
বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে জাপান বাংলাদেশের পাশে রয়েছে এবং আজকের বৈঠকে সেই বন্ধুত্ব আরও সুদৃঢ় হলো।
আজ টোকিওতে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের এক সৌহার্দ্যপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের নানা দিক নিয়ে আলোচনা হয়।
জাপান সরকার বাংলাদেশকে ৪১৮ মিলিয়ন ডলার বাজেটারি সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যা ‘ডেভেলপমেন্ট পলিসি লোন’ হিসেবে বিবেচিত হবে। পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ ঈশ্বরদী-জয়দেবপুর রেললাইন উন্নয়ন প্রকল্পে সহায়তার অঙ্গীকার করেছে তারা।
শিক্ষাখাতে সহযোগিতার অংশ হিসেবে আরও ৪.২ মিলিয়ন ডলার স্কলারশিপ তহবিল ঘোষণা করেছে জাপান। সব মিলিয়ে বাংলাদেশ ১.০৬৩ বিলিয়ন ডলারের বেশি আর্থিক সহায়তা পাবে বলে জানানো হয়।
এছাড়া, বাংলাদেশের নৌবাহিনীকে পাঁচটি পেট্রোল বোট দেওয়ার ঘোষণা এসেছে এ বৈঠক থেকে। শিল্পখাতে যৌথ উদ্যোগের আওতায় ইলেকট্রিক সাইকেল তৈরির জন্য একটি কারখানা স্থাপনের লক্ষ্যে ছয়টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে।
বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন নিয়েও জাপান সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে। বিশেষ করে ভোটার রেজিস্ট্রেশনসহ নির্বাচনী ব্যবস্থাপনায় কারিগরি সহযোগিতা দেওয়ার কথা জানায় তারা।
প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গেও প্রধান উপদেষ্টা মতবিনিময় করেন। জাপানে বসবাসরত বাংলাদেশিদের মতামত গুরুত্ব দিয়ে শোনা হয় এবং লিখিত মতামতও গ্রহণ করা হয়।
জাপানে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির অংশ হিসেবে বাংলাদেশ থেকে এক লাখ কর্মী রিক্রুট করার পরিকল্পনা রয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশিরা ‘ব্রিজ বিল্ডার’ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবেন বলে বৈঠকে উল্লেখ করা হয়।
প্রধান উপদেষ্টা আশাবাদ ব্যক্ত করেন, এই সব পদক্ষেপ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখবে এবং জাপানের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও গভীর হবে।
সানজানা