ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

এবার চরফ্যাশনে ধূসর রঙের ডিম পাড়ল হাঁস

নিজস্ব প্রতিনিধি, চরফ্যাশন

প্রকাশিত: ১৯:২৮, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২

এবার চরফ্যাশনে ধূসর রঙের ডিম পাড়ল হাঁস

কালো হাঁসের ধূসর রঙের ডিম। ছবি: জনকণ্ঠ। 

ভোলার চরফ্যাশনে হাঁসের কালো ডিম নিয়ে চাঞ্চল্যের রেশ কাটতে না কাটতে এবার সন্ধান মিলল আরেকটি হাঁসের ধূসর রঙের ডিমের। 

দেশি হাঁসের এমন ডিম হয় না বলে দাবি করছে স্থানীয় প্রাণি সম্পদ দফতর। বার বার কেনো এমনটি হচ্ছে তা নিয়ে চিন্তিত প্রাণি সম্পদ অধিদফতরও। ঘটনার পর্যবেক্ষণে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ওই দফতরের কর্মকর্তারা। 

জনমনে প্রশ্ন উঠেছে, এটি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, কোনো রোগের লক্ষণ, নাকি ক্রোসের কারণে এমন ঘটনা ঘটছে নিশ্চিত করে বলতে পারছে না কেউ। এসব ডিম দ্রুত পরীক্ষাগারে পাঠিয়ে রহস্য উদঘাটনের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

চরফ্যাশন পৌর ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আকতারুল আলম সামু জানান, গত ২ দিন ধরে আমাদের বাড়ির পালিত একটি হাঁস ধূসর রঙের ডিম পাড়তো। এর আগে এমনটি কখনও হয়নি। বিষয়টি প্রাণি অফিসকে জানানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা খুবই চিন্তিত। 

হাঁসের মালিক জুলেখা আক্তার বলেন, আমি তিনটি হাঁস পালন করি। সব কয়টির বয়স নয় মাস থেকে এক বছরের মধ্যে হবে। একটি হাঁস ডিম পাড়ে, তবে প্রতিদিন নয়। গতকাল শুক্রবার থেকে শুধু ধূসর রঙের ডিম পাড়ে। 

চরফ্যাশন জলবায়ু ফোরামের সভাপতি আবু ছিদ্দিক বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন নাকি ক্রোসের কারণে এমনটি হচ্ছে তা পরীক্ষা করে বের করা জরুরি। কারণ, অনাবরত এ ডিম খেতে থাকলে স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে কিনা তাও বের করা জরুরি। 

জানা গেছে, রূপকথার গল্পের মতই গত বুধ ও বৃহস্পতিবার চরফ্যাশনের জিন্নাগড় ৪নং ওয়াডের্র আবদুল মতিনের স্ত্রী তাসলিমা বেগমের পালিত একটি হাঁস অস্বাভাবিক কালো ডিম দেয়। মুহুর্তের মধ্যে তা সর্বত্র ছড়িয়ে পড়লে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। সেই ঘটনার রেশ না কাটতেই এবার নতুন করে আবার চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে চরফ্যাশন পৌর ৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আকতারুল আলম সামুর বাড়িতে গত ২ দিন ধরে একটি হাঁস ধূসর রঙের ডিম পাড়ছে। 

আরো পড়ুন : জন্মদিনে সুখবর বয়ে এনেছে আকাশি নীল রঙের ব্যাঙ


গৃহিনী জুলেখা আক্তার ঘটনাটি নিয়ে প্রথমে না ভাবলেও কালো ডিম পাড়ার রহস্য নিয়ে ভাবিয়ে তুলেছে পরিবারটিকে। সঠিক রহস্য জানতে জান তারা। বার বার কেনো এমন হচ্ছে সেই রহন্য উদঘাটনের দাবি এলাকাবাসির। 

খবর পেয়ে ছুটে এসেছেন উপজেলা প্রাণি সম্পদ দফতরের কর্মকর্তারাও। চরফ্যাশন উপজেলা প্রাণি সম্পদ অফিসের উপ-সহকারি কর্মকর্তা শংকর কৃষ্ণ দাস বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সত্যতা পেয়েছি। তবে এ ডিমগুলো পুরোপুরি কালো না হলেও আংশিক কালো, যেটি ধূসর বর্নের। আমরা উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি। 

আরো পড়ুন : গোলাপী আর সাদা পদ্ম ফুল দেখতে উৎসুক জনতার ভিড়

এ ব্যাপারে জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ইন্দ্রজিৎ কুমার মন্ডল বলেন, বিষয়টি বিস্ময়কর। এ নিয়ে দুটি ঘটনা ঘটলো। আমরা প্রাথমিকভাবে মনে করছি অন্য কোনো জাতের সঙ্গে এ হাঁসটির ক্রোস হয়েছে। আমরা সেম্পল কালেকশন করে পরীক্ষাগারে পাঠিয়ে কারণ উৎঘাটন করবো। এদিকে সাগর উপকূলে অবস্থান থাকায় চরফ্যাশন উপজেলার আবহাওয়া, ভৌগলিক ও পরিবেশগত পার্থক্য কিছুটা থাকলে কালো ডিমের রহস্য দ্রুত উদঘটনের দাবি পরিবেশবিদদের।

এমএইচ

×