ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ৩০ জুন ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২

বঙ্গরত্ন শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধু পরিষদ

ড. আবদুল খালেক

প্রকাশিত: ২১:১৯, ১৬ মে ২০২৪

বঙ্গরত্ন শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধু পরিষদ

বঙ্গরত্ন শেখ হাসিনা

লেখার শিরোনামে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নামের সঙ্গে ‘বঙ্গরত্ন’ বিশেষণটি দেখে অনেকের মনে প্রশ্ন দেখা দিতে পারে। কারণ, ‘বঙ্গবন্ধু পরিষদ’ ছাড়া বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নামের সঙ্গে ‘বঙ্গরত্ন’ বিশেষণটি সমাজের অন্য কেউ ব্যবহার করেন বলে মনে হয় না। তবে তাঁর নামের সঙ্গে ‘দেশরত্ন’ শব্দটি ব্যবহার হতে দেখা যায়।

এ ধরনের সম্মাননা সরকার প্রদত্ত নয়, আপামর জনসাধারণের হৃদয়ের গভীর ভালোবাসা থেকে এ সম্মাননাগুলো আসে। যেমন- শেরে বাংলা এ.কে. ফজলুল হক, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ, নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু, মহাত্মা গান্ধী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব ইত্যাদি। হৃদয়ের অন্তহীন ভালোবাসা থেকেই মানুষের মুখে সম্মাননাগুলো উচ্চারণ হতে থাকে এবং ধীরে ধীরে একদিন তা সমাজে স্থায়ী রূপ লাভ করে। 
একই প্রক্রিয়ায় বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নামের সঙ্গে ‘বঙ্গরতœ’ বিশেষণটি সংযোজিত হয়েছে বঙ্গবন্ধু পরিষদের এক অনুষ্ঠানে। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন পালন উপলক্ষে রাজশাহী জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদ ২০২০ সালের ৩ অক্টোবর তারিখে করোনাকালে ‘আলোর পথযাত্রী’ শিরোনামে এক অনলাইন আলোচনা সভার আয়োজন করে।

উক্ত আলোচনা সভার প্রধান অতিথি ছিলেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ডা. এস.এ. মালেক। বিশেষ অতিথি হিসেবে সংযুক্ত হয়ে বক্তব্য দিয়েছিলেন প্রফেসর ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, প্রফেসর ড. সাইদুর রহমান খান, প্রফেসর ছাদেকুল আরেফিন এবং বঙ্গবন্ধু পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য  মতিউর রহমান লাল্টু।

অনুষ্ঠানটিতে সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন প্রফেসর ড. আবুল কাশেম। রাজশাহী জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি হিসেবে পদাধিকারবলে উক্ত অনলাইন আলোচনা সভার সভাপতিত্বের দায়িত্ব পালন করতে হয় আমাকে। দেশ পরিচালনা এবং দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার অসাধারণ অর্জনের কথা বলতে গিয়ে আমরা বঙ্গবন্ধু পরিষদের পক্ষ থেকে তাঁকে ‘বঙ্গরত্ন’ সম্মানে ভূষিত করার আহ্বান জানাই। বঙ্গবন্ধু পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ডা. এস.এ. মালেক আমাদের প্রস্তাবটির পক্ষে আন্তরিক সমর্থন জ্ঞাপন করেন। 
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তারিখে ধানমন্ডির বাসভবনে বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর পরিবারের সকল সদস্যকে যখন নির্মমভাবে হত্যা করা হয় তখন বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানা জার্মানিতে অবস্থান করছিলেন। যার ফলে ১৫ আগস্ট তারিখে তাঁরা দুই বোন নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পান। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দেশে সামরিক শাসন জারি করা হয় ।

বঙ্গবন্ধুর খুনিরা দেশের রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে নিলে সে পরিস্থিতিতে শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানার জন্য দেশে ফিরে আসা ছিল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। প্রাথমিকভাবে বিদেশে রাষ্ট্রদূত  হুমায়ুন রশিদ চৌধুরীর বাসায় শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানা আশ্রয় গ্রহণ করেন। ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর আন্তরিক সহযোগিতায় বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানা ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় লাভ করেন।

দিল্লিতে একটি ফ্ল্যাট বাড়ি বরাদ্দ দেওয়া হয় শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা এবং শেখ হাসিনার স্বামী বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়াকে  বসবাসের জন্য। ১৯৭৬ সালের মাঝামাঝি সময়ে কিছুদিনের জন্য শেখ রেহানা চলে যান লন্ডনে। আশ্রয় গ্রহণ করেন তার খোকা চাচার বাসায়। লন্ডনে বসবাসরত আওয়ামী লীগ তথা বঙ্গবন্ধুর আদশের্র অনুসারী নেতাকর্মীগণ শেখ রেহানার সঙ্গে মতবিনিময় করতে ভিড় জমাতে থাকেন সেখানে।

বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ ও বিচার দাবির জন্য লন্ডন একটি উপযুক্ত জায়গা। শেখ রেহানা বুঝতে পারেন লন্ডনে তার অবস্থান করা প্রয়োজন। এই পর্যায়ে  ১৯৭৬ সালের জুলাই মাসের শেষের দিকে ড. শফিক সিদ্দিকীর সঙ্গে শেখ রেহানা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এই বিয়ের ফলে স্থায়ীভাবে লন্ডনে বসবাসের সুযোগ পেয়ে যান শেখ রেহানা।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তারিখে বঙ্গবন্ধুকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যার পর শুধু রাজনৈতিক নেতাদের নয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য প্রফেসর ড. আবদুল মতিন চৌধুরী এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মযহারুল ইসলামকে জেলখানায় আটক করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় দুটি যাতে আন্দোলনমুখর হয়ে উঠতে না পারে সে কারণেই এ ব্যবস্থা।

দুই উপাচার্যের বিরুদ্ধে নানারকম মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়। তবে উচ্চ আদালতের মাধ্যমে এই দুই উপাচার্য ১৯৭৮ সালে জেল থেকে মুক্তি লাভ করেন। জেল থেকে মুক্ত হয়ে এসে বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং দায়িত্ববোধ থেকে প্রফেসর ড. আবদুল মতিন চৌধুরী দেশের প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবীদের সমন্বয়ে গঠন করেন ‘বঙ্গবন্ধু পরিষদ’। আওয়ামী লীগের তখন চরম দুঃসময়।

দেশের সামরিক সরকার ইতিহাস বিকৃতির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর চরিত্র হননের অপচেষ্টায় লিপ্ত। বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে সে এক গভীর ষড়যন্ত্র। এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলার লক্ষ্যে প্রফেসর আবদুল মতিন চৌধুরী বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী দেশের প্রগতিশীল শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবী, শিল্পী-সাহিত্যিক এবং গুণী ব্যক্তিদের বঙ্গবন্ধু পরিষদের মঞ্চে নিয়ে আসার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। ঢাকায় ‘বঙ্গবন্ধু পরিষদ’ গঠনের সঙ্গে সঙ্গে দেশ-বিদেশের মানবতাবাদী বুদ্ধিজীবী মহল বঙ্গবন্ধু পরিষদের পতাকাতলে সমবেত হতে থাকেন। 
বঙ্গবন্ধু পরিষদ গঠনের পর ১৯৭৯ সালের শেষের দিকে প্রফেসর ড. আবদুল মতিন চৌধুরী অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে এক বছরের একটি ফেলোশিপ নিয়ে লন্ডনে চলে যান। লন্ডনে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তখন দুই ভাগে বিভক্ত। কেউ আওয়ামী লীগ, কেউ বাকশালে। সে এক আত্মঘাতী কলহ।

বঙ্গবন্ধু পরিষদ প্রতিষ্ঠাতা প্রফেসর আবদুল মতিন চৌধুরী লন্ডনে আসায় শেখ রেহানা, ড. শফিক সিদ্দিকী, আবদুল গাফ্্ফার চৌধুরী, ড. সেলিম প্রমুখ ভাবতে শুরু করেন লন্ডনে বঙ্গবন্ধু পরিষদের একটি শাখা গঠন করতে পারলে হয়তো আওয়ামী লীগ এবং বাকশালের দ্বন্দ্ব খানিকটা কমানো সম্ভব হবে। সেই ভাবনা থেকে তারা সবাই উদ্যোগী হয়ে ১৯৭৯ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর লন্ডনের ‘কনওয়ে’ হলে বঙ্গবন্ধু পরিষদ গঠনের লক্ষ্যে একটি মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন।

গবেষণা কাজে ব্যস্ততার কারণে প্রফেসর আবদুল মতিন চৌধুরী মতবিনিময় সভায় উপস্থিত হতে না পারলেও ড. মতিন চৌধুরীর সহধর্মিণী মিসেস রাজিয়া মতিন চৌধুরী সেখানে উপস্থিত হয়ে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্বের দায়িত্ব পালন করেন। এটি ছিল একটি ঐতিহাসিক মতবিনিময় সভা। সভায় সর্ব ইউরোপীয় বঙ্গবন্ধু পরিষদ গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সর্ব ইউরোপীয় বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি মনোনীত করা হয় স্যার টমাস উইলিয়ামসকে।

উদ্দেশ্য বঙ্গবন্ধু পরিষদের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক আদালতে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের ব্যবস্থা করা। স্যার টমাস উইলিয়ামস ঐতিহাসিক আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় বঙ্গবন্ধুর পক্ষে কাজ করেছেন। যার ফলে বঙ্গবন্ধুর বিষয়ে তাঁর অনেক কিছু জানা ছিল। 
১৯৮০ সালের এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে কিছুদিনের জন্য দিল্লি থেকে শেখ হাসিনা লন্ডনে আসেন। শেখ রেহানা তখন সন্তানসম্ভবা। লন্ডনে এসে শেখ হাসিনা কিছু রাজনৈতিক কর্মসূচি হাতে নেন। যেমন- আওয়ামী লীগ এবং বাকশালপন্থিদের বিরোধ মেটানো এবং আন্তর্জাতিক আদালতে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার দাবি।

এসব কাজে তিনি বঙ্গবন্ধু পরিষদকে সহায়ক শক্তি হিসেবে গণ্য করেন। শেখ হাসিনা উপলব্ধি করেন স্যার টমাস উইলিয়ামস যখন সর্ব ইউরোপীয় বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন, তার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক আদালতে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের দাবি তোলা সহজ হবে। 
১৯৮০ সালের ১৫ আগস্ট শোক দিবস পালন উপলক্ষে লন্ডনের ইয়র্ক হলে একটি শোক সভার আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সর্ব ইউরোপীয় বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি স্যার টমাস উইলিয়ামস। সভাপতি হিসেবে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, বঙ্গবন্ধু এবং জাতীয় চার নেতার হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা কীভাবে শুরু করা যায় সে সম্পর্কে তিনি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করবেন।

সর্ব ইউরোপীয় বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি স্যার টমাস উইলিয়ামস প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তিনি অতিদ্রুত তদন্ত কমিশন গঠনের কাজে হাত দেন। প্রস্তাবিত তদন্ত কমিশনে স্থান দেওয়া হয় নোবেল পুরস্কারে ভূষিত বিখ্যাত আইরিশ আইনবিদ শন ম্যাকব্রাইড এবং অপর একজন প্রখ্যাত আইনজীবী জেফ্রি টমাস কি সি এম পি মহোদয়কে।
বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ১৯৮০ সালের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত লন্ডনে অবস্থান করেছিলেন। আন্তর্জাতিক আদালতে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বিষয়ে মূলত তিনি সর্ব ইউরোপীয় বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি স্যার টমাস উইলিয়ামসের ওপর গভীর আস্থা রেখেছিলেন। আওয়ামী লীগ দ্বিধাবিভক্ত থাকার ফলে আন্তর্জাতিক আদালতে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের বিষয়ে শেখ হাসিনা মূলত বঙ্গবন্ধু পরিষদকেই অগ্রাধিকার  দিয়েছিলেন এমনটি মনে করার যথেষ্ট কারণ আছে। 
হাজার বছরের পরাধীন বাংলাদেশকে স্বাধীন করে শেখ মুজিব যেমন ‘বঙ্গবন্ধু’ সম্মানে ভূষিত হয়েছেন, পাশাপাশি একটি হতদরিদ্র বাংলাদেশকে দারিদ্র্যমুক্ত উন্নয়নশীল বাংলাদেশে রূপান্তর করার জন্য বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ‘বঙ্গরতœ’ সম্মানে ভূষিত হতেই পারেন। ‘বঙ’ শব্দটি অতি প্রাচীন একটি ঐতিহ্যবাহী শব্দ।

প্রাচীন ‘বঙ’ জনপদ থেকেই জন্ম হয়েছে বঙ্গদেশের। বঙ্গদেশ থেকে আজকের বাংলাদেশ। ‘বঙ্গ’ শব্দের বিস্তৃতি অনেক ব্যাপক। ঐতিহ্যের শিকড় অনেক গভীরে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সাফল্য যে পর্যায়ে এসেছে, সমগ্র বিশ্ব রাজনীতিতে যে উচ্চতায় তিনি পৌঁছে গেছেন, সে বিবেচনায় ঐতিহ্যবাহী ‘বঙ্গরত্ন’ সম্মাননাই তাঁর জন্য অধিকতর সুপ্রযুক্ত।
বঙ্গবন্ধু পরিষদ একটি ঐতিহ্যবাহী সংগঠন। জাতীয় সংকটকালে, আওয়ামী লীগের চরম দুঃসময়ে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ইতিহাস বিকৃতির ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় বঙ্গবন্ধু পরিষদ পালন করেছে অত্যন্ত সাহসী ভূমিকা। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার কাছেও রয়েছে বঙ্গবন্ধু পরিষদের নানারকম দায়বদ্ধতা। বঙ্গবন্ধু পরিষদের জন্মলগ্ন থেকে তিনি বঙ্গবন্ধু পরিষদের সন্মানিত পৃষ্ঠপোষক।

সমগ্র বাঙালি জাতির কাছে, বিশ্বের বাংলাভাষী জনগোষ্ঠীর কাছে যে অর্থে শেখ মুজিব ‘বঙ্গবন্ধু’ সম্মানে সমাদৃত, যে বিবেচনায় বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব ‘বঙ্গমাতা’ সম্মানে ভূষিত, একই দৃষ্টিকোণ থেকে কালজয়ী আন্তর্জাতিকমানের নেত্রী শেখ হাসিনাকে বঙ্গবন্ধু পরিষদ ‘বঙ্গরতœ’ সম্মানে ভূষিত করতে পারে। 
কাজেই বঙ্গবন্ধু পরিষদ আনুষ্ঠানিকভাবে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে ‘বঙ্গরতœ’ সম্মানে ভূষিত করার মাধ্যমে একটি ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করেছে। বঙ্গবন্ধু পরিষদ বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে ‘বঙ্গরতœ’ সম্মানে ভূষিত করার অধিকার রাখে। কারণ বঙ্গবন্ধু পরিষদের সঙ্গে শেখ হাসিনার রয়েছে আত্মিক সম্পর্ক। বঙ্গবন্ধু পরিষদের জন্মলগ্ন থেকেই তিনি বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক। 
লেখক : অধ্যাপক, সাবেক উপাচার্য
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

×