ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

আবাহনীকে অপেক্ষায় রাখল মোহামেডান

স্পোর্টস রিপোর্টার

প্রকাশিত: ০০:১৮, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

আবাহনীকে অপেক্ষায় রাখল মোহামেডান

আবাহনীর সেঞ্চুরিয়ান নাজমুল হোসেন শান্ত

ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের (ডিপিএল) সুপার লিগ পর্বের মাত্র দুই ম্যাচ জিতেই চ্যাম্পিয়ন হতো পারত আবাহনী লিমিটেড। ফতুল্লায় তারা গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে ১৭১ রানের বিশাল জয় পেয়েছেও তারা। কিন্তু এরপরও তাদের শিরোপা উল্লাসের অপেক্ষা বাড়িয়েছে চির প্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব।

কারণ মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার তারা ৩৩ রানে জিতেছে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে। তাই কাগজে-কলমে বাকি ৩ ম্যাচ যদি মোহামেডান জিতে যায় এবং আবাহনী হেরে যায় তাহলে এমনকি ট্রফিটা যেতে পারে মোহামেডানের ঘরেও! সুপার লিগের প্রথম ম্যাচে হেরে যাওয়ায় এই লড়াই থেকে ছিটকে গেছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। তবে লড়াইয়ে থাকা শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবকেও তারা ছিটকে দিয়েছে এদিন বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে ৭ উইকেটে হারিয়ে দিয়ে।

১৩ ম্যাচের সব জিতে আবাহনী ২৬ ও ১০ ম্যাচ জিতে মোহামেডান ২০ পয়েন্ট নিয়ে এখন শীর্ষ দুটি স্থানে। যদিও ক্ষীণ আশা আছে মোহামেডানের, কিন্তু পরের ম্যাচে আবাহনী জিতলেই তারা ধরাছোঁয়ার বাইরে গিয়ে টানা দ্বিতীয়বার হয়ে যাবে চ্যাম্পিয়ন।
ফতুল্লায় দুর্বার আবাহনী এদিন ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ৩৪৩ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়ে। নাইম শেখ ৫২ বলে ৩৩, লিটন কুমার দাস ৪৪ বলে ৩৩ রানে ফিরে গেলেও অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত মাত্র ৮৪ বলে ৮ চার, ৬ ছক্কায় ১০১ রান করেন।

এ ছাড়া চারে নেমে এনামুল হক বিজয় ৫১ বলে ৪ চার, ৫ ছক্কায় ৬৮ ও তাওহিদ হৃদয় ৪০ বলে ৩ চার, ৪ ছক্কায় অপরাজিত ৫৮ রান করেন। গাজী গ্রুপের শেখ পারভেজ জীবন ২ উইকেট নেন। জবাবে গাজী গ্রুপ ৩৫.১ ওভারে গুটিয়ে যায় ১৭২ রানে। ৯৬ রানে ৫ উইকেট হারালেও সাব্বির হোসেন শিকদার ৬৮ বলে ৮ চার, ১ ছক্কায় ৬২ ও হাবিবুর রহমান সোহান ৩৪ বলে ৪ চার, ৩ ছক্কায় ৩৮ রান করলে আবাহনীর জয় কিছুটা দেরিতে এসেছে।

বাঁহাতি স্পিনার রাকিবুল হাসান ১০ ওভারে ১ মেডেনে ৪৪ রানে ৪ উইকেট নেন। তানজিম হাসান সাকিব ও মোসাদ্দেক হোসেন দুটি করে উইকেট নেন। আগেভাগে ১৭১ রানের বিশাল জয় পেয়ে আবাহনী অপেক্ষায় ছিল বাকি দুই ম্যাচের ফল দেখার জন্য। কারণ বাকি দুই ম্যাচে শাইনপুকুর ও মোহামেডান হারলেই এদিন চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাবে তারা। বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে শাইনপুকুর ৭ উইকেটে হেরে আশা বাড়িয়ে দেয় আবাহনীর। ৪৬.১ ওভারে ২৬৪ রানে থামে শাইনপুকুর।

ওপেনার জিশান আলম ৬১ বলে ৮ চার ও ৮ ছক্কায় ৯৮ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন। তানজিদ হাসান তামিম ২৯ বলে ৪ চার, ২ ছক্কায় ৩৯ ও অধিনায়ক আকবর আলী ৮৩ বলে ৪ চার, ৩ ছক্কায় ৬৪ রান করেন। তাইবুর রহমান ৩টি এবং জিয়াউর রহমান, রবিউল ইসলাম রবি ও মেহেদি হাসান সোহাগ ২টি করে উইকেট নেন। 
শেখ জামাল ৪৬.২ ওভারে মাত্র ৩ উইকেট খুঁইয়ে ২৬৫ রান তুলে বিশাল জয় পায় এবং শিরোপা রেস থেকে ছিটকে ফেলে শাইনপুকুরকে।

ওপেনার সাইফ হাসান ৭৫ বলে ৮ চার, ৩ ছয়ে ৬৭ এবং ফজলে রাব্বি ১১৯ বলে ৬ চার, ৬ ছক্কায় ১০১ রান করেন। নাহিদ রানা, মুকিদুল ইসলাম ও হাসান মুরাদ ১টি করে উইকেট নেন। মিরপুরে মোহামেডান দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে তোলে ৩১৭ রানের বড় স্কোর। পুরো আসরে নিষ্প্রভ রনি তালুকদার এদিন ১৩১ বলে ৮ চার, ৯ ছক্কায় ১৪১ রানের বিশাল ইনিংস খেলেন। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে তার এই চতুর্থ সেঞ্চুরি হাঁকানো ইনিংসটাই ব্যক্তিগত সেরা। 
মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ৭৭ বলে ৫ চার, ১ ছয়ে ৫০ ও মেহেদি হাসান মিরাজ মাত্র ২৯ বলে ৭ চার, ১ ছয়ে অপরাজিত ৫৩ রান করেন। শেখ মেহেদি হাসান ২ উইকেট নেন। জবাবে প্রাইম ব্যাংক ৪৮.৫ ওভারে ২৮৪ রানে থামে। শুরুর ধীরগতিতেই তারা হেরেছে। শাহাদাত হোসেন দিপু ৭৩ বলে ১ চার, ৩ ছক্কায় ৫১, জাকির হাসান ৪৪ বলে ৩ চার, ১ ছয়ে ৪১ ও পারভেজ হোসেন ইমন ৫৪ বলে ৩ চার, ২ ছক্কায় ৩৮ রান করেন। পরের দিকে শেখ মেহেদি ৪৫ বলে ৪ চার, ৩ ছক্কায় ৬৪ ও সানজামুল ইসলাম ৩৫ বলে ৩ চার, ৩ ছক্কায় ৪৯ রান করলেও জিততে পারেনি প্রাইম ব্যাংক। নাসুম আহমেদ, মুশফিক হাসান ও আবু হায়দার রনি ২টি করে উইকেট নেন।

×