ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ০৯ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২

ভাঙনে দিশেহারা ব্রহ্মপুত্র তীরের বাসিন্দারা

নিজস্ব সংবাদদাতা, শেরপুর

প্রকাশিত: ২২:১৭, ১০ অক্টোবর ২০২৩

ভাঙনে দিশেহারা ব্রহ্মপুত্র তীরের বাসিন্দারা

নকলা উপজেলার নারায়ণখোলা এলাকার বিভিন্ন গ্রাম ভাঙনের মুখে

পুরনো ব্রহ্মপুত্র নদের অব্যাহত ভাঙনে দিশাহারা নকলা উপজেলার নারায়ণখোলা এলাকার নদী তীরবর্তী মানুষ। একের পর এক বিলীন হচ্ছে বসতভিটা, আবাদি জমি, মসজিদ, কবরস্থান ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ নানা স্থাপনা। এ বছরের চতুর্থবারের ভাঙনে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে কয়েকটি পরিবার। চলতি বছরের ভাঙনে বিলীন প্রায় দেড়শ’ একর আবাদি জমি ও অন্তত ৫০টি বসতভিটা। এভাবে গত ১৫ বছরে ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনের করালগ্রাসে নিঃস্ব হয়েছে ওই এলাকার শ’ শ’ পরিবার।
নকলা উপজেলার দক্ষিণ নারায়ণখোলা গ্রামের সিরাজ মিয়া ও জহুরুল হকসহ কয়েকজনের সঙ্গে। জহুরুল হক ভাঙন এলাকা দেখিয়ে চোখের পানি মুছতে মুছতে বলেন, এই যে জায়গাটা দেখছেন, এখানে আমার বাবার কবর ছিল। বাবার শেষ ইচ্ছায় নিজেদের ভিটেতেই তাকে কবর দিয়েছিলাম। এর চেয়ে দুঃখের কিছু নাই। উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান সারোয়ার আলম তালুকদার বলেন, এই নদীর ভাঙনে অনেকের বাপ দাদার জমি ভিটা বিলীন হয়েছে। আমরা এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি। পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ শুরু করেছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য মতিয়া চৌধুরীও বিষয়টা জানেন। আশা করছি দ্রুত এ বিষয়ে স্থায়ী সমাধান আসবে। এ ব্যাপারে শেরপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ইমদাদুল হক বলেন, নকলা উপজেলার নারায়ণখোলা এলাকায় ব্রহ্মপুত্রের ভাঙন মোকাবিলায় এ বছর দু’টি দরপত্রে প্রায় ৮৫ লাখ টাকার ৩৩০ মিটার জরুরি আপৎকালীন কাজের অনুমোদন হয়েছে। শীঘ্রই কাজ শুরু হবে।

×