https://www.dailyjanakantha.com/multimedia/css/https://www.dailyjanakantha.com/multimedia/console/https://www.dailyjanakantha.com/multimedia/category/https://www.dailyjanakantha.com/multimedia/json/https://www.dailyjanakantha.com/multimedia/vendor/https://organik.tebingtinggikota.go.id/produk/ks/https://dpmptsp.pulangpisaukab.go.id/berita/gm/https://organik.tebingtinggikota.go.id/produk/luar/https://organik.tebingtinggikota.go.id/pulsa/https://sentuhandukcapil.tebingtinggikota.go.id/luar/https://sso.umk.ac.id/public/jsonn/https://www.inovadoor.com.br/https://sso.umk.ac.id/public/spaces/https://sso.umk.ac.id/public/posts/https://sso.umk.ac.id/public/document/https://dema.iainptk.ac.id/wp-content/toto-slot/https://mawapres.iainptk.ac.id/wp-content/apps/https://sso.umk.ac.id/public/plugin/https://sso.umk.ac.id/public/amp/https://159.203.61.47/https://dema.iainptk.ac.id/wp-content/config/https://dema.iainptk.ac.id/wp-content/jpg/https://dema.iainptk.ac.id/wp-content/tmb/https://dema.iainptk.ac.id/wp-content/kmb/https://dema.iainptk.ac.id/wp-content/amp/https://dema.iainptk.ac.id/wp-content/restore/https://dema.iainptk.ac.id/wp-content/vendor/https://dema.iainptk.ac.id/wp-content/file/https://dema.iainptk.ac.id/wp-content/vps-root/https://dema.iainptk.ac.id/wp-content/files/https://sso.umk.ac.id/public/analog/https://sso.umk.ac.id/public/etc/https://sso.umk.ac.id/public/bulk/https://138.197.28.154/https://dema.iainptk.ac.id/wp-content/json/https://dema.iainptk.ac.id/scholar/https://wonosari.bondowosokab.go.id/wp-content/upgrade/https://untagsmg.ac.id/draft/https://sso.umk.ac.id/public/web/https://dema.iainptk.ac.id/wp-content/data/https://sso.umk.ac.id/public/right/https://sso.umk.ac.id/public/assets/https://dpmptsp.pulangpisaukab.go.id/themess/https://dpmptsp.pulangpisaukab.go.id/wp-content/luar/https://sso.umk.ac.id/public/tmp/https://sso.umk.ac.id/public/font/https://dema.iainptk.ac.id/assets/https://dema.iainptk.ac.id/root/https://dema.iainptk.ac.id/wp-content/assets/https://dema.iainptk.ac.id/wp-content/nc_plugin/https://gem.araneo.co.id/https://mawapres.iainptk.ac.id/mp/https://152.42.212.40/https://mawapres.iainptk.ac.id/wp-content/nc_plugin/https://mawapres.iainptk.ac.id/wp-content/pages/https://admpublik.fisip.ulm.ac.id/wp-content/luar/https://env.itb.ac.id/wp-content/pul/https://env.itb.ac.id/wp-content/luar/https://env.itb.ac.id/vendor/https://sikerja.bondowosokab.go.id/font/https://pmb.kspsb.id/gemilang77/https://pmb.kspsb.id/merpati77/https://disporpar.pringsewukab.go.id/wp-content/filess/https://pmnaker.singkawangkota.go.id/filess/https://triathlonshopusa.com/https://websitenuri77.blog.fc2.com/
দৈনিক জনকণ্ঠ || Daily Janakantha

ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

তাপপ্রবাহে রেকর্ড

৭৬ বছরের মধ্যে দেশজুড়ে টানা ২৬ দিনের দাবদাহ
তাপপ্রবাহে রেকর্ড

বৃষ্টির অপেক্ষায় মানুষ ও প্রাণিকুল চাতক পাখির মতো বসে আছে। উষ্ণতম মাস এপ্রিলে ঢাকা, খুলনা ও রাজশাহী বিভাগে কালো মেঘের দেখাও মেলেনি। চুয়াডাঙ্গায় ২ মিলিমিটার বৃষ্টি হলেও তাতে উল্টা গরম বেড়েছে। পুরো এপ্রিল মাসেই (১-২৬) দেশের বিভিন্ন স্থানজুড়ে তাপপ্রবাহ বয়ে চলেছে। যা নজিরবিহীন তো বটেই এর সঙ্গে ভেঙেছে ৭৬ বছরের রেকর্ড। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, ২০১০ সালে রাজশাহীতে সর্বোচ্চ ২০ দিন তাপপ্রবাহ ছিল, তবে তা টানা ছিল না। এ বছর টানা ২৬ দিন তাপপ্রবাহ চলছে। শুক্রবার চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই মাসের যে ক’দিন বাকি তাতে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে তাপপ্রবাহ বিস্তার থেকে মুক্তি পাওয়ার কোনো খবরও পাওয়া যাচ্ছে না।

waltonbd
waltonbd
Sopno
Sopno
তাপপ্রবাহে রেকর্ড

তাপপ্রবাহে রেকর্ড

বৃষ্টির অপেক্ষায় মানুষ ও প্রাণিকুল চাতক পাখির মতো বসে আছে। উষ্ণতম মাস এপ্রিলে ঢাকা, খুলনা ও রাজশাহী বিভাগে কালো মেঘের দেখাও মেলেনি। চুয়াডাঙ্গায় ২ মিলিমিটার বৃষ্টি হলেও তাতে উল্টা গরম বেড়েছে। পুরো এপ্রিল মাসেই (১-২৬) দেশের বিভিন্ন স্থানজুড়ে তাপপ্রবাহ বয়ে চলেছে। যা নজিরবিহীন তো বটেই এর সঙ্গে ভেঙেছে ৭৬ বছরের রেকর্ড। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, ২০১০ সালে রাজশাহীতে সর্বোচ্চ ২০ দিন তাপপ্রবাহ ছিল, তবে তা টানা ছিল না। এ বছর টানা ২৬ দিন তাপপ্রবাহ চলছে। শুক্রবার চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই মাসের যে ক’দিন বাকি তাতে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে তাপপ্রবাহ বিস্তার থেকে মুক্তি পাওয়ার কোনো খবরও পাওয়া যাচ্ছে না।

দলীয় নির্দেশনা না মানলে সময়মতো ব্যবস্থা

দলীয় নির্দেশনা না মানলে সময়মতো ব্যবস্থা

উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী ও এমপিদের নিকটাত্মীয় এবং স্বজনদের প্রার্থী না হতে দলীয় যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, তা না মানলে সময়মতো সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।  বুধবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের দলের এই কঠোর অবস্থানের কথা জানিয়ে বলেন, উপজেলা নির্বাচনে প্রথম পর্যায়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় পেরিয়ে গেছে। এদের মধ্যে অনেকেই বলেছেন, আমরা বিষয়টি আরও আগে অবহিত হলে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হতো। তার পরও কেউ কেউ প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন, কেউ কেউ করেননি।  তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনে সময় শেষ হয়ে গেলে কেউ প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে পারেন না। এই বিষয়টা চূড়ান্ত হতে নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এখানে কেউ অমান্য করলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ আছে দলে। সময়মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।  আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের দলে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশনের বিষয়টি আছে। দল যার যার কর্মকা- বিবেচনায় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কৌশলে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশন নিয়ে থাকে। চূড়ান্ত পর্যায়ে যারা প্রত্যাহার করবে না এ ব্যাপারে দলের সিদ্ধান্ত সময়মতো নেওয়া হবে। চূড়ান্ত পর্যায়েও কেউ প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, সাধারণ ক্ষমা একটা বিশেষ পরিস্থিতিতে দলীয় রণকৌশল, সেটা হতেই পারে। সেটা দলের সভাপতি নিতে পারেন। নির্বাচন হওয়া পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সুযোগ আছে।  অন্য এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি একতরফা সমাবেশ করতে গেলে সন্ত্রাস, আগুনসন্ত্রাসের আশঙ্কা থেকে যায় বলে জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আওয়ামী লীগ মাঠে থাকলে বিএনপি এসব অপকর্ম করতে মানসিকভাবে চাপে থাকবে বলেও তিনি জানান।

১৫ বছরে দেশের বিস্ময়কর উন্নয়ন হয়েছে

১৫ বছরে দেশের বিস্ময়কর উন্নয়ন হয়েছে

স্থিতিশীল সরকার থাকায় গত ১৫ বছরে দেশের বিস্ময়কর উন্নয়ন হয়েছে মন্তব্য করে  আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচিত সরকারকে হটাতে দীর্ঘদিন ধরে চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র চলছে। আজ বাংলাদেশবিরোধী ষড়যন্ত্র শুধু দেশে নয়, বাইরেও অপপ্রচার আছে, ষড়যন্ত্র আছে। গণতন্ত্র, শান্তি, উন্নয়ন ও নির্বাচনবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি। মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটি আয়োজিত প্রচারপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখতে গিয়ে তিনি এ আহ্বান জানান।  ওবায়দুল কাদের বলেন, হত্যার রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে না। প্রকাশ্যে জঙ্গিবাদী তৎপরতা চালিয়েছে বিএনপি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে খুনের রাজনীতি বন্ধ করেছে। আওয়ামী লীগ সাংবিধানিক সরকার প্রতিষ্ঠা করেছে। ১৫ বছর স্থিতিশীল সরকার ছিল বলে দেশের বিস্ময়কর উন্নয়ন হয়েছে। খুনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল বন্ধ হয়েছে। গণতন্ত্রে স্থিতিশীলতা ছিল বলে এমন উন্নয়ন হয়েছে। সেতুমন্ত্রী বলেন, দেশবিরোধী অপশক্তি লাগাতারভাবে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। জনগণের ভোটাধিকার বঞ্চিত করতে নির্বাচনবিরোধী কাজ করছে তারা। তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। তিনি বলেন, গণতন্ত্র, শান্তি, উন্নয়ন নির্বাচনবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বান মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের ও প্রগতিশীল শক্তির কাছে, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ববিরোধী অপশক্তি আমাদের ভিত্তিমূলে আঘাত করতে যাচ্ছে। তাদের আমাদের প্রতিহত করতে হবে। সেজন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করার মাধ্যমে গণতন্ত্র হত্যার সূচনা হয়। ষড়যন্ত্রের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মোস্তাক-জিয়া। বাংলাদেশবিরোধী অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র দেশের পাশাপাশি বিদেশেও আছে। সরকার হটানোর ষড়যন্ত্র চলছে। নির্বাচন ও গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে দেশী-বিদেশী অপশক্তি ষড়যন্ত্র করছে। ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ একমাত্র দল, যে দলটি স্বাধীন ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে। তার আগে খালেদা জিয়ার অধীনে ছিল নির্বাচন কমিশন। গু-া দিয়ে নির্বাচন করা হতো। ভুয়া ভোটার দিয়ে ভুয়া নির্বাচন করেছেন তিনি। আওয়ামী লীগই দেশের একমাত্র দল, যেটি নির্বাচন ব্যবস্থাকে স্বাধীন ও কর্তৃত্বপূর্ণ করেছে। উপজেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটের মাধ্যমে সাংবিধানিক অধিকার প্রয়োগের জন্য জনগণকে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা আহ্বান জানিয়েছেন।  ওবায়দুল কাদের বলেন, ভোট দিয়ে আপনার নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করুন। আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে জনগণ সব শক্তির উৎস। দেশবিরোধী অপশক্তি জাতির পিতার পরিবারকে হত্যা করে জনগণকে সামরিক  স্বৈরশাসনের জাঁতাকলে দীর্ঘকাল পিষ্ট করেছে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে হত্যার রাজনীতি বন্ধ করেছেন। এ সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী, কাজী জাফরউল্লাহ, ড. আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, উপপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক  সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এদিকে, একই স্থানে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত যৌথসভায় ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশী-বিদেশী চক্র নির্বাচিত সরকারকে হটানোর চক্রান্ত করছে। শুধু দেশে নয়, বাইরেও বাংলাদেশবিরোধী অপপ্রচার আছে, ষড়যন্ত্র আছে এবং নির্বাচিত সরকারকে অবৈধভাবে হটানোর চক্রান্ত দীর্ঘদিন ধরে আমরা লক্ষ্য করছি।

SomajVabna
পাউবোর গাইড ওয়াল নির্মাণে নিম্ন মানের সামগ্রী

পাউবোর গাইড ওয়াল নির্মাণে নিম্ন মানের সামগ্রী

বাঁশখালীর সাধনপুর ইউনিয়নের বাণীগ্রামের কুমারীছড়া এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) অধীনে ২৩ মিটার গাইড ওয়াল নির্মাণে বহুমুুখী দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন গ্রামবাসী।  ছোট্ট এই কাজটির জন্য টেন্ডার সিডিউলে ২৫ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হলেও গাইড ওয়াল নির্মাণের আরসিসি ঢালাইয়ে নিম্ন মানের পাথর, সিমেন্ট, বালি ও রড ব্যবহার করা হচ্ছে প্রকাশ্যে। এই ছোট্ট কাজটির ‘লাভের গুড়’ খেতে এই পর্যন্ত তিনজন বিএনপি নেতা ঠিকাদার হাত বদল দেখিয়ে পাউবো কর্মকর্তারাও ভাগের হিসেবে উৎফুল্ল হয়ে দুর্নীতিতে বাধা দিচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, সাধনপুরের বাণীগ্রাম কুমারী ছড়ার শ্মশান পাড়ের ২৩ মিটার গাইড ওয়ালের কাজ পেয়েছেন ফণি এন্টার প্রাইজের মালিক রুপেশ চাকমা। বরাদ্দ ধরা হয়েছে ২৫ লাখ টাকা। পাউবো কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় কাজটি রুপেশ চাকমাকে কিছু লাভ দিয়ে চুক্তিতে ভাগিয়ে নেন বাঁশখালী উপজেলা বিএনপির সভাপতি লোকমান আহম্মদ প্রকাশ মাস্টার লোকমান। তিনি আরেক চুক্তিতে বিক্রি করে দেন কাথরিয়ার বিএনপি নেতা রাসেলের কাছে। অর্থাৎ কাজে লাভের গুড় খেলেন ৩ জন ঠিকাদার। বর্তমানে উপ-ঠিকাদার রাসেল পাউবোর কর্মকর্তাদের সঙ্গে সখ্য রেখে ভয়ঙ্কর দুর্নীতি করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। স্থানীয় শ্মশানের কয়েকজন ব্যক্তি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বলেন, কাজে নিম্ন মানের সিমেন্ট, পাথর, সিলেকশন বালির পরিবর্তে স্থানীয় বালি ব্যবহারসহ নানা অনিয়ম করা হচ্ছে। শুনেছি অভিযোগ করলে কাজ বন্ধ হয়ে যায়, তাই কোনো রকমে কাজ উদ্ধারে চুপ থেকেছি। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কুমারী ছড়ার পাড়ের গাইড ওয়াল সরাসরি ছড়ার মাঝখানে করা হচ্ছে। নিচের অংশে ঢালাই ও গাইড ওয়ালের আর.সি.সি ঢালাইয়ে ৯৫% থেকে ১০০% ক্লিংকার যুক্ত ওপিসি সিমেন্ট (ওরডিনারি পোর্ট ল্যান্ড সিমেন্ট)’র পরিবর্তে ব্যবহার হচ্ছে পিসিসি সিমেন্ট (পোর্ট ল্যান্ড কম্পোজিট সিমেন্ট), ১২ এমএম লোহার পরিবর্তে ব্যবহার হচ্ছে ১০ এমএম লোহা, সিলেকশন বালি ২. ৫ এফ এম সিলেটি বালির পরিবর্তে ব্যবহার হচ্ছে ০.৮ এফএমের স্থানীয় পাহাড়ি ছড়ার বালি। ঢালাইয়ের জন্য যেসব পাথর মজুত করা হয়েছে তা অত্যন্ত নিম্ন মানের। হাতে ঘষা দিলেও অনেক পাথর গুঁড়ি হয়ে যায়। ফনি এন্টারপ্রাইজের মালিক রুপেশ চাকমা বলেন, আমি পাউবো কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় কাজটি চুক্তিভিত্তিক বিএনপি নেতা লোকমান আহম্মদকে বিক্রি করে দিয়েছি। দুর্নীতি করলে পাউবো কর্মকর্তা ও ওই ঠিকাদার দায়ী। আমি নয়। ওই কাজের উপ-ঠিকাদার দাবি করে বিএনপি নেতা রাসেল বলেন, আমি কাজটি লোকমান ভাইয়ের কাছ থেকে নিয়েছি। সিডিউল অনুসারে করছি। পাউবো কর্মকর্তারা আমার কাজ দেখে প্রশংসা করেছে। আমি কোনো দুর্নীতি করছি না। নিম্নমানের পাথর, বালি, রড ও সিমেন্টের ব্যাপারে তিনি বলেন, এ রকম কাজ বাহারছড়া, সরল, কালীপুরেও হচ্ছে শুধু আমি একা করছি না। সব ঠিকাদার একইভাবে কাজ করছে।  পাউবোর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী অনুপম পাল বলেন, দুর্নীতির অভিযোগ পেলে কাজের মান নিয়ে তদন্ত করব। সরেজমিন পরিদর্শনের সময় নিম্নমানের পাথর, বালি, সিমেন্ট মজুত থাকলেও আপনি ঠিকাদারকে কিছু বলেননি অথচ দ্রুত কাজ চালিয়ে যান বলে পরামর্শ দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে- এই প্রশ্নে তিনি বিষয়টি আবার দেখবেন বলে এড়িয়ে যান।

ডায়াবেটিক রোগীর উপযোগী  ব্রি ধান-১০৫ চাষে সাফল্য

ডায়াবেটিক রোগীর উপযোগী  ব্রি ধান-১০৫ চাষে সাফল্য

ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য উপযোগী বিশেষ ধান উৎপাদন হয়েছে চিতলমারী উপজেলায়। কৃষক বিধান চন্দ্র বিশ্বাসের জমিতে এই ধান উৎপন্ন হয়েছে। নতুন জাতের এই ধানের নাম ব্রি-১০৫। বিষয়টা এলাকায় সাড়া ফেলেছে। এবারই প্রথম চিতলমারীর ৩৩ শতক জমিতে নতুন জাতের এই ধান চাষ হয় বলে উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে। জানা গেছে, গোপালগঞ্জ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) বিজ্ঞানী সৃজন চন্দ্র দাস ও ড. মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলামের তত্ত্বাবধায়নে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চিতলমারীর সহযোগিতায় কৃষক বিধান চন্দ্র এই ধান সফলভাবে উৎপাদন করেন। চিতলমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সিফাত আল মারুফ শুক্রবার বলেন, ‘এই ধানের জিআই মান কম, অর্থাৎ ‘৫৫’ হওয়ায় ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য এই ধানের চাল উপযোগী খাবার। যে খাবারে জিআই যত বেশি থাকে সেই খাবার খাওয়ার পর তত দ্রুত ভেঙে রক্তে মিশে যায়। ফলে ওইসব খাবার ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য ক্ষতিকর। সাধারণ ধানের চালে জিআই থাকে ৬৬ মাত্রায়। কিন্তু নতুন জাতের এই ব্রিধান-১০৫ এর চালে জিআই ৫৫ মাত্রার হওয়ায় ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য উপযোগী খাবার।’  সিফাত আল মারুফ আরও জানান, এবারই প্রথম চিতলমারী উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের বড়বাক গ্রামের কৃষক বিধান চন্দ্র বিশ্বাসের ৩৩ শতক জমিতে নতুন জাতের এই ব্রিধান-১০৫ চাষ হয়। বৃহস্পতিবার ধানের নমুনা কর্তন শেষে দেখা যায়, ২০ বর্গমিটার জমিতে ১৪.৯ কেজি ফলন (কাচা) উৎপাদিত হয়েছে। যার শুকনো ওজন হবে ১৩.১৬ কেজি। এই হিসাবে হেক্টরপ্রতি এই ধানের ফলন হয়েছে ৬.৫৮ টন। পরীক্ষামূলক এই চাষে কৃষক বিধান চন্দ্র বিশ্বাস সফল হয়েছেন। আগামীতে আরও চাষিদের এই ধান চাষে উদ্বুদ্ধ করা হবে। চাষিরা বেশি এই ধান আবাদ করলে ডায়াবেটিক রোগীদের প্রতিষেধকে সহায়তা হবে।  কৃষক বিধান চন্দ্র বিশ্বাস জানান, নতুন ধরনের এই ধান-বীজ পেয়ে তিনি চাষে অনেক বেশি যতœশীল ছিলেন। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে ব্রিধান-১০৫ এর বীজসহ পরামর্শ পান। এখন বিশেষ এই ধান কোন বাজারে কেমন দামে বিক্রি হবে সেটা নিয়ে তিনি ভাবছেন।

IFIC
IFIC
মুরগির খামার করে স্বাবলম্বী গৃহিণী

মুরগির খামার করে স্বাবলম্বী গৃহিণী

একটা সময় ছিল যখন বাড়িতে বাড়িতে পালিত হতো হাঁস মুরগি। পরিবারের ডিম ও মাংসের চাহিদা পূরণে যা ব্যাপক ভূমিকা রাখতো। কিন্তু নানা কারণে এই প্রবণতা পরবর্তীতে কমে যায়। মানুষ ডিম ও মাংসের চাহিদা পূরণে পুরোপুরি নির্ভরশীল হয়ে পড়ে বাণিজ্যিক পোল্ট্রি খামারের ওপর। কিন্তু আশার কথা হচ্ছে সময়ের উপযোগিতায় শহর এলাকাসহ প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে এখন নতুন করে আগের মতো ছোট ছোট মুরগির খামার তৈরি করছেন বিভিন্ন পরিবার। যা তাদের পারিবারিক চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করছে।  মাগুরা বিভিন্ন গ্রামে মহিলারা ছোট ছোট লেয়ার মুরগির খামার করে নিজেরা সাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি পরিবারে আর্থিক সহযোগিতা করছে। সদর উপজেলার রূপাটি গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে কয়েকটি পরিবারের গৃহিণীরা তাদের গৃহস্থালীর কাজ ও ছেলে মেয়েদের দেখভালের পাশাপাশি এ লেয়ার মুরগির খামার করে মাসে প্রায় ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা বাড়তি আয় করছেন।