
ছবিঃ সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে হাজির হতে শেখ হাসিনার নামে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। আগামী ৩ জুন সকাল ১০টায় ট্রাইবুনালে হাজির হতে বলা হয়েছে তাকে।
সোমবার (২৬ মে) দেশের দুটি জাতীয় দৈনিকে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়।
তবে নির্ধারিত সময়ে আদালতে হাজির না হলে এক বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড হতে পারে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের প্রসিকিউটর।
গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানের মুখে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে জনসম্মুখে দেখা যায়নি শেখ হাসিনাকে। তবে এ সময়ে সামাজিক মাধ্যমে তার কয়েকটি অডিও বক্তব্য ছড়িয়ে পড়ে। তার মধ্যে ২২৭ জনকে হত্যার অনুমতি সংক্রান্ত এক বক্তব্য নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়। এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত অবমাননার অভিযোগে ২৫ মে ট্রাইবুনালে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয় তাকে। কিন্তু তিনি সে নির্দেশ উপেক্ষা করেন।
ফলে ট্রাইবুনাল নতুন করে ৭ দিনের সময় দিয়ে দুটি জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের প্রসিকিউটর গাজী এম.এচ. তামিম জানান, “সময়মতো আদালতে হাজির না হলে শেখ হাসিনাসহ দুইজনের বিরুদ্ধে জেল ও জরিমানা হতে পারে। যদি কোনো ব্যক্তি ট্রাইবুনালের কোনো প্রসেসকে বাধাগ্রস্ত করেন, কোনো সাক্ষী বা ভিকটিমকে ভীতি প্রদর্শন করেন অথবা ট্রাইবুনালের আদেশ অমান্য করেন, তাহলে ট্রাইবুনাল আইন ১১(৪) ধারার অধীনে এক বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে।”
রোববার (২৫ মে) আদালতে জবাব দেওয়ার কথা থাকলেও তা দেননি শেখ হাসিনা। ফলে তাকে আরও একবার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
প্রসিকিউটর আরও বলেন, “২২৭ জনকে হত্যার হুমকি, মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে হুমকি এবং বাদীপক্ষের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়ার মতো বক্তব্য তিনি দিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এসব বিষয়ে আদালত অবমাননার অভিযোগে আবেদন দাখিল করা হয়েছে।”
এছাড়াও জুলাই মাসে সংঘটিত গণহত্যা ও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন ঈদের আগেই ট্রাইবুনালে জমা দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
ইমরান