
ছবি:সংগৃহীত
সম্প্রতি একটি ইউটিউব ভিডিওতে প্রবাসী সাংবাদিক কনক সারোয়ার দাবি করেছেন, নোবেল বিজয়ী ও বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে একটি পরিকল্পিত ফাঁদের মাধ্যমে পদত্যাগে বাধ্য করার চেষ্টা চলছে। তিনি অভিযোগ করেন, এ পদত্যাগ হলে "জুলাই বিপ্লব" কার্যত ব্যর্থ হয়ে যাবে।
কনক সারোয়ার বলেন, “ড. ইউনূস যদি এখনই পদত্যাগ করেন, তাহলে যারা জুলাই বিপ্লবে জীবন দিয়েছেন, আহত হয়েছেন বা এখনো কারাগারে আছেন, তাঁদের আত্মত্যাগ বৃথা যাবে।” তিনি আরও দাবি করেন, আহতদের হাসপাতাল থেকে তুলে নিয়ে জেলখানায় পাঠানো হচ্ছে এবং কারও কারও ক্ষেত্রে মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে।
সারোয়ার তাঁর বক্তব্যে বিশেষভাবে উল্লেখ করেন সেনাপ্রধানের সাম্প্রতিক আচরণকে। তিনি বলেন, “গতকালের মিটিংয়ে সেনাপ্রধানে যে ধৃষ্টতা ও বেয়াদবি দেখিয়েছেন, তা ড. ইউনূসের পক্ষে সহ্য করা কঠিন। একজন ১২তম গ্রেডের কর্মকর্তা হয়েও তিনি এমন আচরণ করতে পারেন না।”
সারোয়ার দাবি করেন, সেনাপ্রধানের এই ভূমিকা পূর্বপরিকল্পিত এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তাঁর মতে, “ওয়াকার বরং এখন বরখাস্ত হয়ে জেলে থাকার কথা, কারণ তিনি সশস্ত্র বাহিনীকে উস্কে দিয়েছেন এবং রাষ্ট্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তাদের অগ্রাহ্য করেছেন।”
সারোয়ার আরও বলেন, “আপনি (সেনাপ্রধান) কেন বলবেন ‘আমার কথা না শুনলে আমি চলে যাবো’? এটা কোনো প্রেমের খেলা নয়।
সারোয়ার জানান, আজকের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে দুইজন সিনিয়র উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে বোঝানোর চেষ্টা করেন যে, কী হতে পারে এবং কেন তাঁকে দায়িত্বে থাকতে হবে। সারোয়ার বলেন, “আমি যতটুকু জানি, ড. ইউনূস তা বুঝতে পেরেছিলেন এবং কিছুটা সন্তুষ্টও হয়েছিলেন।”
তবে এরই মধ্যে একাধিক গুজব ছড়িয়েছে যে, ড. ইউনূস পদত্যাগের বিষয়ে চিন্তা করছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিতে নাহিদ ইসলামকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলা হয়, ড. ইউনূস চলমান পরিস্থিতিতে দায়িত্ব পালন নিয়ে শঙ্কিত।
ভিডিওর শেষে কনক সারোয়ার বলেন, “ড. ইউনূস, আপনার সঙ্গে দেশের সাধারণ মানুষ আছেন। কে আপনাকে কাজ করতে দেবে বা দেবে না, সেটা নিয়ে ভাবার কিছু নেই। বরং যাঁরা আপনাকে ফাঁদে ফেলেছে, তাদের চিহ্নিত করা জরুরি।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, ড. ইউনূস শুরু থেকেই কিছু ‘অপদার্থ’ উপদেষ্টা নিয়োগ দিয়েছেন, যা এই সমস্যার মূল। “আমরা বহু আগেই বলেছি, সমস্যা কোথায়। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে আপনি সেটা গুরুত্ব দেননি,” বলেন সারোয়ার।
আঁখি