ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১২ জুন ২০২৫, ২৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

বাংলাদেশের রাজনীতিতে মোড় ঘোরাবে কি ইউনূস–তারেকের বৈঠক?

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৩:৩৯, ১১ জুন ২০২৫

বাংলাদেশের রাজনীতিতে মোড় ঘোরাবে কি ইউনূস–তারেকের বৈঠক?

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী শুক্রবার (১৩ জুন) লন্ডনের ‘দ্য ডরচেস্টার’ হোটেলে। স্থানীয় সময় সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত চলতে পারে এই বৈঠক  ।

প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন," বৈঠকের কোন পূর্বনির্ধারিত এজেন্ডা নেই। উভয় পক্ষই রাজনৈতিক পরিবেশ, নির্বাচনের সময়সীমা, কাঠামোগত সংস্কার বা ‘জুলাই চার্টার’সহ কর্মসূচিতে যেকোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে পারেন  ।"

তিনি উল্লেখ করেন, “তারেক রহমান দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের নেতা এবং প্রফেসর ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান। তাঁরা নিজেদের মতো করে আলোচনা করবেন এবং নিজেরাই নির্ধারণ করবেন কোন ইস্যু আলোচনায় উঠবে।”  

বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, "দলের স্থায়ী কমিটি বৈঠকে তারেককে বৈঠকে পাঠানোর পূর্ণ অনুমোদন দিয়েছে।" তিনি জানিয়েছেন, “বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এটি একটি বিরাট গুরুত্বের ঘটনা এবং বৈঠক সফল হলে রাজনৈতিক সম্প্রীতি ও রাষ্ট্রনায়নের মধ্যেও উদারতা প্রবেশ করতে পারে”  ।

ফখরুল আরও বলেন, “এই বৈঠক নতুন একটি রাজনৈতিক মাত্রা খোলার সম্ভাবনা রাখে; যেখানে পুরোনো সমস্যা সমাধানের পথ মেলে এবং নতুন আলোচনামূলক অঙ্গনের সূচনা হতে পারে।”  

অভ্যন্তরীণ ও বহিঃউভয় মহলে ধারণা, এই বৈঠক শুধু রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নয়—এটি বিশ্বাস পুনর্গঠনে সহায়ক হতে পারে। তারেকের দীর্ঘসময় বিদেশে অবস্থান ও বাংলাদেশে নির্বাচনের প্রয়াস, অথবা প্রতিশ্রুতির সময়সূচি নিয়ে চলমান দ্বন্দ্ব—সবকিছু নিয়েই চলবে টানাপোড়ন। তাই এই বৈঠক নতুন যোগাযোগের পথ খুলে দেবে বলে আশা করা হচ্ছে  ।

প্রফেসর ইউনূস ৪ দিনের সরকারি সফরে যুক্তরাজ্যে আছেন। বৈঠকের আয়োজনও তার সফরের মধ্যেই করা হয়েছে  । এই সভা শুধু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মধ্যকার আলোচনায় সীমাবদ্ধ থাকবে না—শুধু রাজনৈতিক প্রভাব নয়, সামগ্রিক কূটনৈতিক ও গণতান্ত্রিক চিত্রেও এর প্রতিফলন দেখতে চাইছে বিশ্লেষক সমাজ।

কথিত আছে ‘আলাপই শক্তি’—এবার সেটি কাজে রূপ পেতে যাচ্ছে। সাক্ষাৎটি শুধু আলোচনার মূলসূত্র হতে পারে না, বরং বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে একটি নতুন মাত্রায় পৌঁছে দিতে পারে। তাই শুক্রবারের সেই একমাত্র ব্যবস্থা, কিভাবে তা বাংলাদেশের রাজনৈতিক দৃশ্যকে নিয়ন্ত্রণে রাখবে—সেটাই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।

Mily

×