ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

ডায়াবেটিক রোগীর উপযোগী  ব্রি ধান-১০৫ চাষে সাফল্য

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট

প্রকাশিত: ২২:৫৭, ২৬ এপ্রিল ২০২৪; আপডেট: ২২:৫৮, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

ডায়াবেটিক রোগীর উপযোগী  ব্রি ধান-১০৫ চাষে সাফল্য

চিতলমারী উপজেলায় ডায়াবেটিক রোগীদের উপযোগী ধান খেত

ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য উপযোগী বিশেষ ধান উৎপাদন হয়েছে চিতলমারী উপজেলায়। কৃষক বিধান চন্দ্র বিশ্বাসের জমিতে এই ধান উৎপন্ন হয়েছে। নতুন জাতের এই ধানের নাম ব্রি-১০৫। বিষয়টা এলাকায় সাড়া ফেলেছে। এবারই প্রথম চিতলমারীর ৩৩ শতক জমিতে নতুন জাতের এই ধান চাষ হয় বলে উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে। জানা গেছে, গোপালগঞ্জ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) বিজ্ঞানী সৃজন চন্দ্র দাস ও ড. মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলামের তত্ত্বাবধায়নে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চিতলমারীর সহযোগিতায় কৃষক বিধান চন্দ্র এই ধান সফলভাবে উৎপাদন করেন।
চিতলমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সিফাত আল মারুফ শুক্রবার বলেন, ‘এই ধানের জিআই মান কম, অর্থাৎ ‘৫৫’ হওয়ায় ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য এই ধানের চাল উপযোগী খাবার। যে খাবারে জিআই যত বেশি থাকে সেই খাবার খাওয়ার পর তত দ্রুত ভেঙে রক্তে মিশে যায়। ফলে ওইসব খাবার ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য ক্ষতিকর। সাধারণ ধানের চালে জিআই থাকে ৬৬ মাত্রায়। কিন্তু নতুন জাতের এই ব্রিধান-১০৫ এর চালে জিআই ৫৫ মাত্রার হওয়ায় ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য উপযোগী খাবার।’ 
সিফাত আল মারুফ আরও জানান, এবারই প্রথম চিতলমারী উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের বড়বাক গ্রামের কৃষক বিধান চন্দ্র বিশ্বাসের ৩৩ শতক জমিতে নতুন জাতের এই ব্রিধান-১০৫ চাষ হয়। বৃহস্পতিবার ধানের নমুনা কর্তন শেষে দেখা যায়, ২০ বর্গমিটার জমিতে ১৪.৯ কেজি ফলন (কাচা) উৎপাদিত হয়েছে। যার শুকনো ওজন হবে ১৩.১৬ কেজি। এই হিসাবে হেক্টরপ্রতি এই ধানের ফলন হয়েছে ৬.৫৮ টন। পরীক্ষামূলক এই চাষে কৃষক বিধান চন্দ্র বিশ্বাস সফল হয়েছেন। আগামীতে আরও চাষিদের এই ধান চাষে উদ্বুদ্ধ করা হবে। চাষিরা বেশি এই ধান আবাদ করলে ডায়াবেটিক রোগীদের প্রতিষেধকে সহায়তা হবে। 
কৃষক বিধান চন্দ্র বিশ্বাস জানান, নতুন ধরনের এই ধান-বীজ পেয়ে তিনি চাষে অনেক বেশি যতœশীল ছিলেন। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে ব্রিধান-১০৫ এর বীজসহ পরামর্শ পান। এখন বিশেষ এই ধান কোন বাজারে কেমন দামে বিক্রি হবে সেটা নিয়ে তিনি ভাবছেন।


 

×