![মেঘনায় ট্রলারে জলদস্যুদের হামলা, গুলিবিদ্ধ ২ মেঘনায় ট্রলারে জলদস্যুদের হামলা, গুলিবিদ্ধ ২](https://www.dailyjanakantha.com/media/imgAll/2023May/27-2307171107.jpg)
প্রতীকী ছবি।
ভোলার তজুমদ্দিন ও নোয়াখালীর মধ্যবর্তী হুজুরের চর এলাকায় মেঘনা নদীতে জেলেদের ২টি মাছ ধরার ট্রলারে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় জলদস্যুদের হামলায় চালিয়ে মারধরসহ গুলিবর্ষণ করেছে। এতে হোসেন মাঝি ও মোঃ সোহেল মাঝি নামে দুই জেলে গুলিবিদ্ধ হয়েছে।
সোমবার (১৭ জুলাই) সকালে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গুরুতর আহত জেলেদের স্থানীয় জেলেরা উদ্ধার করে ভোলা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আহত গুলিবিদ্ধ জেলেরা জানান, তজুমদ্দিনের সোহেল মাঝির ট্রলারের ১০ জন জেলে ও নোয়াখালীর হোসেন মাঝি ৬ জেলে নিয়ে পৃথক পৃথক ২টি ট্রলার নিয়ে রবিবার রাত আনুমানিত ১২ টার দিকে ভোলার তজুমদ্দিন ও নোয়াখালী জেলার মধ্যবর্তী হুজুরের চর এলাকার মেঘনা নদীতে মাছ শিকার করছিলো। ওই সময় হঠাৎ একটি ট্রলার নিয়ে ১০ জনের একটি জলদস্যু বাহিনী গুলি ও ধারাল অস্ত্র নিয়ে ওই জেলে ট্রলারে হামলা চালায়। ডাকাতরা জেলেদের ট্রলারে থাকা মাছ, জাল, তেল ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়।
এতে বাঁধা দিতে চাইলে ডাকাতরা তাদের মারধরসহ গুলি করে। এক পর্যায়ে ডাকাতদের গুলিতে ওই ২ জেলে নদীতে পরে যায়। র্দীঘ সময় নদীতে ভাসতে থাকার পর সোমবার ভোরের দিকে স্থানীয় জেলেরা তাদের উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। আহত জেলেরা হলেন, ভোলার বোহানউদ্দিন উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মোঃ মফিজলের ছেলে মোঃ হোসেন মাঝি ও নেয়াখালী জেলার রামগতি থানার চর আব্দুল্লাহ গ্রামের মোঃ আব্দুল রশিদের ছেলে মোঃ সোহেল। তবে অন্য জেলেরা কোথা কি অবস্থায় রয়েছে তা এখনো জানা সম্ভব হয়নি।
ভোলা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডা: তায়েবুর রহমান জানান, গুলিবিদ্ধ দুইজনের অবস্থা আশঙ্কামুক্ত। তাদের শরীরে ৭০/১০০ টি ছড়া গুলি রয়েছে।
ভোলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রিপন সরকার জানান, বিষয়টি তদন্ত চলছে। তবে এখন পর্যন্ত কোন থানায় আহতদের পক্ষে কেউ অভিযোগ করেনি। যাচাই বাছাই শেষে আইনী প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হবে।
এমএস