ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

বান্ধবীর জন্য অর্ডার করা বার্গার খাওয়ায় বন্ধুকে গুলি করে খুন

প্রকাশিত: ২২:৪৮, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

বান্ধবীর জন্য অর্ডার করা বার্গার খাওয়ায় বন্ধুকে গুলি করে খুন

 বার্গার।

ঘটনাটি ঘটেছিল গত ৮ ফেব্রুয়ারি করাচির ডিফেন্স ফেজ ৫ এলাকায়। নিহত যুবকের নাম আলি কিরিও। তিনি এক বিচারকের ছেলে। অভিযুক্ত যুবকের নাম দানিয়াল। সে সিনিয়র পুলিশ সুপার (এসএসপি) নাজির আহমেদ মীরবাহারের ছেলে। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, বান্ধবীর বার্গার খাওয়া নিয়ে বন্ধুর সঙ্গে তাঁর ঝগড়া বাঁধে। 

পাকিস্তানের করাচিতে বিচারকের ছেলেকে খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। তথ্য অনুযায়ী, তাঁর এক বন্ধু নিজের বান্ধবীর জন্য বার্গার অর্ডার করেছিল। তবে সেই বার্গারের এক টুকরো খেয়ে ফেলেছিলেন তিনি। তা নিয়ে ঝগড়ার জেরে তাঁর বন্ধু তাঁকে গুলি করে। এই ঘটনায় তদন্ত শেষ করে পুলিশ একটি রিপোর্ট দাখিল করেছে। 

পাক সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঘটনাটি ঘটেছিল গত ৮ ফেব্রুয়ারি করাচির ডিফেন্স ফেজ ৫ এলাকায়। নিহত যুবকের নাম আলি কিরিও। অভিযুক্ত যুবকের নাম দানিয়াল। সে সিনিয়র পুলিশ সুপার (এসএসপি) নাজির আহমেদ মীরবাহারের ছেলে। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, বান্ধবীর বার্গার খাওয়া নিয়ে বন্ধুর সঙ্গে তাঁর ঝগড়া বাঁধে। তারপরই এমন কাণ্ড। 

প্রতিবেদন অনুযায়ী, দানিয়াল তার বান্ধবী শাজিয়াকে তার বাড়িতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। সেই সময় তার বন্ধু আলি কিরিও এবং তার ভাই আহমারও তার বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন। তবে অভিযুক্ত নিজের জন্য এবং শাজিয়ার জন্য দুটি বার্গার অর্ডার করেছিল। বার্গার দেখতে পেয়ে সেটির একটি অংশ খেয়ে ফেলেছিলেন কিরিও। তা রীতি মতো ক্ষেপে উঠছিল দানিয়াল। এই নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে ঝগড়া বাঁধে। 

অভিযুক্ত যুবক বাড়িতে নিযুক্ত একজন গার্ডের রাইফেল কেড়ে নেয়। তা থেকে বন্ধু কিরিওকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। ঘটনায় তিনি গুরুতর জখম হন। তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া। তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। 

এই খুনের জন্য পুলিশ সুপারের ছেলেকেই দায়ী করেছেন তদন্ত কর্মকর্তারা। তার ভিত্তিতে প্রতিবেদনের রিপোর্ট জমা দেওয়া হয় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে। ঘটনার পরেই অভিযুক্ত দানিয়াল নাজিরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বর্তমানে জেলে বন্দি রয়েছে সে। এখনও এই মামলায় বিচার শুরু হয়নি।

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস।

এসআর

×