ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৮ মে ২০২৫, ১৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

অন্তর্বর্তীকালীন জাতীয় সরকারের প্রস্তাবিত রূপরেখা

উপ-রাষ্ট্রপতি বদিউল আলম মজুমদার, উপ-প্রধানমন্ত্রী হবেন জামায়াতের আমির!

প্রকাশিত: ১৯:৩৮, ২৬ মে ২০২৫; আপডেট: ১৯:৩৯, ২৬ মে ২০২৫

উপ-রাষ্ট্রপতি বদিউল আলম মজুমদার, উপ-প্রধানমন্ত্রী হবেন জামায়াতের আমির!

ছ‌বি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তীকালীন জাতীয় সরকারের প্রস্তাবিত রূপরেখায় রাষ্ট্রপতি হিসেবে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস, উপ-রাষ্ট্রপতি ড. বদিউল আলম মজুমদার এবং প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। পাশাপাশি, জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানকে উপ-প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব দেওয়ার প্রস্তাব রাখা হয়েছে।

রোববার (২৬ মে) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের মানিক মিয়া হলে ‘বাংলাদেশের কাঙ্ক্ষিত আগামীর জাতীয় সরকার’ শীর্ষক নাগরিক মতবিনিময় সভায় এই প্রস্তাবনা উত্থাপন করা হয়। সভার আয়োজন করে জাতীয় ঐক্য ও সংহতি পরিষদ। সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের আহ্বায়ক মো. নাজিমুল হক।

সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন টাইমস ইউনিভার্সিটির বিজনেস ফ্যাকাল্টির ডিন অধ্যাপক ড. মো. জয়নুল আবেদীন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এসএফ ফরমানুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান ড. সাবের আহমেদ চৌধুরী, ব্যবসায়ী মো. আলমগীর অপূর্ব এবং কাজী আমিনুল করিম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সমন্বয়ক মো. সালাহ উদ্দিন কবির।

সভায় উপস্থাপিত প্রস্তাবনায় একটি অন্তর্বর্তীকালীন জাতীয় সরকারের কাঠামো তুলে ধরা হয়, যেখানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পেশাজীবীদের অংশগ্রহণে একটি আনুপাতিক মন্ত্রিসভা গঠনের কথা বলা হয়। প্রস্তাব অনুযায়ী, মন্ত্রিসভার সদস্য বণ্টনে বিএনপি পাবে ২৫ শতাংশ, জামায়াতে ইসলাম ২০ শতাংশ, এনসিপি ১৫ শতাংশ, ইসলামী আন্দোলন ৫ শতাংশ, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও পেশাজীবী ১০ শতাংশ এবং অন্যান্য দলসমূহ ২৫ শতাংশ।

বক্তারা বলেন, রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য একটি ভারসাম্যপূর্ণ কাঠামো তৈরি করে ‘জাতীয় সনদ’ প্রণয়ন করা সময়ের দাবি। এতে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, উপ-রাষ্ট্রপতি ও উপ-প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে দায়িত্ব ও ক্ষমতার ভারসাম্য নিশ্চিত করে স্বেচ্ছাচারিতা রোধ করা সম্ভব হবে।

তারা আরও জানান, এই কাঠামো চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, সমাজবিজ্ঞানী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও সাধারণ জনগণের মতামতকে গুরুত্ব দিতে হবে। প্রস্তাবিত এই জাতীয় সরকার হবে জনকল্যাণে নিবেদিত, অংশগ্রহণমূলক ও গণভিত্তিক— যেখানে শাসকরা হবেন জনগণের সেবক।

সভায় রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি কল্যাণমুখী রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে চলমান গণআন্দোলনের সব অংশীজনের সঙ্গে সংলাপ ও আলোচনার আহ্বান জানানো হয়।

ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/_B_8zwG8_9s?si=6dEl2rEGZqumenrK

মেহেদী

আরো পড়ুন  

×