জ্যাক সুলিভান
মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যেই একদিকে ইরান সফরে উত্তর কোরিয়ার প্রতিনিধি দল, অন্যদিকে রাশিয়ায় ইরানের প্রতিনিধি দল। পিয়ংইয়ং ও মস্কোর সঙ্গে সম্পর্ক সম্প্রসারণে তেহরানের এমন দৌড়ঝাঁপ মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। বুধবার উত্তর কোরিয়ার বৈদেশিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিষয়ক মন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল তেহরান সফরে যান।
পরে পিয়ংইয়ং-তেহরানের মধ্যে সামরিক ও কূটনৈতিক সহযোগিতা জোরদারে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। আর এতেই ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে ব্যতিক্রমী সফরটি। এক সফর নিয়ে আলোচনার রেশ না কাটতেই, সামনে এলো নতুন খবর। বৃহস্পতিবার সেন্ট পিটার্সবার্গে ইরান ও রাশিয়ার নিরাপত্তা প্রধানের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। পশ্চিমাদের একতরফা প্রভাব কমানোর লক্ষ্যে দুই দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদের মধ্যে নিরাপত্তা বিষয়ক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়। খবর এএফপির।
উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়ার সঙ্গে ইরানের প্রতিনিধিদের দৌড়ঝাঁপ কেন্দ্র করে উদ্বিগ্ন পাশ্চাত্যের পরাশক্তিগুলো। আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন তিনটি দেশই একে অপরের ঘনিষ্ঠ মিত্র। তাদের এমন বন্ধুত্বে রীতিমতো ঘুম হারাম পশ্চিমাদের। বিশেষ করে এ ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র যেন চোখে সর্ষেফুল দেখছে। ওয়াশিংটনের বিপরীতে তিন দেশ যেন শত্রুর শত্রু বন্ধু হয়ে গেল।
এসব প্রতিরক্ষা সহযোগিতা এশিয়া এবং ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলকে আরও অস্থিতিশীল করতে পারে বলেও শঙ্কা ওয়াশিংটনের। মার্কিন বিরোধী দেশগুলোর মধ্যে এই বলয়, ওয়াশিংটনের জন্য মারাত্মক হুমকি হিসেবে দেখছে মার্কিন প্রশাসন। এরই মধ্যে ইরান, রাশিয়া এবং উত্তর কোরিয়ার মধ্যে সামরিক সহযোগিতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান। বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ইরান ও উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা চুক্তি পশ্চিম এশিয়া এবং ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলকে আরও অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে।
