ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৭ মে ২০২৫, ১৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

মোস্তাফা জব্বার

মাল্টিমিডিয়া ॥ ডিজিটাল প্রকাশ মাধ্যম

প্রকাশিত: ২০:৫৮, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১

মাল্টিমিডিয়া ॥ ডিজিটাল প্রকাশ মাধ্যম

বহু বছর ধরেই মাল্টিমিডিয়া শব্দটি আমাদের দেশেও বেশ জোরেশোরে আলোচিত হয়ে আসছিল। মাঝখানে কয়েক বছর প্রায়ই দেখতাম অডিও-ভিডিও উৎপাদনকারী, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বা কম্পিউটার বিক্রেতা ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের নাম মাল্টিমিডিয়া শব্দ দিয়ে অলঙ্কৃত করা হতো। এক সময় পিসির বিশেষ একটি ধরন হতো মাল্টিমিডিয়া পিসি, যদিও এ্যাপল কম্পিউটারের মেকিন্টোস পিসি জন্ম থেকেই মাল্টিমিডিয়া পিসি ছিল, তবুও আইবিএম পিসিতে অডিও ভিডিও আসে অনেক পরে। পিসিতে সিডি-ডিভিডি ড্রাইভ থাকলে তাকে এই নামে অভিহিত করা হতো। মাল্টিমিডিয়া পিসি নামে একটি প্রমিতকৃত মানও ছিল। এরই মাঝে মাল্টিমিডিয়া শব্দটির নতুন মাত্রাও যুক্ত হয়েছে। এখন মাল্টিমিডিয়া শব্দটি তেমন ব্যাপকভাবে আলোচনা হয় না। আমরা এখন সবকিছুকে মিলিয়ে ডিজিটাল মিডিয়া সমন্বয় করে ফেলেছি। মাল্টিমিডিয়ারই একটি ধারণার প্রকাশ হচ্ছে ‘ইন্টারএ্যাকটিভ মাল্টিমিডিয়া।’ ডিজিটাল মিডিয়া বললে অবশ্য ইন্টারএ্যাকটিভ মাল্টিমিডিয়াসহ বোঝা যায়। ২০০৯ সাল থেকে ডিজিটাল বাংলাদেশে এই শব্দটি নতুন দ্যোতনা নিয়ে উদ্ভাসিত হয়েছে। চারপাশে এখন ডিজিটাল শব্দটিই বেশি ব্যবহার হচ্ছে। এমনকি প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থাকে বদল করে ইন্টারএ্যাকটিভ মাল্টিমিডিয়াভিত্তিক ডিজিটাল শিক্ষা ব্যবস্থা প্রচলন হচ্ছে। অনলাইন দুনিয়া তো কেবল মাল্টিমিডিয়াই নয়, ডিজিটাল মিডিয়াও। খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২১ সালের মাঝে দেশের সকল ক্লাসরুমকে ডিজিটাল ক্লাসরুম বানাতে চেয়েছিলেন। সেসব ক্লাসরুমের শিক্ষার প্রধান উপকরণ নিশ্চিতভাবেই ইন্টারএ্যাকটিভ মাল্টিমিডিয়ানির্ভর ডিজিটাল উপাত্ত। দৈনন্দিন জীবনেও অডিও-ভিডিওর ব্যবহারের মাধ্যমে বস্তুত আমরা চারপাশে যে ডিজিটাল যুগের বিকাশ দেখছি তার প্রকাশ মাধ্যম অবশ্যই ডিজিটাল মিডিয়া। এক সময়কার ভিডিও গেমস এখন অনলাইন গেমসে রূপান্তর হয়ে নতুন ডিজিটাল দুনিয়া জন্ম নিয়েছে। এক সময়কার গণমাধ্যম এনালগ চরিত্র হারাচ্ছে। সমাজ, সংস্কৃতি, রাজনীতি বা বাণিজ্য সবই ডিজিটাল হচ্ছে এবং তাতে ডিজিটাল মিডিয়া ব্যাপকভাবে সম্পৃক্ত হচ্ছে। যুগে যুগে, সেই আদি কাল থেকেই মানুষ নিজেকে প্রকাশ করার জন্য বিভিন্ন মাধ্যম বা মিডিয়া ব্যবহার করেছে। কথা বলা, ছবি, হরফ, ভাষা ইত্যাদি মানুষের আদিমতম প্রকাশ মাধ্যম। কথাকে লিখিতরূপে প্রকাশ করতে প্রয়োজন হয়েছে বর্ণমালা ও ভাষার। লেখা, শব্দ বা সাউন্ড এবং এর বিভিন্ন রূপ মানুষের একটি প্রকাশ মাধ্যম। চিত্রকে আমরা একটি প্রাচীন প্রকাশ মাধ্যম হিসেবেই জানি। এখন সবগুলো প্রকাশ মাধ্যমের রূপান্তরগুলোও মানুষ নিজেকে প্রকাশ বা পারস্পরিক যোগাযোগ করার জন্য ব্যবহার করে থাকে। আমরা যখন অনেক প্রকাশ মাধ্যমকে নিয়ে কথা বলি তখনই মাল্টিমিডিয়া বলে তাকে চিহ্নিত করে থাকি। এখন সভ্যতার বিবর্তন ও প্রযুক্তির কারণে এই মাধ্যমগুলোর বহুবিধ ব্যবহার হয়ে আসছে। বিশেষ করে আমরা যখন ডিজিটাল যুগে বাস করছি তখন আমাদের প্রকাশ মাধ্যমের ধরন-ধারণ বদলে যেতে বাধ্য। বদলেছে। বদলাচ্ছে। বদলাবে। তবে সাধারণভাবে আমরা এখনও অনুভব করি যে, এনালগ যুগের মিডিয়াগুলোই প্রযুক্তির স্পর্শ পেয়ে রূপান্তরিত হয়ে ডিজিটাল যুগের প্রধান প্রকাশ মাধ্যম হয়ে আছে। কিন্তু প্রকৃতার্থে এনালগ যুগের পুরনো মিডিয়া এই যুগে ব্যবহার হলেও এর প্রয়োগের মাত্রা বদলেছে ব্যাপকভাবে। এক সময় যেসব মিডিয়া ভিন্ন ভিন্নভাবে ব্যবহার হতো তা এখন একসঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। আবার সেসব মিডিয়ায় যুক্ত হয়েছে ডিজিটাল যন্ত্রের প্রোগ্রামিং করার ক্ষমতা। আমরা এখন বহু মিডিয়াকে তার বহুমাত্রিকতা ও প্রোগ্রামিং ক্ষমতার জন্য বলছি ইন্টারএ্যাকটিভ মাল্টিমিডিয়া। এই দুটি শব্দ এখন ডিজিটাল যন্ত্রের সঙ্গে ব্যাপকভাবে প্রচলিত। মাল্টিমিডিয়া কি? এক কথায় মাল্টিমিডিয়া মানে বহু মাধ্যম। ইন্টারএ্যাকটিভ মাল্টিমিডিয়া মানে হচ্ছে সেই বহু মাধ্যম যার সঙ্গে ব্যবহারকারী দ্বিপাক্ষিক যোগাযোগ করতে পারে। ইংরেজী ইন্টারএ্যাকটিভ শব্দের বাংলা অর্থ মিথস্ক্রিয়া। বস্তুত মাল্টিমিডিয়া হলো মানুষের বিভিন্ন প্রকাশ মাধ্যমের সমন্বয়। আমরা অন্তত তিনটি মাধ্যম বা মিডিয়া ব্যবহার করে নিজেদের প্রকাশ করি। বর্ণ, চিত্র এবং শব্দ (সাউন্ড) নামের এই মাধ্যমগুলোর বিভিন্ন রূপও রয়েছে। এই তিনটি মাধ্যম তাদের বিভিন্ন রূপ নিয়ে কখনও আলাদাভাবে, কখনও একসঙ্গে আমাদের সামনে আবির্ভূত হয়। এসব মাধ্যমের প্রকাশকে আমরা কাগজের প্রকাশনা, রেডিও, টেলিভিশন, ভিডিও, সিনেমা, ভিডিও গেমস, অনলাইন গেমস, শিক্ষামূলক সফটওয়্যার, ওয়েবপেজ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইত্যাদি নানা নামে চিনি। তবে এর সবগুলোকে বা একাধিক মাধ্যমকেই আমরা আলাদাভাবে মাল্টিমিডিয়া বলব না। কাগজের প্রকাশনা বা রেডিওকে কেউ মাল্টিমিডিয়া বলতে চাইবেন না। বলা ঠিক হবে না। টেলিভিশন-ভিডিও-সিনেমাকে আমরা মাল্টিমিডিয়া বলতে পারি। আবার ভিডিও গেমস, শিক্ষামূলক সফটওয়্যার বা ওয়েবপেজকে আমরা ইন্টারএ্যাকটিভ মাল্টিমিডিয়া বলতে পারি। তবে এটি খুব স্পষ্ট করে বলা ভাল যে, বহু মাধ্যম মানেই ডিজিটাল যুগের মাল্টিমিডিয়া নয়। উইকিপিডিয়া অনুসারে মাল্টিমিডিয়া হলো মিডিয়া ও কনটেন্ট যাতে কনটেন্টের বিভিন্ন রূপ ব্যবহার হওয়া। মাল্টিমিডিয়া টেক্সট, অডিও, স্থির চিত্র, এনিমেশন, ভিডিও ও ইন্টারএ্যাকটিভ কনটেন্ট মিলিয়ে মাল্টিমিডিয়ার জগত তৈরি হয়। উইকিপিডিয়া বহুদিন আগে মাল্টিমিডিয়া সম্পর্কে লিখেছে : Multimedia is usually recorded and played, displayed or accessed by processing devices, such as computerized and electronic devices, but can also be part of a live performance. Multimedia (as an adjective) also describes devices used to store and experience multimedia content. তবে ২০২১ সালে উইকিপিডিয়া মাল্টিমিডিয়া ডিজিটাল রূপান্তর বা ডিজিটাল মাল্টিমিডিয়া সম্পর্কে যথেষ্ট নতুন তথ্য দিয়েছে এবং মোটামুটি বিস্তারিত বিষয়াদি তুলে ধরেছে। ইংরেজী এই নিবন্ধটির সারসংক্ষেপ আমি তুলে ধরব, তাতে ডিজিটাল মিডিয়া (মাল্টিমিডিয়া) সম্পর্কে পাঠক-পাঠিকারা একটি অসাধারণ ধারণা পাবেন। ডিজিটাল মিডিয়ার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে উইকিপিডিয়া বলছে, ডিজিটাল মিডিয়ার দৃষ্টান্ত হচ্ছে, সফটওয়্যার, ডিজিটাল চিত্র, ডিজিটাল ভিডিও, ভিডিও গেমস, ওয়েবপেজ ও ওয়েবসাইট, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ডিজিটাল ডাটা, ডাটাবেজ, ডিজিটাল অডিও, এমনকি ইলেকট্রনিক দলিলাদি বা ই-বুক। উইকিপিডিয়ার মতে এনালগ মিডিয়া বলতে কাগজ, ফিল্ম, অডিও টেপ বা ভিডিও টেপ ইত্যাদিকে বোঝায়। প্রযুক্তির কারণে অনেক ডিজিটাল মাধ্যমও এখন প্রায় অবলুপ্ত বা ব্যবহার হয় না। যেমন কমপ্যাক্ট ডিস্ক (সিডি) বা ডিভিডি এক সময় ডিজিটাল মিডিয়ার বাহক ছিল; কিন্তু কালক্রমে সেগুলো বিলুপ্ত হয়ে গেছে। উইকিপিডিয়ার মতে, ডিজিটাল মিডিয়া অনেক বিস্তৃত ও জটিল প্রভাব ফেলেছে সমাজ ও সংস্কৃতির ওপর। ইন্টারনেট ও ব্যক্তিগত কম্পিউটার এবং অন্যান্য ডিজিটাল যন্ত্র অভাবনীয় পরিবর্তন এনেছে প্রকাশনা, সাংবাদিকতা, গণসংযোগ, বিনোদন, বাণিজ্য ও রাজনীতিতে। মেধাস্বত্ব এক্ষেত্রে বিরাট চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ আমরা সম্ভবত একটি কাগজবিহীন বিশ্বের পথে যাচ্ছি। কম্পিউটার ডিজিটাল মিডিয়ার জনক : আমরা সবাই জানি চার্লস ব্যাবেজ কম্পিউটার উদ্ভাবন করেন এবং লেডি এডা লাভলেস ১৮২২-২৩ সালের দিকে সেই যন্ত্রকে প্রোগ্রামিং যন্ত্রে রূপান্তর করে একটি বিশ্ব বিপ্লবের সূচনা করেন। এর পরের সময় কম্পিউটার যুগ ডিজিটাল যেভাবে গড়ে তুলেছে তার বিস্তারিত বিবরণ এখন পেশ করা কঠিন। উইকিপিডিয়ার মতে ১৯৯৬ সালে বিশ্বের শতকরা মাত্র ১ ভাগ তথ্য ডিজিটাল পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করা হতো। ২০০৭ সালে উইকিপিডিয়ার মতে সেটি শতকরা ৯৪ ভাগে উন্নীত হয়। এটি শতভাগ হওয়াটা কেবল সময়ের ব্যাপার। সেজন্যই আমরা এখন ডিজিটাল বিশ্বে বাস করছি। বাংলাদেশে ৯৬-২০০১ এবং ২০০৯-২১ সালে যে রূপান্তর ঘটেছে তা অভাবনীয়। বঙ্গবন্ধুর বোনা বীজ থেকে প্রধানমন্ত্রী এই রূপান্তর ঘটাচ্ছেন। ডিজিটাল যন্ত্র ও মাল্টিমিডিয়া : বস্তুত মাল্টিমিডিয়া হলো এমন মিডিয়া ও উপাত্ত যাতে নানা ধরনের বিষয়বস্তুর প্রকারভেদ থাকে। মাল্টিমিডিয়া সচরাচর কম্পিউটারাইজড বা ইলেকট্রনিক উপাত্ত প্রক্রিয়াকরণ যন্ত্রের সহায়তায় ধারণ বা পরিচালন করা যায়। এটি সরাসরি মঞ্চে প্রদর্শিত হতে পারে বা অন্যরূপে সরাসরি সম্প্রচারও হতে পারে। কখনও কখনও মাল্টিমিডিয়া বিষয়বস্তু ধারণ ও পরিচালনা করার কোন কোন ইলেকট্রনিক যন্ত্রকেও মাল্টিমিডিয়া নামে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে। যদি আমরা কোন একটি কর্মকান্ডে তিনটি মাধ্যমকেই একসঙ্গে ব্যবহার করাকে মাল্টিমিডিয়া বলি তবে তা সিনেমা থেকে শুরু। উনিশ শতকের শেষ প্রান্তে ১৮৯৫ সালে সিনেমার উদ্ভব হবার পর তাতে বর্ণ, চিত্র, শব্দ (Sound) এবং চলমানতা যুক্ত হওয়ায় বিভিন্ন মাধ্যমের পরস্পর সংলগ্ন হওয়ার ব্যাপারটি ঘটতে থাকে। আজকের দিনের মাল্টিমিডিয়ার পূর্ব পুরুষ বলতে তাই সিনেমাকে স্মরণ করতে হবে। তবে প্রযুক্তিগতভাবে বিভিন্ন মাধ্যমের যুক্ত হওয়ার সেই সূচনাকালটি অনেক আগের হলেও এসবের সঙ্গে কম্পিউটারের যুক্ত হওয়া খুব বেশি দিনের ব্যাপার নয়। বহুদিন আগে থেকেই এদেশের মানুষের কাছে মাল্টিমিডিয়া প্রযুক্তি, তার স্বরূপ, ভবিষ্যত সম্ভাবনা-এর ব্যবহার এবং এই প্রযুক্তিভিত্তিক পেশা গড়ে তোলার একটি প্রয়াস আমার ছিল। এই বিষয়ে একটি বইও আমার প্রকাশ হয়েছে। এবারকার নিবন্ধের মূল উদ্দেশ্য ডিজিটাল বাংলাদেশে মাল্টিমিডিয়া, যাকে আমি এখন ডিজিটাল মিডিয়া হিসেবেই চিনি, সেটি কেমন করে চেনা যাবে ও তার ওপর ভিত্তি করে আমাদের নতুন প্রজন্ম কেমন করে পেশা তৈরি করতে পারে। এজন্য যে তাদের কম্পিউটার বিজ্ঞান পাঠ করতে হবে না সেই বিষয়টি আমি মাথায় রেখেছি। আমরা সবাই জানি সবচেয়ে জনপ্রিয় ডিজিটাল যন্ত্র কম্পিউটার গণনা যন্ত্র বা হিসাব-নিকাশ করার যন্ত্র হিসেবেই সমধিক পরিচিত হয়ে আসছে। তথ্য প্রক্রিয়াকরণ ও পারাপার কম্পিউটারের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছিল। এরপর লেখালেখি করার জন্য এই যন্ত্রটির ব্যাপক ব্যবহার শুরু হয়। কিন্তু এতসব কাজ করার জন্য শুরুতে কম্পিউটারের একটি মাত্র মিডিয়া যথা- বর্ণ (Text) ব্যবহার করতে হতো। কিন্তু কালক্রমে কম্পিউটারে চিত্র (Image) এবং শব্দ (Sound) সমন্বিত হয়। তাছাড়া কম্পিউটারের রয়েছে প্রোগ্রামিং করার ক্ষমতা। বস্তুত কম্পিউটারের মাল্টিমিডিয়া মানে হলো বর্ণ, চিত্র ও শব্দের সমন্বয়ে একটি ইন্টারএ্যাকটিভ অভিজ্ঞতা। এই অভিজ্ঞতা এক সময় নানা যন্ত্রে প্রকাশ হতো। এখনও সেটি হয়ত আছে। কিন্তু বিশ্ব ক্রমশ শুধু মেকানিক্যাল, ইলেক্ট্রো মেকানিক্যাল বা ইলেক্ট্রিক্যাল যুগ ছেড়ে এখন মাইক্রোপ্রসেসরভিত্তিক ইন্টারএ্যাকটিভ ডিজিটাল দুনিয়ায় চলে এসেছে। ফলে অতীতের চাইতে এখনকার মাল্টিমিডিয়ার অভিজ্ঞতা অনেক সমৃদ্ধ। যন্ত্র হিসেবেও মাল্টিমিডিয়ার বাহন এখন কেবল ইলেকট্রনিক বা কম্পিউটারই ব্যবহার হয় না। আমাদের হাতের কাছের মোবাইল ফোন, স্মার্টফোন, ট্যাবলেট ও অন্যান্য ডিজিটাল যন্ত্র এবং সর্বোপরি ডিজিটাল সংযুক্তি এখন মাল্টিমিডিয়া ধারণ ও পরিচালনার জন্য ব্যবহার হয়ে থাকে। ঢাকা, ২৭ জুন ২০১৪, সর্বশেষ আপডেট ১১ আগস্ট ’২১ ॥ লেখক : তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, কলামিস্ট, দেশের প্রথম ডিজিটাল নিউজ সার্ভিস আবাসের চেয়ারম্যান-সাংবাদিক, বিজয় কীবোর্ড ও সফটওয়্যার এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রণেতা [email protected] www.bijoyekushe.net
×