ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

কোন অনিয়ম সহ্য করবো না

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল 

প্রকাশিত: ১৭:৫০, ২৮ মে ২০২৩

কোন অনিয়ম সহ্য করবো না

বরিশালে সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থীদের উদ্দেশে বলেছেন, আপনাদের এখানে অনিয়ম, মাস্তানি, পেশিশক্তির ব্যবহার আমরা অত্যন্ত কঠোরভাবে দমন করবো। কোনো প্রার্থীর কর্মীও যদি অসৎ আচরণ করেন তাহলে সেই প্রার্থী কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। সিইসি আরও বলেন, যদি কেউ নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাঁধাগ্রস্ত করেন কিংবা নির্বাচন প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে অপকর্মে লিপ্ত হন, তিনি যদি চিহ্নিত হন তাহলে তার বিরুদ্ধেও নির্বাচন কমিশন আইনগতভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

শনিবার দিবাগত রাতে নগরীর শিল্পকলা একাডেমি অডিটরিয়ামে আসন্ন ১২ জুন বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় ইভিএম প্রশ্নে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ইভিএম নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোন অবকাশ নেই। এখন যারা ইভিএম বাদ দেয়ার কথা বলছেন, সেটা এখন আর সম্ভব না। প্রার্থীরা চাইলে ইভিএমের বিষয়ে কোন সন্দেহ থাকলে নির্বাচন কমিশনে গিয়ে চেক করে দেখতে পারবেন। যখন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, তার আগেই ইভিএম ভালোভাবে চেক করে দেওয়া হবে। প্রার্থীদের অভিযোগের উত্তরে সিইসি বলেন, কালো টাকা চোখে দেখা যায়না। তবে দৃশ্যমান আচারণবিধি ভাঙা হলে নির্বাচন কমিশন দেখবে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, বরিশালের চেয়ে গাজীপুরের আয়তন অনেক বেশি। ভোটারও বেশি, ভোটকেন্দ্রও বেশি। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভোট সুষ্ঠু হয়েছে। কোন প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে কোন কথা বলতে পারেননি। বরিশাল নগরীতে মাত্র ১২৬ টি ভোটকেন্দ্র। পুরোটাই আমাদের নজরে থাকবে। প্রতিটি কেন্দ্র সিসি ক্যামেরায় মনিটরিং করা হবে। নির্বাচন কমিশন শক্ত অবস্থানে রয়েছে। এখানে কোনধরনের অনিয়ম আমরা সহ্য করবো না। আমরা শতভাগ স্বচ্ছ নির্বাচন করবো।

সিইসি বলেন, প্রিজাইডিং অফিসার দায়িত্ব অবহেলা করলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা আশা করছি সকলের সহযোগিতা ও সমন্বয়ে সুষ্ঠু ভোট উপহার দিতে। কেউ যাতে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে না পারে সেলক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন বদ্ধ পরিকর। হঠাৎ ঝটিকা সফরে বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময় সভায় সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল প্রথমে সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থী ও মেয়র প্রার্থীদের অভিযোগ শোনেন। 

সবশেষে প্রধান অতিথি হিসেবে সিইসি তার বক্তব্যে আরও বলেন, আমাদের দিক থেকে সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে চেষ্টার কোনো ত্রুটি থাকবেনা। গাজীপুরে লক্ষ লক্ষ ভোটার গার্মেন্টস শ্রমিক। তারা ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট দিয়েছেন। এখানে আপনার সমর্থক থাকলে ভোট পাবেন।

বরিশাল সিটি করপোরেশনের রিটার্নিং কর্মকর্তা কার্যালয়ের আয়োজনে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন বিভাগীয় কমিশনার মো. আমিন উল আহসান। সভায় সিটি করপোরেশনের সাতজন মেয়র প্রার্থীসহ সাধারণ ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের ১৭৮ জন কাউন্সিলর প্রার্থী উপস্থিত ছিলেন। নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী খোকন সেরনিয়াবাত ইভিএম পদ্ধতিকে সাধুবাদ জানালেও জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস এর বিরোধিতা করে প্রশাসনের রদবদল এবং সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবী জানান। একই দাবী ও অভিযোগসহ ইভিএম পদ্ধতির অনেক কৌশলী বিষয়ের চিহ্নিত করে হাতপাখা মার্কার প্রার্থী মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফায়জুল করীম স্বচ্ছ নির্বাচন অনুষ্ঠানে ব্যর্থ হলে এই নির্বাচন কমিশন পদত্যাগ করবেন কিনা প্রশ্ন তোলেন।

অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান, নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. জাহাংগীর আলম। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি এসএম আক্তারুজ্জামান, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম, র‌্যাব-৮ এর অধিনায়ক লেফটেনেন্ট কর্ণেল মাহমুদুল হাসান, জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, জেলার পুলিশ সুপার মো. ওয়াহিদুল ইসলাম ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির।

 

এমএস

সম্পর্কিত বিষয়:

×