ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ০৯ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২

পিএসসি সংস্কার: ৮ দফা দাবিতে রাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ 

রাবি সংবাদদাতা

প্রকাশিত: ২০:২৩, ২৬ এপ্রিল ২০২৫

পিএসসি সংস্কার: ৮ দফা দাবিতে রাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ 

ছবি: জনকণ্ঠ

পিএসসি সংস্কার এবং প্রশ্ন ফাঁসে জড়িতদের শাস্তির দাবিতে অনশনরত ঢাবি শিক্ষার্থীদের সাথে সংহতি প্রকাশ করে ৮ দফা দাবিতে 'পিএসসি সংস্কার আন্দোলন' এর ব্যানারে বিক্ষোভ করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা।

আজ শনিবার (২৬ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে পাঁচটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এ কর্মসূচি শুরু হয়। সমাবেশ শেষে শিক্ষার্থীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের জোহা চত্বরে এসে শেষ হয়।

এসময় শিক্ষার্থীরা বিসিএস প্রশ্নফাঁসে জড়িতদের বহিষ্কার ও শাস্তির ব্যবস্থা করা, নন ক্যাডার বিধি-২০২৩ বাতিল করে বিসিএস ভাইভায় উত্তীর্ণ সকলের চাকরির বন্দোবস্ত করা এবং ৪৫ তম বিসিএস থেকে মৌখিক পরীক্ষার নম্বর ১০০ করাসহ আরো ৫টি দাবি জানান।

সমাবেশে স্টুডেন্ট রাইটস অ্যাসোসিয়েশন'র সভাপতি ও রাবির সাবেক সমন্বয়ক মেহেদী সজিব বলেন, সরকারের আমলে একটা অবস্থা ছিল, যখন শুধু পিএসসি নয়, যেকোনো ইস্যুতে কথা বলতে গেলেও আমাদের দ্বিধা হতো। কিন্তু এই মুহূর্তে এসে জুলাইয়ের আদর্শ নিয়ে ক্ষমতায় বসা সরকারের কাছে বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে গলা ফাটিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু তাও ফলপ্রসূ কোনো সমাধান আসছে না। তারা হয়ত কয়েকটি বিষয় সমাধান করছে, তবে অধিকাংশ বিষয়ই এড়িয়ে যাচ্ছে। আমরা স্পষ্টভাবে বলে দিতে চাই, পিএসসি কোনো অমীমাংসিত বিষয় হতে পারে না। কারণ পিএসসিকে কেন্দ্র করে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের নীতি নির্ধারিত হবে, নেতৃত্ব নির্বাচন হবে।

রাবি ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি মেহেদী হাসান মারুফ বলেন, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে পিএসসি সংস্কার নিয়ে একটি কথা সামনে এসেছে। আমরা দেখেছি আবেদালি গ্যাং এর মাধ্যমে কীভাবে প্রশ্ন ফাঁস করা হয়েছে। এখনো পর্যন্ত পিএসসির প্রশ্নফাঁসকারীরা দেশে আছে। আমরা এই সমাবেশ থেকে বলতে চাই, যারা প্রশ্ন ফাঁসের সাথে জড়িত ছিল অনতিবিলম্বে তাদের আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। আমরা দেখেছি ঢাবি কেন্দ্রিকতার কারণে দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছে। আমরা বলে দিতে চাই সামনের পিএসসি সংস্কারে প্রত্যেকটা বিশ্ববিদ্যালয়কে সমান গুরুত্ব দিতে হবে।

নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী তানজিনা বলেন, জুলাইয়ে আমাদের দেশ দ্বিতীয়বারের মতো স্বাধীন হয়েছে ঠিক কিন্তু দেশের গঠন কাঠামো এখনো আমরা ঠিক করতে পারিনি। দেশে সবকিছু এখনো ঢাকা কেন্দ্রিক। অনেক জায়গায় আমরা বৈষম্য দেখতে পাচ্ছি। কিছুদিন আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একজনকে নিয়োগ দেওয়ার কথা হয়েছে, কিন্তু পরক্ষণেই সেখানে আবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একজনে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আমরা ঢাকার বাহিরে পড়ি বলে বৈষম্যের শিকার হচ্ছি। জুলাই আন্দোলনে তো আমাদেরও অবদান ছিল। তাহলে এখন কেন সবকিছু ঢাবি কেন্দ্রিক হবে? কেনো আমি বিসিএস ভাইভায় বৈষম্যের শিকার হবো? অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে এর জবাব দিতে হবে, না হয় পিএসসি সংস্কার করতে হবে।

 

রাবি ছাত্র অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব আল শাহরিয়ার শুভ'র সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

লুবনা/রবিউল

×