ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০১ মে ২০২৫, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২

আগামী সাত মাসেই বদলে যেতে পারে বাংলাদেশের ভাগ্য: শফিকুল আলম

প্রকাশিত: ১১:০৪, ১ মে ২০২৫; আপডেট: ১২:৫৯, ১ মে ২০২৫

আগামী সাত মাসেই বদলে যেতে পারে বাংলাদেশের ভাগ্য: শফিকুল আলম

বাংলাদেশ কি নতুন এক শিল্পবিপ্লবের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে? এমন সম্ভাবনার ইঙ্গিতই মিলছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমের একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসে।
আজ (১ মে,২০২৫) সকালে দেওয়া ওই পোস্টে শফিকুল জানান, তিনি আলোচনায় বসেছিলেন প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সিইও আহসান খান চৌধুরীর সঙ্গে। আহসান খান সম্প্রতি তাইওয়ান সফর শেষে দেশে ফিরে এসেছেন এবং জানিয়েছেন,প্রাণ-আরএফএল এখন একাধিক চীনা কোম্পানির সঙ্গে যৌথ বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনায় আছে।
বিশ্ববাণিজ্যের চেহারা বদলাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নীতির কারণে উৎপাদন এখন পূর্ব এশিয়া থেকে সরছে দক্ষিণ এশিয়ার দিকে। সেই জায়গায় বাংলাদেশও উঠে আসার সুযোগ পেয়েছে।

প্রাণ-আরএফএল এখন আর নতুন জমিতে ফ্যাক্টরি করছে না। তারা পুরনো ও অব্যবহৃত সরকারি-বেসরকারি কারখানা নিয়ে সেগুলো রূপান্তর করছে আধুনিক রপ্তানিমুখী প্ল্যান্টে। রংপুরের পুরনো তামাক কারখানা এখন জুতা তৈরির প্ল্যান্ট, রাজশাহীর পুরনো পাটকল এখন রপ্তানি ইউনিটে রূপান্তরিত।

এই ধরনের উদ্যোগ এখন আরও বিস্তৃত হচ্ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। আহসান খান বলেন, "বিশ্ববাজারে পরিবর্তনের যে সুযোগ এসেছে, সেটা অনেক বড়। দরকার শুধু একটা অনুকূল পরিবেশ, যেখানে উৎপাদন আর রপ্তানি ঠিকভাবে চালানো যাবে।"

শফিকুল আলম লিখেছেন, এখনকার নিউ ইয়র্ক টাইমস, ফাইনান্সিয়াল টাইমস বা ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল দেখলেই বোঝা যায়, ব্রেটন উডস বা ডব্লিউটিওর ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা পুরনো বাণিজ্যব্যবস্থা ভেঙে পড়ছে। এই ব্যবস্থায় চীন, ভিয়েতনাম, কোরিয়া, সিঙ্গাপুর সবাই রপ্তানি দিয়ে ধনী হয়েছে। অথচ দক্ষিণ এশিয়া পিছিয়ে থেকেছে।এখন নতুন সুযোগ এসেছে। বাংলাদেশ সেই সুযোগ নিতে পারবে কি না, এটাই বড় প্রশ্ন।

রাজনীতি এখানে বড় ভূমিকা রাখবে। ইতিবাচক দিক হলো, এখন দেশের প্রায় সব রাজনৈতিক দলই ব্যবসাবান্ধব মানসিকতা দেখাচ্ছে।তবে শফিকুল আলম মনে করেন, বড় চ্যালেঞ্জটা হবে পণ্য পরিবহন আর সরবরাহ ব্যবস্থায়। যদি আমরা দ্রুত রপ্তানি করতে না পারি, তাহলে এই সম্ভাবনাও শেষ হয়ে যেতে পারে।

চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে বড় পরিকল্পনা
সরকার এই বিষয়টা গুরুত্ব দিয়েই দেখছে। চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা ছয় গুণ বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এতে বছরে ৭.৮৬ মিলিয়ন কনটেইনার সামাল দেওয়া সম্ভব হবে। এই প্রকল্পে আন্তর্জাতিক মানের কোনো কোম্পানিকে যুক্ত করার পরিকল্পনাও আছে।এটা সফল হলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যজগতে পরিষ্কার বার্তা যাবে,বাংলাদেশ এখন প্রস্তুত, বিনিয়োগের জন্য খোলা।


সামনের ছয়-সাত মাসই টার্নিং পয়েন্ট

শফিকুল আলম লিখেছেন,এই ছয়-সাত মাসই নির্ধারণ করে দেবে, বাংলাদেশ সত্যি কি পারবে রপ্তানিনির্ভর শিল্পশক্তি হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে?আমাদের সামনে বড় একটা সুযোগ এসেছে। এখন দেখার বিষয়আমরা কি সেটা কাজে লাগাতে পারব?

 


 

 

আফরোজা

×

শীর্ষ সংবাদ:

যেই সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হবে তারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে: আমীর খসরু
জামায়াত নেতারা রাজাকার হলে পাকিস্তানে গাড়ি বাড়ি থাকতো : শামীম সাঈদী
এনসিপির সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত সম্পৃক্ততা নেই- উমামা ফাতেমা
‘বাংলাদেশি’ সন্দেহে আটকদের অধিকাংশই ভারতীয় মুসলমান
ইয়েমেনে হামলা চালিয়েই সাগরে ডুবে গেল মার্কিন সর্বাধুনিক যুদ্ধবিমান
জামিন পেলেননা তারেক রহমানের খালাতো ভাই তুহিন
লন্ডনে আজ আর্সেনাল পিএসজি মহারণ
১৭ অভিনয়শিল্পীর নামে মামলা, তালিকায় আছেন নুসরাত ফারিয়া-অপু বিশ্বাস-ভাবনাসহ অনেকেই
১০০ টাকা মূল্যমানের প্রাইজবন্ডের ১১৯তম ড্র অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল
স্বর্ণের দাম, রেকর্ড উচ্চতা থেকে পতনের পথে
কুমিল্লায় পুলিশ-সেনাবাহিনীর চাকরির নামে প্রতারণা: দালালসহ ১৩ জন গ্রেফতার
১২ বছর বয়সী ছেলে শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগে ৩ মাদ্রাসা শিক্ষক গ্রেফতার