন। বর্তমান এমপি কবিরুল হক মুক্তি নির্বাচনী এলাকায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কা-ারি হিসেবেই পরিচিত। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী (বিদ্রোহী) হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নির্বাচিত হন কালিয়া পৌর মেয়র ও কালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক কবিরুল হক মুক্তি। 
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে জয়ী হলেও পরে আওয়ামী লীগের এমপি হিসেবে সংসদে যোগ দেন তিনি। ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কবিরুল হক মুক্তি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত হন। সবশেষ একাদশ সংসদ নির্বাচনেও নির্বাচিত হন তিনি। বর্তমান এমপি ছাড়াও আওয়ামী লীগের আরও কয়েক মনোনয়নপ্রত্যাশী লবিং করছেন। এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী যাতে বিজয়ী হন, সেই টার্গেট নিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে নৌকার পক্ষে ভোট চাইছেন এমপি কবিরুল হক মুক্তি।
তবে আসনটি দখলে নিতে বিএনপি তাদের প্রকাশ্য কোনো কর্মকাণ্ড তেমন একটা না চালালেও দলের ভেতরে জোর প্রস্ততি চলছে। তাই এবার নতুন কোনো প্রার্থী মনোনয়ন পাবে কিনা, তা নিয়ে চলছে এলাকায় নানা জল্পনা-কল্পনা।
এমপি কবিরুল হক মুক্তি জনকণ্ঠকে জানান, নির্বাচনী এলাকায় ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ করে সুনাম অর্জন করলেও দলের কতিপয় স্বার্থান্বেষী ব্যক্তি তার বিরোধিতা করে দলের অর্জন নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এ আসনে আমার কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী আছে বলে আমি মনে করি না।
তিনি বলেন, এলাকার মাটি ও মানুষের সঙ্গে আমার সম্পর্ক। কমপক্ষে ২৫/৩০ হাজার নেতাকর্মীর নাম আমার মুখস্থ। তাদের সুবিধা-অসুবিধা, বিপদ-আপদে পাশে থাকি। আগামী নির্বাচন আওয়ামী লীগের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। দলের পরীক্ষিতই ব্যক্তিই মনোনয়ন পাবেন। সেক্ষেত্রে মনোনয়নের ব্যাপারে আমি ইনশাআল্লাহ শতভাগ নিশ্চিত। 
কবিরুল হক মুক্তি ছাড়াও এই আসনে মনোনয়ন চাইবেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান নিজামউদ্দিন খান নিলু ও যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক কাজী সারোয়ার হোসেন।
অপরদিকে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে অনড় থাকা বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে কি না, তা দলের নীতিনির্ধারকদের ওপর নির্ভর করছে বলে জানিয়েছেন জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। তবে দলের একাধিক নেতা মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন। এর মধ্যে আছেন জেলা বিএনপির সভাপতি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম, হলি ফ্যামিলি হাসপাতালের সাবেক পরিচালক ডা. শফিকুল হায়দার পারভেজ, প্রয়াত সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্রনাথ সাহার ছেলে জেলা বিএনপির উপদেষ্টা সুকেশ সাহা আনন্দ এবং জেলা বিএনপির সহসভাপতি সাজেদুর রহমান সুজাসহ কয়েকজন। এদের মধ্যে জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সভাপতি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম রয়েছেন শক্ত অবস্থানে। তার সমর্থকদের দাবি, এ আসনে বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলমের বিকল্প কোনো প্রার্থী নেই। জনপ্রিয়তা, অর্থবিত্ত, প্রভাব সবকিছুই বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলমের আছে। জাহাঙ্গীর আলমকে নিয়ে দলের নেতাকর্মীরাও আশাবাদী। 
এ বিষয়ে বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম বলেন, দলের নেতাকর্মীদের নামে একাধিক মিথ্যা মামলা রয়েছে। মামলা-হামলার মধ্যে নেতাকর্মীরা রাজনীতির মাঠে আছেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারসহ সুষ্ঠু-সুন্দর পরিবেশ তৈরি হলে আমরা নির্বাচনে যাব। নড়াইল জেলা জাতীয় পার্টির (এরশাদ) সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মিল্টন মোল্যার নামও প্রার্থী হিসেবে শোনা যাচ্ছে।
নড়াইল-২ ॥ এই আসনে নেতৃত্ব ও তৃণমূল পর্যায়ে আওয়ামী লীগের অন্তর্কোন্দল ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। কোন্দল এড়াতে শেষ পর্র্যন্ত এই আসনে এবার নৌকার মাঝি কে হচ্ছেন তা নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে। এই আসনে বর্তমান এমপি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। আগামী নির্বাচন সামনে রেখে তিনি নির্বাচনী এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন। 
এমপি মাশরাফিসহ ১০/১২জন নতুন মুখ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন। সরকারের মেয়াদ প্রায় শেষ হতে চললেও মাশরাফির সঙ্গে জেলার শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের মধ্যে খুব একটা মিল দেখা যায়নি। নেতায় নেতায় বিরোধ এখন অনেকটাই প্রকাশ্য। এতে হতাশ আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগ ছাড়াও জাতীয় পার্টি, ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদসহ ১৪ দলীয় জোটের একাধিক নেতা দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে চান। মাঠে আছেন জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।
নড়াইল-২ আসনটি নড়াইল সদরের একটি পৌরসভা, আটটি ইউনিয়ন এবং লোহাগড়ার একটি পৌরসভা ও ১২টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এ আসনে বারবার আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিজয়ী হলেও ২০১৪ সালের নির্বাচনে ১৪ দলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য অ্যাডভোকেট শেখ হাফিজুর রহমান নৌকা প্রতীক নিয়ে জয়লাভ করেন। এ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা ইতোমধ্যে নির্বাচনী মাঠে নেমে পড়েছেন। বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানে গিয়ে অনুদান দিয়ে জানান দিচ্ছেন নিজেদের প্রার্থিতার কথা। এসব নেতা বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে ব্যানার টানিয়ে, পোস্টার সেঁটে এবং গেট করে ঈদ ও পূজার শুভেচ্ছা জানিয়ে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছেন।
জাতীয় পার্টিসহ অন্য দু-একটি দলের সম্ভাব্য প্রার্থীদের তৎপরতাও কম-বেশি দেখা যাচ্ছে। সব মিলিয়ে এ আসনে নির্বাচনী হাওয়া জোরদার হয়ে উঠেছে। আগামী নির্বাচনে এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী অনেক নেতা রয়েছেন। মাশরাফি নির্বাচনী মাঠ দখলে রেখে বিভিন্ন উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরে প্রচার চালাচ্ছেন। মাশরাফির সঙ্গে রয়েছেন বিভিন্ন ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিসহ তৃণমূলের বড় একটি অংশ। বিশেষ করে তরুণ ভোটারদের প্রধান আকর্ষণ মাশরাফি। সাধারণ ভোটাররাও চান মাশরাফিকে আবারও এমপি হিসাবে দেখতে।

কিন্তু প্রকাশ্যে কেউ বিরোধিতা না করলেও আওয়ামী লীগের একটি অংশ মাশরাফির বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। মনোনয়নের আশায় গণসংযোগ ও সভা-সমাবেশ করছেন সাবেক এমপি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) এসকে আবু বাকের, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন খান নিলু, লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সৈয়দ ফয়জুল আমীর লিটু, সহসভাপতি সৈয়দ আইয়ুব আলী, সহসভাপতি আসিফুর রহমান বাপ্পী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এবিএম আব্দুল্লাহ, সাবেক ছাত্রনেতা হাবিবুর রহমান তাপস, যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শেখ তরিকুল ইসলাম, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার চেয়ারম্যান লায়ন নূর ইসলামসহ অনেকে।
এ ছাড়া জাতীয় পার্টির জেলা সভাপতি ফায়েকুজ্জামান ফিরোজ, ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক এমপি শেখ হাফিজুর রহমানসহ অনেকেই ১৪ দলীয় জোটের মনোনয়নপ্রত্যাশী।
অন্যদিকে, বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম, সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা শরীফ খসরুজ্জামানের ছেলে শরীফ কাসাফুদ্দৌজা কাফি, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শাহরিয়ার রিজভী জর্জ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদসহ অনেকেই। এ ছাড়া জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী হতে পারেন জেলা আমির আতাউর রহমান বাচ্চু, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (ছালু) জেলা সভাপতি মনিরুল ইসলাম, স্বতন্ত্র প্রার্থী একেএম ফজলুল হকসহ অনেকের নাম শোনা যাচ্ছে। 
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবাস চন্দ্র বোস বলেন, উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে জনগণ আবারও নৌকায় ভোট দেবেন।
অন্যদিকে, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠাসহ সুষ্ঠু-সুন্দর পরিবেশ তৈরি হলে নির্বাচনে যাবে বিএনপি। সাধারণ মানুষ যদি ভোট কেন্দ্রে গিয়ে নিজেদের ভোট দিতে পারেন, সে ক্ষেত্রে বিএনপি প্রার্থী বিজয়ী হবেন।

×