
চন্দ্রযান-৩। ছবি: সংগৃহীত
চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে রয়েছে সালফার। নিশ্চিত করেছে রোভার প্রজ্ঞান। এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এই খবর জানিয়েছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো)।
আরও জানিয়েছে, সালফারের পাশাপাশি অ্যালুমিনিয়াম, ক্যালশিয়াম, লোহা, ক্রোমিয়াম, টাইটেনিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, সিলিকন, অক্সিজেনের অস্তিত্বও মিলেছে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে। হাইড্রোজেনের খোঁজ চলছে।
আরও পড়ুন:বাবার মরদেহ রেখেই এইচএসসি পরীক্ষা দিলেন ছেলেChandrayaan-3 Mission:
— ISRO (@isro) August 29, 2023
In-situ scientific experiments continue .....
Laser-Induced Breakdown Spectroscope (LIBS) instrument onboard the Rover unambiguously confirms the presence of Sulphur (S) in the lunar surface near the south pole, through first-ever in-situ measurements.… pic.twitter.com/vDQmByWcSL
গত ২৪ আগস্ট ভোরে ল্যান্ডার বিক্রম থেকে নেমে এসেছিল রোভার প্রজ্ঞান। তারপর থেকে ছয়চাকা বিশিষ্ট এই যান চাঁদে অনুসন্ধান চালাচ্ছে। ইসরো এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়েছে, চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অ্যালুমিনিয়াম, ক্যালশিয়াম, লোহা, ক্রোমিয়াম, টাইটেনিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, সিলিকন, অক্সিজেনের যে অস্তিত্ব মিলবে, তা প্রত্যাশিতই ছিল। এবার হাইড্রোজেনের খোঁজ চলছে।
প্রজ্ঞানে রয়েছে লেজ়ার-ইনডিউসড ব্রেকডাউন স্পেক্ট্রোস্কোপ (এলআইবিএস)। নমুনা সংগ্রহ করে তা লেজ়ার প্রযুক্তির মাধ্যমে পরীক্ষা করে এই প্রযুক্তি। বেঙ্গালুরুর ইসরোতে ইলেক্ট্রো-অপটিকস সিস্টেমের গবেষণাগারে এই প্রযুক্তি তৈরি করা হয়েছে। এলআইবিএসের মাধ্যমেই চাঁদের বুকে সালফার-সহ বেশ কিছু খনিজের সন্ধ্যান পেল প্রজ্ঞান।
চাঁদের মাটিতে ছয়দিন কাটিয়েছে প্রজ্ঞান। চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে যে অংশে ল্যান্ডার বিক্রম অবতরণ করেছে। আগে অন্য কোনো দেশ সেখানে মহাকাশযান পাঠাতে পারেনি। ওই এলাকাটি পৃথিবীর বিজ্ঞানীদের কাছে অজানা।
প্রজ্ঞান যে তথ্য পাঠাচ্ছে, তা চাঁদ নিয়ে গবেষণার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বুধবার (২৩ আগস্ট) ঠিক সন্ধ্যা ৬টা ৪ মিনিটে চাঁদের মাটিতে পা রেখেছিল তৃতীয় চন্দ্রযানের ল্যান্ডার বিক্রম। পাখির পালকের মতো অবতরণ (সফ্ট ল্যান্ডিং) করেছিল ল্যান্ডারটি। এর আগে কেউ কখনো করতে পারেনি। অবতরণের কয়েক ঘণ্টা পরে বিক্রমের পেট থেকে দরজা খুলে বেরিয়ে আসে প্রজ্ঞান। তার গতিবেগ সেকেন্ডে এক সেন্টিমিটার মাত্র।
সুত্র:আনন্দ বাজার।
এসআর