ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

শেখ রাসেলের হার ২-১ গোলে

ফেডারেশন কাপ ফুটবলের সেমিতে মোহামেডান

স্পোর্টস রিপোর্টার

প্রকাশিত: ০০:৫২, ৩ এপ্রিল ২০২৪

ফেডারেশন কাপ ফুটবলের সেমিতে মোহামেডান

ফেডারেশন কাপের সেমিতে জায়গা করে নেওয়া মোহামেডানের ফুটবলাররা

ঘরোয়া ফুটবলের অন্যতম আসর ফেডারেশন কাপের ৩৫তম আসরের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম ম্যাচে মঙ্গলবার ছিল নাটকীয়তা-উত্তেজনা। ম্যাচ শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই গোল হয়েছে। কিন্তু যে দল গোল হজম করে হারতে বসেছিল, তারাই কিনা ইনজুরি টাইমে গোল করে বাজিমাত করে! হ্যাঁ, মঙ্গলবার গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র বনাম মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের মধ্যকার ম্যাচে এমনটাই ঘটেছে।

খেলায় জয়ের শেষ হাসি হাসে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন মোহামেডানই। তারা ২-১ গোলে হারায় রাসেলকে। এই জয়ে টুর্নামেন্টে সবার আগে সেমিফাইনালে নাম লেখালো ‘ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট’ খ্যাত মোহামেডান। এই আসরে ২০২০ ও ২০২২ সালেও সেমিতে খেলেছিল মতিঝিলপাড়ার ক্লাবটি। 
ফেডারেশন কাপে মোহামেডান-রাসেল সর্বশেষ মোকাবিলা হয়েছিল ২০১৯ সালে। সেবার গ্রুপ পর্বের সাক্ষাতে কেউ জেতেনি, হারেওনি। হয়েছিল গোলশূন্য ড্র। ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২৪ ডিসেম্বর, ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে। ম্যাচটি ছিল যেমন তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ, তেমনি ছিল চৈত্রের তীব্র উষ্ণতাপূর্ণ। ফলে উভয় দলের খেলোয়াড়দেরই অনেক কষ্ট করে খেলতে হয়েছে। গরমের মাত্রা এতটাই বেশি ছিল যে, রেফারি বিটুরাজ বড়ুয়াকে তাই দুই অর্ধেই ‘কুলিং ব্রেক’ দিতে হয়! ম্যাচ শুরু হয়েছে।

গ্যালারির দর্শকরা তখনো ঠিকমতো বসতে পারেননি। কিছু বুঝে ওঠার আগেই গোল! আচমকা গোল করে এগিয়ে যায় ২০১২ সালের চ্যাম্পিয়ন ও ‘বেঙ্গল ব্লুজ’ খ্যাত রাসেল। খেলার তখন এক মিনিট পুরোপুরিও হয়নি। চলছে মাত্র ২৬ সেকেন্ড। ফ্রি কিক থেকে বক্সের ওপর দুর্দান্ত হেড করে গোলটি করেন গিনি ফরোয়ার্ড সেকু সিল্লা (১-০)। মোহামেডানের গোলরক্ষক সুজন লাফিয়ে উঠেও বল ধরতে পারেননি। এই গোল হজম করে যেন স্তব্ধ হয়ে যায় সাদা-কালো শিবির। চলতি মৌসুমে স্বল্প সময়ে গোলের রেকর্ড এটি। 
পিছিয়ে পড়ে নিজেদের সামলে সমতায় ফেরার চেষ্টা করে মোহামেডান। কিন্তু প্রথমার্ধে তাদের সেই প্রচেষ্টা সফল হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধেও একই অবস্থা। একের পর এক আক্রমণ শাণিয়েও সফলকাম হতে পারছিল না মোহামেডান। ধীরে ধীরে মোহামেডানের সমর্থকরা হাল ছেড়ে দিচ্ছিলেন, আর রাসেলের সমর্থকদের সেমিতে ওঠার আশা আরও বেড়ে যাচ্ছিল। তখনই ম্যাচের ৭১ মিনিটে গোল করে সমতায় ফেরে মোহামেডান।

সংঘবদ্ধ আক্রমণে বক্সের সামনে থেকে উজবেক মিডফিল্ডার মুজাফফরভের তীব্র শট খুঁজে নেয় রাসেলের জাল (১-১)। উল্লাসে ফেটে পড়ে মোহামেডান শিবির। খেলা অতিরিক্ত সময়ের দিকে গড়াবে, হয়তো টাইব্রেকারও হতে পারেÑ এমনই জল্পনা-কল্পনায় যখন সবাই বিভোর, তখনই সংযুক্তি সময়ে (৯০+১ মিনিটে) গোল করে বসে মোহামেডান। বক্সের মধ্যে সুবিধাজনক অবস্থানে বল পান বদলি ফরোয়ার্ড জাফর ইকবাল।

প্রথম দফায় তার নেয়া শট রাসেল গোলরক্ষক মিতুল মারমা রুখে দেন। ফিরতি বলে আবার শট নিলে রাসেল ডিফেন্ডারনা গোললাইন সেভ করতে ব্যর্থ হন (২-১)। শেষে এই ব্যবধানে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে মোহামেডান। ১৬ এপ্রিল দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে এই ভেন্যুতেই। সেখানে লড়বে বসুন্ধরা কিংস ও রহমতগঞ্জ এমএফএস।

×