
ছবি: সংগৃহীত
চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে জামায়াতে ইসলামীর একটি প্রতিনিধি দল। শনিবার (২৪ মে) রাত আটটায় রাজধানীতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ‘যমুনা’য় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান জানান, দেশে চলমান অস্থিরতা ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রেক্ষাপটে এই আলোচনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, নির্বাচনের সময়সূচি নিয়ে জনমনে তৈরি হওয়া উদ্বেগ নিরসন জরুরি হয়ে পড়েছে। জামায়াত বৈঠকে দু’টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উত্থাপন করে- প্রথমত, নির্দিষ্ট ও সুস্পষ্ট একটি নির্বাচনকাল বা রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি এবং দ্বিতীয়ত, নির্বাচন পূর্ববর্তী সময়ে অপরাধীদের বিচার ও কাঙ্ক্ষিত সংস্কারের দৃশ্যমান অগ্রগতির প্রত্যাশা।
তিনি জানান, “সংস্কার প্রক্রিয়া শেষ না করে যদি নির্বাচন আয়োজন করা হয়, তাহলে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হবে না।” তিনি বলেন, সরকার ইতোমধ্যে সংস্কারের যে পাঁচটি ক্ষেত্রে কাজ শুরু করেছে, সেগুলোর সন্তোষজনক নিষ্পত্তি জরুরি।
নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় নিয়ে জামায়াত আমির বলেন, যদি সংস্কার কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন হয়, তবে ফেব্রুয়ারির মধ্যভাগে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। তবে সংস্কারে আরও সময় প্রয়োজন হলে, রমজানের পর নির্বাচন আয়োজনের পক্ষেও মত দিয়েছে দলটি।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “আমরা কাউকে পদত্যাগ করতে বলিনি। বরং আমরা চাই, দেশের স্বার্থে সকল পক্ষ মিলে সহযোগিতার মনোভাব বজায় রাখুক।”
প্রধান উপদেষ্টার প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে তিনি জানান, “তিনি আমাদের কথা অত্যন্ত মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন এবং প্রস্তাবগুলো গুরুত্বসহকারে বিবেচনায় নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।”
সংবাদ সম্মেলনে জামায়াত আমির আরও বলেন, “দেশ আমাদের সকলের। দেশের স্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আমরা ন্যায় ও সত্যের পথে অবিচল থাকব।”
তিনি গণতন্ত্রের চর্চায় পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও ভিন্নমতকে মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “Let us agree to disagree” — এই নীতিতেই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য নিহিত।
ভিডিও দেখুন: https://www.youtube.com/watch?v=CYXDx4dvEio
এম.কে.