ছবি: সংগৃহীত।
করোনা-পরবর্তী সময়ে শেয়ারবাজারে প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর উত্থানের নেতৃত্বে ছিল ‘ম্যাগনিফিসেন্ট ৭’। কিন্তু এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) প্রযুক্তির নতুন যুগে অন্যরা এগিয়ে গেলেও পিছিয়ে পড়ছে একসময়কার অগ্রগামী অ্যাপল।
অ্যাপলের শেয়ারের দাম চলতি বছর ১৮% পর্যন্ত কমে গেছে, যা 'ম্যাগ ৭'-এর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ পারফরম্যান্স। মাইক্রোসফট ও এনভিডিয়ার পর এখন অ্যাপল বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ মূল্যমানের কোম্পানি।
অন্যরা কোথায়, অ্যাপল কোথায়
মাইক্রোসফট, গুগল, অ্যামাজন, মেটা, টেসলা ও এনভিডিয়া—সবাই এআই প্রযুক্তিতে বিশাল অগ্রগতি দেখিয়েছে। কেউ নতুন সফটওয়্যার, কেউ হাই-স্পিড চিপ, কেউ স্মার্টগ্লাস—সবাই ভবিষ্যতের পথে। অথচ অ্যাপলের এআই প্রকল্প "Apple Intelligence" এখনও পিছিয়ে, এবং মূলত ChatGPT’র ওপর নির্ভরশীল।
অ্যাপলের Vision Pro হেডসেট নিয়েও উচ্ছ্বাস নেই—বিক্রি প্রত্যাশার অনেক নিচে। স্বচালিত গাড়ি প্রকল্পও বাতিল হয়ে গেছে, খরচ হয়েছে ১০ বছর ও ১০ বিলিয়ন ডলার।
চীনে ধাক্কা, যুক্তরাষ্ট্রেও চাপে
চীনে আইফোনের বিক্রি ২০% কমেছে, এবং এখন অ্যাপল সেখানে পঞ্চম অবস্থানে। এর মধ্যে আবার চীনের এআই আইন মেনে অ্যাপলকে ChatGPT-ভিত্তিক ফিচার সরিয়ে ফেলতে হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্পের শুল্ক নীতির কারণে কোম্পানির খরচ ৯০০ মিলিয়ন ডলার বাড়তে পারে। ভারতের দিকে উৎপাদন সরিয়ে নিলেও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই পদক্ষেপের সমালোচনা করছেন।
অ্যাপলের সেবা খাত (যেমন অ্যাপ স্টোর, আইক্লাউড, অ্যাপল মিউজিক) কিছুটা বাড়লেও, হার্ডওয়্যারের আয় কমছে। এখন অ্যাপল লাভজনক, কিন্তু প্রবৃদ্ধিহীন।
এই মুহূর্তে অ্যাপল হারছে না, কিন্তু নেতৃত্বও দিচ্ছে না। আর এআই-নির্ভর প্রযুক্তির বাজারে সেটাই সবচেয়ে বড় দুর্বলতা।
নুসরাত
