
ফারাক্কার পানির ন্যায্য হিস্যার জন্য লড়াই চিরকাল রক্তে বহমান থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম সদস্য সচিব জয়নাল আবেদীন শিশির। আজ শুক্রবার (১৬ মে) ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবসে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ মন্তব্য করেন।
স্ট্যাটাসে শিশির বলেন, “আজ ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস, আমাদের পানির ন্যায্য হিস্যার জন্য লড়াইয়ের শপথ গ্রহণের দিন। পূর্বপুরুষদের মতো, আমাদের এই সংগ্রাম চিরকাল রক্তে বহমান থাকুক।”
উল্লেখ্য, ১৯৭৬ সালের এই দিনে ফারাক্কা বাঁধের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে লং মার্চ করেন দেশের প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ ও জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী। ভারত সরকারের গঙ্গা নদীর উপর নির্মিত ফারাক্কা বাঁধের কারণে বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ভয়াবহ মরুকরণ শুরু হয়। এর প্রতিবাদেই ঐতিহাসিক ওই লং মার্চ অনুষ্ঠিত হয়।
লং মার্চ শেষে ভাসানী চাঁপাইনবাবগঞ্জের কানসাট হাই স্কুল মাঠে এক বিশাল জনসমাবেশে বক্তব্য রাখেন এবং আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় পদ্মা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা দাবি করেন।
জানা যায়, ১৯৭৫ সালে ভারত সরকার ফারাক্কা বাঁধ চালু করে, যা বাংলাদেশের সীমান্ত থেকে মাত্র ১৮ কিলোমিটার উজানে অবস্থিত। এর ফলে পদ্মা নদীতে পানিপ্রবাহ কমে গিয়ে দেশের উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে মারাত্মক জলবায়ু ও পরিবেশগত সংকট দেখা দেয়।
১৯৯৬ সালে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ৩০ বছর মেয়াদি গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ওই চুক্তি অনুযায়ী, জানুয়ারি থেকে মে মাসের খরা মৌসুমে বাংলাদেশকে দৈনিক গড়ে ৩৫ হাজার কিউসেক পানি দেওয়ার কথা থাকলেও বাস্তবে সে পানি পায়নি বাংলাদেশ।
প্রতিবছর ১৬ মে ‘ফারাক্কা দিবস’ হিসেবে পালিত হয়ে আসছে, যা দেশের পানিস্বাধীনতা ও আঞ্চলিক ন্যায্যতার দাবিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্মারক হিসেবে বিবেচিত।
নুসরাত