তিস্তা নদীতে ব্যাপক ভাঙ্গন
তিস্তা নদীতে ব্যাপক ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। নদীর পথ বাম তীর ছেড়ে ডান তীর ঘেঁষে চলে আসায় এই ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ফলে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ১০ পরিবারের ভিটে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে ও ১৫ পরিবার বসতঘর সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়। ভাঙ্গন ঠেকাতে পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙ্গনকবলিত এলাকায় বালুভর্তি বস্তা ফেললেও ভাঙ্গনরোধ করা যাচ্ছে না।
মঙ্গলবার উপজেলার খালিশা চাপানি ইউনিয়নের ছোটখাতা মুন্সীপাড়া গ্রামে ১০ পরিবারের বসতবাড়ি-ভিটাসহ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এর আগে আরও ১৫ পরিবার ঘর সরিয়ে নিয়েছে। সেই সঙ্গে ভাঙ্গছে ফসলী জমি। তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা জানান, তিস্তার পানি কমলেও স্রোত বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নের নদীর তীরবর্তী এলাকায় বসবাসকারীরা ভাঙ্গনের কারণে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। এর মধ্যে অনেকের ঘরবাড়ি প্রবল স্রোতে ভেসে গেছে।
খালিশা চাপানি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহীদুজ্জামান জানান, তার ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে তীব্র ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে ছোটখাতা, চর ভে-াবাড়ি, বাইশপুকুরসহ কয়েকটি গ্রামের কমপক্ষে ২০/২৫টি পরিবারের বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ময়নুল হক বলেন, তার এলাকায় তিস্তা নদী ডান তীরে চেপে আসায় নদীর পানি ডান তীর প্রধান বাঁধের দোলাপাড়া এলাকায় লিক করে পানি প্রবেশ করছে। যে কোন সময় ডান তীরের বাঁধ ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদদৌলা জানান, তিস্তার পানি মঙ্গলবার বিপদসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার নিচে প্রবাহিত হলেও নদীতে স্রোতের বেগ তীব্র। ভাঙ্গন প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি পেলে ভাঙ্গন আরও বাড়তে পারে। নদী হঠাৎ করে ডান তীরে মোড় নিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
হোজির নদী ও পদ্মনগর খালের বাঁধ-পাটা অপসারণ
স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার পদ্মনগন খালের অবৈধ বাঁধ-পাটা মঙ্গলবার সকাল থেকে অপসারণ শুরু হয়েছে। এদিকে, সদর উপজেলার ডেমা এলাকায় হোজির নদীর অবৈধ বাঁধ ও নেট-পাটা মঙ্গলবার সকাল থেকে দ্বিতীয় দিনেও অপসারণ চলছে। প্রভাবশালী ব্যক্তিরা প্রবাহমান এ নদীর ২০ থেকে ২৫ স্থানে মাছ চাষ করছিল বছরের পর বছর। ফলে কৃষি কাজের মারত্মক বিপর্যয়, জলাবদ্ধতা, নৌ চলাচল বন্ধ, পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছিল।
এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হলে দৈনিক জনকণ্ঠে সচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমানের নির্দেশে বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুছাব্বেরুল ইসলামের নেতৃত্বে এ নদীর বাঁধ-পাটা অপসারণ শুরু করা হয়।