ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৭ মে ২০২৫, ১৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ইসরাইল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ ॥ বঙ্গবন্ধুর বিশ্ব শান্তির প্রাসঙ্গিকতা

ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন

প্রকাশিত: ২০:৫১, ৩০ মে ২০২৪

ইসরাইল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ ॥ বঙ্গবন্ধুর বিশ্ব শান্তির প্রাসঙ্গিকতা

ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া

ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার নৈতিক, আইনি এবং রাজনৈতিক যুক্তি বরাবরই জোরালো। জাতিসংঘের প্রায় ১৪০টি সদস্য দেশ ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্রের মর্যাদা দেওয়ার পক্ষে। গাজা যুদ্ধ এখন ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার ইস্যুটিকে নতুন প্রাসঙ্গিকতা দিয়েছে। আগের চেয়ে বেশি সংখ্যক দেশ এখন ইসরাইলের অস্থিরতাকে কেবল ফিলিস্তিনিদের দুর্দশাকে চিরস্থায়ী হাতিয়ার হিসেবে দেখছে না; বরং তারা এই বেপরোয়া আচরণকে ইসরাইলের নিজেদের দুর্দশাকেও চিরস্থায়ী করার ‘গ্যারান্টি’ হিসেবে দেখছে

ফিলিস্তিনে [প্যালেস্টাইন], গাজায় এবং আশ্রয়শিবির রাফাহতে গণহত্যা চলছে। নারী-শিশু-যুবক-বৃদ্ধ কেউ বাদ যাচ্ছে না এই গণহত্যা থেকে। এ পরিস্থিতিতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে নারী ও শিশু। গাজায় মোট মানুষ ২ মিলিয়ন বা ২০ লাখ [যুদ্ধকালে এ সংখ্যাটা ১২ লাখে নেমেছে]। এর মধ্যে অর্ধেকই শিশু। প্রায় প্রতিদিনই টেলিভিশন খুললে আমরা সেই শিশুদের কারও না কারও রক্তাক্ত নিথর শরীর দেখি।

ওই শিশুদের পরিণতি এমন হওয়ার কথা ছিল না। এই ফিলিস্তিন ও ইসরাইল [ইসরাইল-ফিলিস্তিন পুরো জায়গাটা] এক সময় ফিলিস্তিনিদের ছিল। এটাই তাদের মাতৃভূমি। হাজার হাজার বছর ধরে তারা এখানে বংশ পরম্পরায় বসবাস করে আসছে। অটোমান সা¤্রাজ্যের সময়ও আমরা দেখেছি ফিলিস্তিনিদের অবস্থা।
প্রথম বিশ^যুদ্ধ কাকে লাভবান আর কাকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছিল সে হিসাবে না গেলেও সেই মহাযুদ্ধে অটোমান সাম্রাজ্যের পতন ফিলিস্তিনিদের জন্য মহাক্ষতির কারণ হয়েছিল। ব্রিটেন দখল করে নেয় ফিলিস্তিন। এরও আগে পৃথিবীজুড়ে যখন ইহুদিরা সব জাতিগোষ্ঠীর কাছে মার খাচ্ছিল তখন থিওডোর হের্জলের মনে হলো ধর্মের ভিত্তিতে যদি ইহুদিদের একটি দেশ না থাকে তবে তারা সারাজীবনই মার খাবে।

তিনি ছিলেন আধুনিক সিয়োনবাদী বা জায়নবাদী আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা। ১৮৯৬ সালে প্রকাশিত তাঁর পুস্তিকা ‘ডের জুডেনস্টাটে’ তিনি ২০শ’ শতাব্দীতে একটি ভবিষ্যৎ স্বতন্ত্র ইহুদি রাষ্ট্র কায়েমের স্বপ্ন দেখেন। প্রশ্ন হলো সেই ভূখ- হবে কোনটি? মুসলমান-খ্রিস্টান-ইহুদিদের জন্য পবিত্রনগরী জেরুজালেম। হাজার বছর আগে তাদের মূল আবাসও ছিল জেরুজালেমে।

তাদের চোখ তখন জেরুজালেমে, যেখানে হাজার বছর ধরেই আরব জাতিগোষ্ঠী বসবাস করছে, যাদের বেশিরভাগই মুসলমান। তারা সেখানে জড়ো হতে থাকে এবং একসময় সংখ্যাটা আরবদের থেকেও বেশি হয়ে যায়, যা বর্তমান ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে।

তারাই বর্তমানে এই জায়গার মালিক। ইতিহাস আপনারা সবাই কম-বেশি জানেন। ইতিহাসের তথ্য জানানো এই লেখার উদ্দেশ্য নয়। কেউ যদি মনে করেন হামাসের আক্রমণের [৭ অক্টেবর, ২০২৩] পর ইসরাইল পাল্টা আক্রমণ করছে, তবে তা ঠিক হবে না। আরব-ইসরাইল প্রথমবারের [১৯৬৭] যুদ্ধের অনেক আগে থেকেই ফিলিস্তিনের মানুষ ইসরাইলিদের দ্বারা নির্যাতিত হচ্ছে। হামাস একটি উপলক্ষ্য মাত্র।

ফিলিস্তিন অঞ্চলের কার্যত মালিকানা লাভের পর ইহুদি বসতি বাড়ানোর লক্ষ্যে এবং ফিলিস্তিনদের উচ্ছেদ করার উদ্দেশে রাতে তাদের ফোন লাইন, বিদ্যুৎ লাইন কাটা, বাড়িঘরে হ্যান্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ, জোর করে জমি দখল এবং বিভিন্নভাবে নারী নির্যাতনের মতো কাজে জড়িয়ে পড়েছিল স্থানীয় ও বহিরাগত ইহুদি ও সরকারের মদদপুষ্ট সেনাবাহিনী। ফলে লাখ লাখ ফিলিস্তিনি আরব দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হয়।

এরপরই ১৯৪৮ সালের ১২ মে রাত ১২টা এক মিনিটে জাতিসংঘের মধ্যস্ততায় ইসরাইল রাষ্ট্র ঘোষণা করে ইহুদি জায়নবাদীরা, যাদের প্রধান ছিলেন দাভিদ বেন গুরিয়ন [পরবর্তীতে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী]। ১০ মিনিটের ভেতর যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। অতঃপর সোভিয়েত ইউনিয়ন ও ব্রিটেন স্বীকৃতি দেয়।

এই তিনটি দেশ কেনইবা দেবে না? দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে তারা ছিল মিত্রশক্তি। এবং চরম ইহুদি বিদ্বেষী হিটলারের কাছ থেকে ইহুদিদের তারাই রক্ষা করেছিল। তাদের জন্য একটি দেশ গঠন করে দেওয়া তাদের যুদ্ধ পরবর্তী চিন্তার ফসল।
সেই ইসরাইল এখন ফিলিস্তিনিদের ওপর গণহত্যা চালাচ্ছে। বিশেষ করে গত এক মাসে রাফার [রাফাহ] অবস্থা আমরা জানি। রাফাহ হলো ফিলিস্তিনের একটি শহর ও শরণার্থী শিবির, যা গাজা উপত্যকার দক্ষিণ দিকে গাজা শহর হতে ৩০ কিলোমিটার (১৯ মাইল) দক্ষিণে অবস্থিত। এটি প্রশাসনিক জেলা রাফাহ গভর্নমেন্টের রাজধানীও বটে।

২০১৪ সালে রাফাহর জনসংখ্যা ছিল ১৫২৯৫০ জন, যার অধিকাংশই হলো ফিলিস্তিনি শরণার্থী। এবং এই শহর শরণার্থী শিবির হিসেবে গড়ে ওঠে ইসরাইল-আরব [১৯৬৭] যুদ্ধের সময়। প্রথমে গাজায়। এখন গাজার সঙ্গে রাফাহয় চলছে গণহত্যা। যেখানে বেশিরভাগ মানুষ বাস্তচ্যুত। ইসরাইলকে যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ সরাসরি এই যুদ্ধে সাহায্য করছে। ইসরাইলের গণহত্যাকে যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশ সমর্থন করলেও সারা পৃথিবী এর বিপক্ষে।
‘ফ্রম দ্য রিভার টু দ্য সি, প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি-এই স্লোগান দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছেন। তাঁরা এমনভাবে ক্যাম্পাস ভবনগুলো ‘মুক্ত’ করার ডাক দিচ্ছেন, যেন তাঁরা মুক্তিযোদ্ধা। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ আবার  কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে আন্দোলনকারীদের জন্য ‘মৌলিক মানবিক ত্রাণ’ হিসেবে খাবার ও পানি দাবি করেছেন।

এটাকে কে কীভাবে দেখছেন এটা তাদের বিষয়। তবে এটি মানতে হবে, গাজায় বিপুলসংখ্যক নিরীহ বেসামরিক নাগরিককে হত্যার বিরুদ্ধে যাঁরা প্রতিবাদ করছেন, তাঁরা উপহাস করার মতো কাজ করছেন না। তাঁদের বিরুদ্ধে সহিংস আচরণ করা কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না। যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশ সেই ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে।
ফিলিস্তিনে গণহত্যার বিরুদ্ধে বিশে^র বেশিরভাগ দেশেই প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। বিশ^নেতারাও ফিলিস্তিনিদের ওপর গণহত্যায় উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফিলিস্তিনের গাজায় গণহত্যা বন্ধ করতে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘গাজায় যা ঘটছে, তা গণহত্যা।’ তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলুকে দেওয়া সাক্ষাতকারে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

রাষ্ট্রীয় সফরে জার্মানিতে থাকা অবস্থায় তুর্কি বার্তা সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাতকারে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ সব সময় গণহত্যার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে। আমি মনে করি, গাজায় যা ঘটছে, তা গণহত্যা। তাই আমরা কখনই এটিকে সমর্থন করি না।’ তিনি আরও বলেন, ফিলিস্তিনের জনগণের বেঁচে থাকা ও তাঁদের নিজস্ব রাষ্ট্র গঠনের অধিকার রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গাজার জনগণের বেঁচে থাকার অধিকার আছে।

সেখানে যা ঘটছে, তা খুবই দুঃখজনক। তাই আমাদের উচিত তাদের সাহায্য করা এবং এই আক্রমণ ও যুদ্ধ বন্ধ করা।’ শেখ হাসিনা বিশ্বনেতাদের প্রতি ‘ফিলিস্তিনের দুর্দশাগ্রস্ত শিশু, নারী ও জনগণকে সাহায্য করার আহ্বান জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে তাঁদের জন্য কিছু সহায়তা পাঠিয়েছে।
দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরে ইসরাইলি অভিযানের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ কখনই এ ধরনের আক্রমণকে সমর্থন করেনি। তিনি আরও বলেন, ‘১৯৬৭ সালের জাতিসংঘ প্রস্তাবে দুটি রাষ্ট্র গঠনের কথা বলা হয়েছে। এটির বাস্তবায়ন করা উচিত।’ প্রধানমন্ত্রী যে দেশেই যাচ্ছেন সেখানেই এ বিষয়ে তাঁর অবস্থান ও বাংলাদেশের অবস্থান জানাচ্ছেন। ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার ব্যাপারে আন্তর্জাতিক আন্দোলন জোরদার হচ্ছে। 
ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার নৈতিক, আইনি এবং রাজনৈতিক যুক্তি বরাবরই জোরালো। জাতিসংঘের প্রায় ১৪০টি সদস্য দেশ ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্রের মর্যাদা দেওয়ার পক্ষে। গাজা যুদ্ধ এখন ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার ইস্যুটিকে নতুন প্রাসঙ্গিকতা দিয়েছে।

আগের চেয়ে বেশি সংখ্যক দেশ এখন ইসরাইলের অস্থিরতাকে কেবল ফিলিস্তিনিদের দুর্দশাকে চিরস্থায়ী হাতিয়ার হিসেবে দেখছে না; বরং তারা এই বেপরোয়া আচরণকে ইসরাইলের নিজেদের দুর্দশাকেও চিরস্থায়ী করার ‘গ্যারান্টি’ হিসেবে দেখছে। গত ২২ মে ইউরোপের তিনটি দেশ স্পেন, আয়ারল্যান্ড ও নরওয়ে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

বুধবার নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী জোনাস গাহর, স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সান্তোজ ও আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সিমন হ্যারিস ফিলিস্তিনকে স্বাধীন দেশের স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দেন। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ ফিলিস্তিনকে স্বাধীন দেশের স্বীকৃতি দেওয়ার কথা বলে আসছিল। তাদের মতে, মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা ফেরানোর জন্য দ্বিরাষ্ট্র নীতি কার্যকর করতে হবে।

ফিলিস্তিনিকে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রতিক্রিয়ায় আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সিমন হ্যারিস বলেছেন, ফিলিস্তিনি এবং আয়ারল্যান্ডের জন্য একটি ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ দিন। স্পেনের প্রধানমন্ত্রী সান্তোজ সংসদে বলেন, ফিলিস্তিনকে স্পেনের স্বীকৃতি দেওয়ার কারণ শান্তি, ন্যায়বিচার ও সমন্বয়ের জন্য। জেনোসাইড বন্ধ করার সময় বহু আগেই চলে গিয়েছে। তারপরও বাস্তবতার নিরিখে ইসরাইলকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলাদেশের মানুষের জন্যই নন, সমগ্র বিশ্বের জন্য শান্তি চেয়েছিলেন। বিশ্বশান্তির পক্ষে তিনি বলেছিলেন ‘...দুনিয়ায় আজ যারাই শান্তি চায় তাদের সম্মেলনে আমরা যোগদান করতে রাজি। রাশিয়া হোক, আমেরিকা হোক, ব্রিটেন  হোক, চীন হোক যে-ই শান্তির জন্য সংগ্রাম করবে তাদের সঙ্গে আমরা সহস্র কণ্ঠে আওয়াজ তুলতে রাজি আছি, ‘আমরা শান্তি চাই।’

উল্লেখ্য, ১৯৭৩ সালের ২৩ মে বঙ্গবন্ধুকে বিশ^শান্তির জন্য ‘জুলিও কুরি’ পদক প্রদান করা হয়। প্রকৃতপক্ষে এই পদক বাংলাদেশে সরকারপ্রধান হিসেবে বাংলাদেশকে উপস্থাপন করে। মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়া ছাড়া আমাদের অন্য কোনো উপায় ছিল না। আর এ কারণেই এখানে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়ে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে আমরা বিশ্ববাসীকে দেখিয়েছি- আমরা যুদ্ধ চাই না, আমরা শান্তির পক্ষে।

আমরা পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য পার্বত্য শান্তিচুক্তি করেছি। যে পাহাড়ে একসময় কেউ যেতে পারত না, এখন সেই পাহাড়ে প্রতিদিন পর্যটকের ঢল নামে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র যখন নিজে শিশুহত্যায় মেতে থাকে এবং আমদেরকে শান্তির কথা বলে তখন খুব বেখাপ্পা লাগে। যুক্তরাষ্ট্রের মুখে মানবাধিকার মানায় না।

আমাদের তরুণ প্রজন্মকে বিশ্বপরিস্থিতি ও বাংলাদেশের অবস্থান থেকে বিশেষত জননেত্রী শেখ হাসিনার যুদ্ধবিরোধী ও মানবাধিকারের পক্ষে অবস্থান থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামীর বাংলাদেশ গড়তে হবে। বিশেষত আমরা নিজেরাও যুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা পেয়েছি, যুদ্ধের ভয়াবহতা আমরা জানি।

লেখক : অধ্যাপক, সদস্য, বাংলাদেশ বিশ^বিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)

×