
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর মাত্র সাড়ে তিন মাস বাকি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর মাত্র সাড়ে তিন মাস বাকি। ইতোমধ্যেই দেশব্যাপী শুরু হয়েছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ। তফসিলের আগেই নিজ নিজ সংসদীয় আসনের সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ বৃদ্ধি করার পাশাপাশি বিভিন্নভাবে ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছেন। ভোটাররাও প্রার্থীদের সম্পর্কে খোঁজখবর নিচ্ছেন। এলাকার উন্নয়নসহ বিভিন্ন কর্মকা-ে কোন প্রার্থী বিজয়ী হলে বেশি অবদান রাখতে পারবেন সেদিকে দৃষ্টি রাখছেন ভোটারসহ সর্বস্তরের মানুষ।
সরেজমিন জাতীয় সংসদের ১৭৫ (ঢাকা-২) আসনের বিভিন্ন এলাকায় খ্ঁোজখবর নিয়ে জানা যায়, ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে গ্রুপিংয়ের কারণে বিভক্তি রয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়াকে কেন্দ্র করে বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট মো. কামরুল ইসলামের সঙ্গে কেরানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহীন আহমেদের বিরোধকে কেন্দ্র করে এ বিভক্তি দেখা দিয়েছে। এ কারণে তাদের কর্মী-সমর্থকরা এলাকায় পৃথকভাবে সাংগঠনিক কর্মকা- পালন ও দুজনের ছবি দিয়ে ব্যানার ও পোস্টার সাঁটিয়ে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেছেন।
রাজপথের বিরোধী দল বিএনপিতে বিভক্তি না থাকলেও জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে অনিশ্চয়তা রয়েছে। দল নির্বাচন করবে কি না বা করলেও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান মামলার কারণে প্রার্থী হতে পারবেন কি না এসব বিষয়ে তাদের অনিশ্চয়তা। এই আসনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ছাড়াও তৃতীয় শক্তি হিসেবে রয়েছে গণফোরাম। এলাকার সর্বস্তরের মানুষের কাছে ব্যাপক পরিচিতি থাকায় গণফোরামের সভাপতি মোস্তফা মোহসীন মন্টুরও দুই দলকে টেক্কা দেওয়ার শক্তি ও সামর্থ্য রয়েছে বলে এলাকাবাসী মনে করেন।
জাতীয় সংসদের ঢাকা-২ আসন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫৫, ৫৬ ও ৫৭ নং ওয়ার্ড, কামরাঙ্গীরচর থানা, হাজারীবাগ থানার সাবেক সুলতানগঞ্জ ইউনিয়ন, সাভার উপজেলার আমিনবাজার, তেঁতুলঝোড়া ও ভাকুর্তা ইউনিয়ন, কেরানীগঞ্জ উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন- হযরতপুর, কলাতিয়া, তারানগর, শাক্তা, রোহিতপুর, বাস্তা ও কালিন্দী নিয়ে গঠিত। ১৯৭৩ সালে স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম নির্বাচনের সময় ঢাকা-২ নির্বাচনী এলাকা গঠিত হয়েছিল।
নির্বাচন কমিশন ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনের পূর্বে, ২০০১ সালের আদমশুমারির জনসংখ্যার ওপর ভিত্তি করে সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা পুনর্নির্ধারণ করে। যে কারণে ২০০৮ সালের নির্বাচনে ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় ৭টি নতুন আসন যোগ হয়। এতে ঢাকার আসনসমূহের সীমানা ব্যাপক হারে পরিবর্তিত হয়।
ঢাকা-২ আসন থেকে ১৯৭৩ সালে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের মোসলেম উদ্দিন খান। এর পর ১৯৭৯ সালে বিএনপির আব্দুল হালিম চৌধুরী, ১৯৮৬ সালে আওয়ামী লীগের বোরহান উদ্দিন খান, ১৯৮৮সালে আওয়ামী লীগের (সম্মিলিত বিরোধী দল) বোরহান উদ্দিন খান, তার পর ৩ বার অর্থাৎ ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে বিএনপির আব্দুল মান্নান, এর পর ৩ বার অর্থাৎ ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেট মো. কামরুল ইসলাম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
ঢাকা-২ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট মো. কামরুল ইসলাম। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি প্রার্থী হতে চান বলে জনকণ্ঠকে জানিয়েছেন।
সরেজমিন এই সংসদীয় আসনের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম আবারও নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছেন। এ জন্য তিনি নিয়মিত এলাকায় গিয়ে মানুষের খোঁজখবর নিচ্ছেন, কুশল বিনিময় করছেন এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন।
তবে কেরানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহীন আহমেদও আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ঢাকা-২ আসন থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে আগ্রহী। তাই তিনি এলাকায় গণসংযোগ বৃদ্ধি করেছেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। একই আসনে একই দলের দু’জন সম্ভাব্য প্রার্থী মাঠে সক্রিয় থাকায় এ নিয়ে গ্রুপিং-বিরোধ দেখা দেওয়ায় আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি হয়েছে।
নির্বাচনের আগে এই বিভক্তি দূর করা না গেলে ভোটের ফলাফলে প্রভাব পড়তে পারে বলে এলাকাবাসী জানান। তবে তৃণমূল পর্যায়ের সাধারণ নেতাকর্মী ও সমর্থকরা জানিয়েছেন, দল যাকে মনোনয়ন দেবে তার পক্ষেই তারা মাঠে কাজ করে ভোট দিয়ে বিজয়ী করার চেষ্টা করবেন।
রাজপথের বিরোধী দল বিএনপি নির্দলীয় সরকার ছাড়া নির্বাচনে যাবে না বলে প্রকাশ্যে বললেও বাস্তবে আন্দোলনের পাশাপাশি নির্বাচনের প্রস্তুতিও নিচ্ছে বলে ঢাকা-২ আসনের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান ও তার ছেলে ঢাকা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার ইরফান ইবনে আমান অমির পক্ষে দলের স্থানীয় নেতাকর্মীরা তলে তলে গণসংযোগ করছেন। জানা যায়, মামলাজনিত কারণে আমানউল্লাহ আমান নির্বাচন করতে না পারলে তার ছেলে ইরফান ইবনে আমান অমি নির্বাচন করবেন। একাদশ সংসদ নির্বাচনেও বাবা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে না পারায় ছেলে ইরফান ইবনে আমান অমি নির্বাচন করেন।
ঢাকা-২ আসনের বিভিন্ন পর্যায়ের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গণফোরাম সভাপতি মোস্তফা মোহসীন মন্টু এই এলাকা থেকে আগেও নির্বাচন করেছেন এবারও করতে চান। আওয়ামী লীগের সাবেক প্রভাবশালী নেতা হিসেবে এই এলাকার বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষের সঙ্গে তার যোগাযোগ রয়েছে। তাই নিজের দলের নেতাকর্মীদের সমর্থন থাকার পাশাপাশি এলাকায় ব্যাপক পরিচিতির কারণে তিনি এবারও নির্বাচন করতে চান। তবে তিনি গণফোরামের সভাপতি হলেও বড় কোন রাজনৈতিক জোটের প্রার্থী হতে পারেন বলে এলাকাবাসী জানান।
এছাড়া জাতীয় পার্টির প্রার্থী হতে পারেন দলটির নেতা শাকিল আহমেদ। তিনি এলাকাবাসীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতা মাওলানা জহিরুল ইসলামও এই আসন থেকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা যায়। এ ছাড়া বিভিন্ন দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা এলাকাবাসীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন বলে জানা যায়।
এ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. কামরুল ইসলাম জনকণ্ঠকে জানান, স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসাসহ সর্বক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়নের কারণে সব কিছুই বদলে গেছে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে। শুধু আমার আসন নয় সারাদেশেই একই চিত্র। তবে গেল ৫ বছরে কামরাঙ্গীরচর আমূল বদলে গেছে।
এখানে সিটি করপোরেশনের তিনটি ওয়ার্ড গঠন হয়েছে। হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ এসেছে বেসরকারি খাতে। এই এলাকার সব ভোটারই আমাকে পছন্দ করেন। আগে সাভার থেকে বছিলা পর্যন্ত আসতে ৩-৪ ঘণ্টা সময় লাগত। এখন প্রশস্ত পাকা সড়কের কারণে ১৫ মিনিটেই মানুষ আসতে পারছে বছিলা পর্যন্ত। কেরানীগঞ্জে এমন কোনো স্কুল কলেজ নেই যার উন্নয়ন হয়নি। আগে যে স্কুল দুই তলা ছিল এখন চার-ছয় তলা।
প্রতিটি স্কুলে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিটি উপজেলায় একটি করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করা হলেও আমার এলাকার দু’টো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ হয়েছে। নির্বাচনের প্রস্তুতি ১৬ আনা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমার সলিড ভোট ব্যাংক কামরাঙ্গীরচর ও সাভার। তবে কেরানীগঞ্জ বিএনপি নেতার জন্মস্থান। সেখানে তার কিছু ভোট আছে। স্থানীয় জনগণের সঙ্গে সুসম্পর্ক রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তিন দফা আমি এই এলাকার সংসদ সদস্য। কারও জমিও দখল করিনি, টাকাও মেরে খাইনি।
এদিকে ঢাকা ২ আসনের নৌকা প্রতীকে প্রার্থিতা প্রত্যাশী কেরানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ।
তিনি জনকণ্ঠকে বলেন, নির্বাচনে অংশ নিতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। ২০১৪ সাল থেকেই আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নিজেকে প্রস্তুত করেছি। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে ব্যানার-ফেস্টুন এমনকি পোলিং এজেন্টও ঠিক করে রাখা হয়েছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে একাধিক স্টিয়ারিং কমিটিও আমার পক্ষে কাজ করছে। আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে নিজেকে সবচেয়ে জনপ্রিয় মনে করার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, সকাল থেকে রাত পর্যন্ত জনগণকে সঙ্গে নিয়েই চলছি। তাদের ভালবাসায় আমি এতদূর এসেছি। এই এলাকার মানুষের জন্য অবিরাম পরিশ্রম করছি। এ ছাড়া এই সংসদীয় আসনের রাস্তাঘটের যত উন্নয়ন সব আমার হাত ধরেই হয়েছে।
কেরানীগঞ্জের নারিকেলবাগ এলাকায় কথা হয় সিমেন্ট ব্যবসায়ী মো. বাদল শিকদারের সঙ্গে। তিনি ২৫ বছর আগে এই এলাকায় এসে ব্যবসা শুরু করেন। এখন এ এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে ঢাকা-২ আসনের ভোটার। তিনি জানান, নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় এলাকায় সম্ভাব্য প্রার্থীদের গণসংযোগ শুরু হয়ে গেছে। কে কোন দলের প্রার্থী হচ্ছেন সে বিষয়ে ভোটাররাও খোঁজখবর রাখছেন।
তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কেরানীগঞ্জসহ সারাদেশের যে উন্নয়ন করেছেন, অতীতের কোনো সরকার তা করেনি। বিশেষ করে বর্তমান সরকার পদ্মা সেতু নির্মাণ করায় এখন দক্ষিণাঞ্চলের যে কোনো জেলায় ২ থেকে ৩ ঘণ্টায় যাওয়া যায়। কিন্তু বিএনপি তিনবার ক্ষমতায় থাকলেও দেশের তেমন কোনো উন্নয়ন করেনি। এ এলাকার এমপি কামরুল ইসলাম সুশিক্ষিত ও ভদ্র মানুষ। তিনি এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। তিনি আবারও নির্বাচন করবেন।
এ ছাড়া আওয়ামী লীগ থেকে উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদও নির্বাচন করতে চান। বিএনপি থেকে নির্বাচন করতে চান আমানউল্লাহ আমান। কিন্তু বিএনপি ক্ষমতায় এলে দেশের উন্নয়ন থেমে যাবে। তাই যারা ক্ষমতায় এলে দেশের উন্নয়ন হবে এবং যিনি নির্বাচিত হলে এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়াবেন এমন লোক নির্বাচিত হোক সেটাই আমরা চাই। একই এলাকার শ্রমজীবী নারী হাবুনি বেগম বলেন, বর্তমান সরকার এ এলাকার উন্নয়নে কাজ করায় এখন আর কোনো সমস্যা নেই। তাই এই সরকার আবারও ক্ষমতায় আসুক সেটাই আমরা চাই।
কেরানীগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চল্লিশোর্ধ্ব এক ব্যক্তি জানান, আওয়ামী লীগ থেকে ২ জন গণসংযোগ শুরু করেছেন। এর মধ্যে বর্তমান এমপির বাড়ি বি’বাড়িয়া এবং তিনি থাকেন লালবাগ। আরেকজন এ এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা। আর বিএনপি এখনো সেভাবে গণসংযোগ শুরু করেনি। তবে এলাকায় বিএনপির অনেক সমর্থক রয়েছে। এ ছাড়া গণফোরাম সভাপতি মোস্তফা মোহসীন মন্টুও জনপ্রিয় নেতা।
তাই সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিএনপি থেকে যেই নির্বাচন করুক আওয়ামী লীগের সঙ্গে তার তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। তবে কে বিজয়ী হবে তা নির্ভর করবে ভোটের পরিবেশ কেমন হবে তার ওপর।
কেরানীগঞ্জ উপজেলা সদরের বাসিন্দা রতন সূত্রধর জানান, এক সময় কেরানীগঞ্জ ছিল বিএনপির ঘাটি। কিন্তু বর্তমান সরকারের আমলে এলাকার ব্যাপক উন্নয়নের কারণে পরিস্থিতি পাল্টে গেছে। বর্তমান সংসদ সদস্য কামরুল ইসলাম একজন ভালো মানুষ। তিনি এলাকার উন্নয়নে কাজ করছেন। আবারও তিনি নির্বাচন করবেন। এ ছাড়া আওয়ামী লীগ থেকে উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদও নির্বাচন করতে চান। এ দু’জনের মধ্যে যে কোনো একজন নির্বাচন করলে ভালো হয়।
তবে বিএনপিরও এলাকায় নীরব সমর্থন রয়েছে। তাই ভোটের ফল কি হয় তা এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলা যাবে না।
কোনাখোলা এলাকার সেলুনকর্মী মানিক বিশ্বাস বলেন, এ সরকারের আমলে এলাকার অনেক উন্নয়ন হয়েছে তবে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় মানুষ কষ্টে আছে। তবু এ সরকারই ভালো। তবে ভোটের আগে এ এলাকায় আওয়ামী লীগের কোন্দল নিরসন করা না গেলে পরবর্তী নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী সুবিধা পেয়ে যেতে পারে।
কোনাখোলা সিএনজি স্টেশনের চা দোকানদার মো. আলম বলেন, এলাকার মানুষের এখন আর কোনো সমস্যা নেই। তবে বর্তমান এমপির চেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান এলাকাবাসীর বেশি খোজখবর নেন। মুদি দোকানী নরেশ সরকার বলেন, আমরা চাই বর্তমান এমপিই আবার থাকুক।
হাজারীবাগ থানার ওয়াশপুর এলাকার ষাটোর্ধ্ব এক বাসিন্দা জানান, আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম ও শাহীন আহমেদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে গণসংযোগ করছেন। বিএনপিসহ অন্য দলগুলোর কোনো তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। আওয়ামী লীগের পাশাপাশি বিএনপির এ এলাকায় জনপ্রিয়তা রয়েছে। তাই এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফলাফল কি হয় বলা যায় না।