ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

হাওয়াই মিঠাই

অভিজিৎ রায়, ফরিদপুর।

প্রকাশিত: ০১:৩৭, ২৩ ডিসেম্বর ২০২২

হাওয়াই মিঠাই

হাওয়াই মিঠাই বিক্রি করছেন লুৎফর রহমান

হাওয়াই মিঠাই এই শব্দটার সঙ্গে বাঙালি অত্যন্ত পরিচিত। দীর্ঘদিন ধরে হাওয়াই মিঠাই শব্দটা বাংলা সাহিত্য ওতপ্রোতভাবে মিশে গেছে। ছোটবেলায় এই পণ্যটির প্রতি আকর্ষিত হয়নি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। এ ব্যাপারে কথা হয় ফরিদপুর শহরে হাওয়াই মিঠাই বিক্রেতা লুৎফর রহমানের সঙ্গে। তিনি বর্তমানে ফরিদপুর শহরের গোয়ালচামট মহল্লার ১নং সড়কের বক্কারের বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে রয়েছেন। তার দেশের বাড়ি পাবনা জেলাতে। তিনি জানান, এ জেলায়  হাওয়াই মিঠাই চাহিদা রয়েছে।

আগে গ্রামাঞ্চলে বিক্রি ভালো হলেও ইদানীং শহরের বেচাকেনা ভালো হচ্ছে। বর্তমানে তিনি শহরের জেলা প্রশাসন স্কুল, সানরাইজ স্কুল, রেইনবো স্কুল, শিল্পকলা একাডেমির সামনে নিয়মিতভাবে বিক্রি করে থাকেন। এছাড়া শ্রীঅঙ্গনে মাঝে মাঝে বেচাকেনা করেন। বিশেষ করে শিশুরাই এর প্রধান ক্রেতা। মুখে দেওয়া মাত্রই এই খাবারটি গলে যায় যে কারণে অনেকের কাছে এই খাবারটি শিশুদের কাছে আশ্চর্যজনক মনে হয়। বাংলাদেশে হাওয়াই মিঠাই বিক্রি কতদিন ধরে শুরু হয়েছে এবং বাংলাদেশে কিভাবে এলো এর কোনো সঠিক ব্যাখ্যা কেউ দিতে পারেনি।

লুৎফর রহমান জানান, তিনি মোট দুইরকম হাওয়াই মিঠাই তৈরি করে বিক্রি করেন। এর মধ্যে একটি সাদা অপরটি গোলাপী রঙের হাওয়াই মিঠাই। এর মধ্যে সাদা রংয়ের হাওয়াই মিঠাই এর চাহিদা বেশি থাকলেও বর্তমানে গোলাপি রঙের মিঠাইও ভালোই বিক্রি হয়। তিনি প্রত্যাশা করেন যদি সরকার থেকে সহজ শর্তে তাকে ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হতো তাহলে তিনি ব্যবসাটাকে বড় করতে পারতেন। এছাড়া রাস্তার পাশে ছোট একটা জায়গা দিলেও তিনি ব্যবসাটিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারতেন।
 লুৎফর রহমান বিবাহিত তার দুই মেয়ে ও এক ছেলে আছে। হাওয়াই মিঠাই বিক্রি করে তিনি অতি কষ্টেই  জীবন অতিবাহিত করছেন। চেষ্টা করছেন ছেলেমেয়েদের শিক্ষিত করার।
অভিজিৎ রায়, ফরিদপুর।

×