ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

যশোরে ডায়রিয়ার প্রকোপ ॥ ঠাঁই নেই হাসপাতালে

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস

প্রকাশিত: ০০:২২, ২৪ মার্চ ২০২৩

যশোরে ডায়রিয়ার প্রকোপ ॥ ঠাঁই নেই হাসপাতালে

বেড না পাওয়ায় হাসপাতালের মেঝেতে ডায়রিয়া রোগী

হঠাৎ করে সংক্রামক ব্যাধি ডায়রিয়া ছড়িয়ে পড়েছে যশোরাঞ্চলে। গত ২৪ ঘণ্টায় চিকিৎসা নিয়েছেন ২৩৫ রোগী। এর মধ্যে ৬৭ জনকে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিতে হয়। বাকিরা বহির্বিভাগ থেকে প্রাথমিক সেবা নেন। বৃহস্পতিবার ৫ শয্যার ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন ৪১ রোগী। চিকিৎসকরা বলছেন, হঠাৎ ডায়রিয়ার জন্য দায়ী রোটা ভাইরাস। আক্রান্ত বেশিরভাগ রোগীর তরমুজ খাওয়ার ইতিহাস রয়েছে। এজন্য ধারণা করা হচ্ছে, কেমিক্যাল মিশ্রিত তরমুজসহ অন্যান্য খাদ্য বিষক্রিয়ায় এ অবস্থা হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্র বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে এসেছে ২৩৫জন। এর মধ্যে ৬৭ শিশু, মহিলা ও পুরুষ ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। বহির্বিভাগ থেকে প্রাথমিক সেবা নিয়েছেন ১৬৮  শিশু, মহিলা ও পুরুষ। সুস্থ হয়ে ২৬জন বাড়িতে ফিরে  গেছেন। বর্তমানে হাসপাতালে অবস্থান করছেন ৪১ জন। এর মধ্যে ২জন চিকেন পক্স আক্রান্ত রোগীও রয়েছেন। হঠাৎ করে বৃষ্টি, ভাপসা গরম এবং বাড়িতে ভারি ও পেট গরম হয় এমন খাবার খাওয়ার কারণে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে অনুমান করছেন চিকিৎসকরা।

হাসপাতালে মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ওবাইদুল কাদের উজ্জল বলেন, হঠাৎ করে দিনে গরম ও রাতে ঠান্ডা এবং বাতাসে রোটা ভাইরাস প্রবাহের কারণে মানুষ ডায়রিয়া আক্রান্ত হচ্ছেন। তবে হাসপাতালে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে যেসব রোগী ভর্তি হয়েছেন তাদের অধিকাংশই তরমুজ খাওয়ার পর থেকে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার হিমাদ্রী শেখর সরকার জানান, যারা ভর্তি আছেন তারা অধিকাংশ বাড়িতে তরমুজ খেয়ে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

রোগীদের বেডের সমস্যা হলেও ওষুধ ও সেবায় কোনো কমতি নেই। তিনি আরও জানিয়েছেন, বর্তমান সময়ে তরমুজ পাকার কথা নয়। তবে কিছু ব্যবসায়ি তরমুজে রাসায়নিক ব্যবহার করে পাকিয়ে বাজারে বিক্রি করছে। আর সে তরমুজ খেয়ে মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন।

×