
ছবিঃ সংগৃহীত
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট আহমদ আজম খান সম্প্রতি একটি টকশোতে মানবিক করিডর প্রসঙ্গে সরকারের ভূমিকা ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, “আমি মনে করি, মানবিক করিডর বিষয়ে ডা. জাহেদের বক্তব্য যথাযথ। তবে যদি সরকার মনে করে এটি বাস্তবায়ন অত্যন্ত জরুরি, তাহলে বিষয়টি নিয়ে জাতীয় সংলাপ হওয়া উচিত। প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলসহ দেশের প্রভাবশালী রাজনৈতিক শক্তিগুলোর সঙ্গে আলোচনা করা দরকার।”
তিনি আরও বলেন, “বর্তমানে যেহেতু সংসদ নেই, সেহেতু এটি একটি বড় সিদ্ধান্ত। এমন সিদ্ধান্ত সরকার এককভাবে নিলে তা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হবে। তাই পুরো জাতিকে এই বিষয়ে সম্পৃক্ত করা প্রয়োজন। জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।”
আহমদ আজম খান বিএনপি মহাসচিবের উদ্বেগের সঙ্গে একমত প্রকাশ করে বলেন, “আমরা যেন আরেকটি গাজার মতো পরিস্থিতির মধ্যে না পড়ি, সে বিষয়ে মহাসচিব যথাযথ আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। সরকারের উচিত এই বিষয়টি গভীরভাবে অনুধাবন করা।”
তিনি আরও বলেন, “বর্তমানে নির্বাচন সামনে রেখে সরকারের উচিত হবে রাষ্ট্রীয় কোনো বড় সিদ্ধান্তে না যাওয়া। এসব বিষয় সংসদের জন্য রেখে দেওয়া উত্তম। যেমন এনবিআরের পরিস্থিতি এখন অস্থির, অথচ রাষ্ট্রীয় রাজস্ব আহরণে এ প্রতিষ্ঠানটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এমন বড় বড় সিদ্ধান্ত বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেওয়া ঠিক হবে না।”
মানবিক করিডর প্রসঙ্গে আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি বলেন, “ডা. জাহিদুর রহমান যে ইঙ্গিত দিয়েছেন—এ ধরনের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ বাড়তে পারে কিংবা নির্বাচন বিলম্বিত হতে পারে—সেই আশঙ্কা অমূলক নয়। অতীতেও দেখা গেছে, কেউ কেউ ক্ষমতায় থাকতে যুদ্ধ বা সংকট তৈরি করেছেন। যেমন ১৯৬৫ সালে আইয়ুব খান ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ বাঁধিয়েছিলেন ক্ষমতায় থাকার জন্য।”
তিনি আরও বলেন, “বর্তমানে কাশ্মীরের ঘটনাও কেউ পরিকল্পিতভাবে তৈরি করতে পারে—এই আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। কোনো গোষ্ঠী যদি ভারত-পাকিস্তানে অস্থিতিশীলতা তৈরি করে, তাহলে তা কারও না কারও লাভের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।”
তথ্যসূত্রঃ https://www.facebook.com/share/v/18yk9g8PP6/
মারিয়া