
চা শ্রমিকদের দাবি-দাওয়া পূরণ ও শিল্পের উন্নয়নে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় শ্রীমঙ্গলের বালিশিরা ভ্যালি ক্লাবে মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন চা বাগানের কর্তৃপক্ষ, সিইও ও ব্যবস্থাপকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায়প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, চা শ্রমিকদের অসন্তোষ দূর করতে শ্রম, অর্থ, বাণিজ্য, শিল্প, কৃষি ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হবে। এছাড়া, শ্রমিক-মালিক-সরকারের ত্রিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে এই খাতের সমস্যা সমাধানে কাজ করা হবে।তিনি বলেন, চা শিল্প বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী রপ্তানিখাত। এক সময় এটি পূর্ব পাকিস্তানের একমাত্র রপ্তানি পণ্য ছিল। এই শিল্পকে আমরা ধ্বংস হতে দিতে পারি না।
চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় কাজ করছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, শ্রমিকদের মৌলিক চাহিদা পূরণে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। শ্রীমঙ্গলে চা শ্রমিকদের জন্য একটি হাসপাতাল নির্মাণের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করা হবে।
শ্রম সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, "চায়ের নিলাম মূল্য উৎপাদন খরচের চেয়ে কম হওয়ায় শ্রমিকরা সময়মতো মজুরি পাচ্ছে না। তাদের মজুরি ও রেশন ব্যবস্থা উন্নয়নে আলোচনা চলছে।”চা বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, চায়ের নিলাম মূল্য বাড়ানো হবে, ফলে এ শিল্পের সংকট কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। মতবিনিময় সভায় কাপনা টি কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব কামরান তানভিরুর রহমান স্বাগত বক্তৃতা উপস্থাপন করেন। পরবর্তীতে চা বাগানের বিভিন্ন ব্যবস্থাপক চা শিল্পের বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরেন।
এ সময় টি বোর্ডের চেয়ারম্যান, মৌলভীবাজার জেলার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, শ্রম অধিদপ্তর এবং কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
আফরোজা