ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৩ জুন ২০২৫, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

করোনা মহামারি প্রতিরোধে এবার কতটা প্রস্তুত বাংলাদেশ?

প্রকাশিত: ১৩:০৬, ১২ জুন ২০২৫

করোনা মহামারি প্রতিরোধে এবার কতটা প্রস্তুত বাংলাদেশ?

ছ‌বি: প্রতীকী

২০২০ সালের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ঘটে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা। তারপর থেকে গোটা দেশ এক অনিশ্চিত ও কঠিন সময় পার করে। তবে ২০২৩ সাল থেকে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করে। সে বছর করোনায় ৩৭ জনের মৃত্যু হলেও ২০২৪ সালে কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। মানুষও ফিরতে শুরু করে স্বাভাবিক জীবনে।

তবে সম্প্রতি করোনার নতুন একটি ধরনে আক্রান্ত হওয়ার হার উদ্বেগ তৈরি করেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে করোনায় আক্রান্ত হন ২৩ জন। মে মাসে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৮৬-তে। চলতি জুন মাসের প্রথম ১১ দিনেই ৬৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন এবং একজন মারা গেছেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংক্রমণের হার কিছুটা বাড়লেও এখনো তা মহামারির রূপ নেয়নি। তবে তারা মনে করছেন, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এখনই সরকারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। মাঝে মাঝেই কোভিডের নতুন উপধরণ দেখা যায়, যার ফলে সংক্রমণ বাড়ে। এটি এখনো স্পষ্ট নয় যে করোনার কোনো মৌসুমি বৈশিষ্ট্য আছে কি না। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, যতটা সম্ভব সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখা গেলে ভাইরাসের পরিবর্তনের সম্ভাবনাও কমে যাবে।

এ প্রসঙ্গে তারা সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন— সঠিক তথ্য মানুষকে জানানো এবং এই বিষয়ে যাঁরা কাজ করছেন, তাঁদের গণমাধ্যমে সরাসরি কথা বলার সুযোগ করে দিতে হবে। পাশাপাশি করোনা পরীক্ষার সুযোগ এবং নিয়মিত টিকা কার্যক্রম চালু রাখার পরামর্শও দিয়েছেন তারা।

এদিকে, বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জানান, টিকা কার্যক্রম এখনো চালু আছে এবং করোনা পরীক্ষার কিটেও কোনো সংকট নেই। তিনি বলেন, “সংক্রমণ যেহেতু আবার বাড়ছে, তাই মানুষ সতর্ক হচ্ছে। সেক্ষেত্রে করোনা পরীক্ষার সুযোগগুলো আবারও চালু করা দরকার। আমরা ইতোমধ্যে কিট সংগ্রহ করেছি। যেসব স্থানে আরটিপিসিআর পরীক্ষা হয়, সেখানে এখনো কিট মজুদ আছে। তবে কিছু জায়গায় কিছু কিটের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে।”

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, কিট সরবরাহে যেন কোনো ঘাটতি না থাকে, সে জন্য বিভিন্ন বন্ধুপ্রতিম দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।

এছাড়া, করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে জনসমাগম এড়িয়ে চলা, মাস্ক পরিধানসহ ১১ দফা নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

সতর্কতা ও নিয়ম মেনে চললে করোনার নতুন এই ঢেউ সামলানো সম্ভব বলেই আশা করছে সরকার ও বিশেষজ্ঞ মহল।

ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/2-uD6NfLUmo?si=j7_clHbzalfORn3M

এম.কে.

×