ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ফাঁদ বানানোর ধুম পড়ে যায় বর্ষাকালের আগ মুহূর্তে।

মীরসরাইয়ে কদর বাড়ছে মাছ শিকারের দেশীয় ফাঁদ চাঁই-পলোর

নিজস্ব সংবাদদাতা, মীরসরাই, চট্টগ্রাম

প্রকাশিত: ১১:৫৮, ৩ জুলাই ২০২২

মীরসরাইয়ে কদর বাড়ছে মাছ শিকারের দেশীয় ফাঁদ চাঁই-পলোর

দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি মাছ শিকারের ফাঁদ চাঁই, আনতা, পলো বিক্রির জন্য জোরারগঞ্জ বাজারে যাচ্ছেন কারিগর মোঃ সোলেমান

বর্ষা মৌসুমে গ্রামাঞ্চলের খাল-বিল নদী-নালায় দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি চাঁই, আনতা, পলো দিয়ে ফাঁদ পেতে খুব সহজেই বিভিন্ন প্রজাতির দেশীয় মাছ শিকার করা হয় যুগের সঙ্গে সঙ্গে আধুনিকতার ছোঁয়ায় ফাঁদের আকার-ধরণ নকশায় পরিবর্তন এবং কারেন্ট জালের ব্যবহার বৃদ্ধি পেলেও এখনও জনপ্রিয়তা কমেনি মাছ শিকারের দেশীয় ফাঁদ চাঁই পলো, আনতার মীরসরাইয়ে দিন দিন কদর বাড়ছে বাঁশ বেত দিয়ে বানানো এসব দেশীয় ফাঁদ চাঁই-পলোর

জানা গেছে, মীরসরাইয়ের বিভিন্ন গ্রামে এই ফাঁদ বানানোর ধুম পড়ে যায় বর্ষাকালের আগ মুহূর্তে তৎপরতা বেড়ে যায় গ্রামের মৎস্য শিকারিদের এসময় মাছ শিকার করতে বাঁশ-বেত দিয়ে ফাঁদ তৈরি করা কারিগরদের ব্যস্ততা বেড়ে যায় আর বর্ষার শুরু থেকে সেসব চাঁই স্থানীয় হাট-বাজারে বিক্রির জন্য ওঠানো হয় তবে একসময় বিভিন্ন স্থানে চাঁই, টইয়া, আনতা পলো দিয়ে মাছ ধরার প্রচলন ছিল বেশি কারিগরের অভাব উপকরণের মূল্য বৃদ্ধির কারণে এখন দেশিয় পদ্ধতিতে মাছ ধরার ফাঁদ তৈরি দিন দিন কমে আসছে

সৌখিন মৎস্য শিকারি জোরারগঞ্জের সূর্য দেবনাথ যতন দেবনাথ বলেন, গ্রামের মানুষের কাছে চাঁই-আনতা পলো আগে জনপ্রিয় ছিল, তবে এখনও আছে চাঁই খাল আর বিলে কিংবা ডুবে যাওয়া ফসলি ক্ষেতে পেতে রাখা হয় যেখান থেকে দেশীয় প্রজাতির চিংড়ি, শোল, শিং, কৈ, খইলসা, পুঁটি মাছ ধরা পড়ে তবে এখন বেশি পানিতেও ফাঁদপাতার জন্য বড় আকারের চাঁই বানানো হয়, যাতে রুই-কাতলও ধরা পড়ে

উপজেলার নাহেরপুর গ্রামের চাঁই বিক্রেতা মোঃ সোলেমান বলেন, আমি প্রায় ৪০ বছর ধরে মাছ ধরার ফাঁদ চাঁই, পলো, আনতা তৈরি করে বিক্রি করে আসছি জ্যৈষ্ঠ থেকে ভাদ্র পর্যন্ত চারমাস এর বিক্রি বেশি হয় কাঁচামালের দর বেড়ে যাওয়ায় এখন চাঁই, আনতা, পলোর দরটাও অনেক বেশি বর্তমান বাজারে আকার আকৃতি ভেদে এসব ফাঁদ দেড়শ থেকে ৬শ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করে থাকি

 

×