ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১১ জুন ২০২৫, ২৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

দেশে এসেছে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন, সীমান্তে সতর্কতা

প্রকাশিত: ১৩:০৮, ১০ জুন ২০২৫

দেশে এসেছে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন, সীমান্তে সতর্কতা

দেশে আবারও করোনাভাইরাসের নতুন ধরন নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে সরকার দেশের সব সীমান্ত ও প্রবেশপথে সতর্কতা জারি করেছে। বিশেষ করে বেনাপোল স্থলবন্দরে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগের অন্যতম প্রধান পথ হওয়ায় এখানে স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিয়ে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে।

তবে বেনাপোলে ভারতফেরত যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি হয়েছে। কারণ, স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ব্যবহৃত ডিজিটাল থার্মাল স্ক্যানারটি অকেজো হয়ে পড়েছে। ফলে কর্তৃপক্ষকে বিকল্প হিসেবে হাতে ধরা থার্মাল স্ক্যানার ব্যবহার করতে হচ্ছে। এতে কার্যকারিতা ও নির্ভুলতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

স্বাস্থ্যকর্মীরা জানিয়েছেন, নষ্ট থার্মাল স্ক্যানারটি মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। তবে ততদিন পর্যন্ত সীমিত সামর্থ্যেই যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা চালিয়ে যেতে হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এতে করোনা ভাইরাসের নতুন ধরন শনাক্তের ঝুঁকি থেকে যাচ্ছে।

এরইমধ্যে বেনাপোল ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস বিভাগে স্বাস্থ্য সতর্কতা জোরদার করা হয়েছে। কর্মকর্তারা মাস্ক ব্যবহার করছেন এবং হাতধোয়া ও জীবাণুনাশক ব্যবহারের উপর গুরুত্ব দিচ্ছেন। কিন্তু মূল বন্দরে, বিশেষ করে পণ্যবাহী ট্রাকচালকদের জন্য কোনো স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা নেই, যা এ মুহূর্তে বড় ধরনের ঝুঁকি হিসেবে দেখা হচ্ছে।

বেনাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঈদের ছুটি শেষে পণ্যবাহী ট্রাকচালকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থাও চালু করা হবে।

স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন প্রায় ৮ থেকে ১০ হাজার পাসপোর্টধারী যাত্রী বেনাপোল দিয়ে যাতায়াত করলেও বর্তমানে ভারতের ভিসা সংকটের কারণে এই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে দৈনিক ২০০–৩০০ জনে।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনার নতুন ধরন যদি দ্রুত শনাক্ত না করা যায় এবং যথাযথ পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালু না থাকে, তবে তা আবারও দেশে সংক্রমণ ছড়াতে পারে। তাই ডিজিটাল স্ক্যানার দ্রুত চালু করে বন্দর এলাকায় সর্বাত্মক সতর্কতা প্রয়োগের পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

সানজানা

×