
এক সময় কারেন্ট জালকে বলা হতো মাছ ধ্বংসের হাতিয়ার। কিন্তু তারও একটা সীমারেখা ছিল। কিন্তু বর্তমানে তার চেয়েও ভয়ংকর এক জাল চীন থেকে আমদানি করা হচ্ছে। তার নাম চায়না দুয়ারী। এ জাল দেখে দেখে আবার আমাদের দেশের জাল উৎপাদনকারীরা তাদের নিজস্ব কারখানায় ব্যাপকভাবে উৎপাদনে মেতে উঠেছে। মৎস্য শিকারীদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় চায়না দুয়ারী জাল। এ জাল নদী-নালা, খাল-বিল, হাওড়-বিলে পাতলে মাছ ও তার পোনা বোঝাই হয়ে উঠে আসে। ২০১৭ সালে প্রথম এ জালটি ঢাকার চকবাজারে দেখা মিলে। সেই জালই এখন দেশের আনাচে-কানাছে ছড়িয়ে পড়েছে। সে সময়ে মাছ ধ্বংসকারী জালটি সরকার কারেন্ট জালের মতোই নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। কিন্তু দেশীয় বাজারে ব্যাপক চাহিদা এবং লাভজনক হওয়ায় তা দেশের বিভিন্ন জাল কারখানায় এখন উৎপাদন করা হচ্ছে। আর সেই জালই চোরাই পথে দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে আমাদের জলাশয় থেকে দেশীয় প্রজাতির মাছ হারিয়ে যেতে বসেছে। কয়েক দিন আগে মুন্সীগঞ্জ জেলার আড়িয়াল বিল থেকে স্থানীয় মৎস্য কর্মকর্তাদের অভিযানে বিপুল পরিমাণ জাল আটক হয়। জালের পরিমাণ দেখে মৎস্য কর্মকর্তারা পর্যন্ত আঁতকে উঠেছেন। তবে এ চিত্র দেশের সর্বত্রই বিরাজমান। তাই দেশের প্রতিটি নদী ও জলাশয়ে চায়না দুয়ারী জাল নিধনে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করে নদী ও জলাশয়ের মাছশূন্য রোধ করতে হবে। নইলে নদী থাকবে কিন্তু তাতে আর দেশীয় প্রজাতি মাছের দেখা পাওয়া যাবে না।
হাজী মো. রাসেল ভূইয়া
খলিফাবাড়ী, সিপাহীপাড়া, মুন্সীগঞ্জ
প্যানেল