ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

তিন শুন্য’র বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৪:৫৩, ৮ নভেম্বর ২০২৪; আপডেট: ২৩:৫৮, ৮ নভেম্বর ২০২৪

তিন শুন্য’র বাংলাদেশ

ড.মুহাম্মদ ইউনূস

A World of Three Zeros ২০১৭ সালে  দারিদ্র্য, বেকারত্ব, ও কার্বন নিঃসরণ তিনটি বড় সংকট নিয়ে ড. ইউনূসের বিশ্ব বিখ্যাত সাড়া জাগানো বই।সারাবিশ্বে তার বই,ইউনুসকে নিয়ে গেছে এক অনন্য উচ্চতায়।

 

 

 

 

ড. ইউনূসের মতে, “বর্তমান পুঁজিবাদী অর্থনীতির কারণে ধনী শ্রেণির হাতে সম্পদ কেন্দ্রীভূত হচ্ছে, ফলে দরিদ্র জনগোষ্ঠী আরও বঞ্চিত হচ্ছেন।দিন দিন ধনীরা আরো ধনী হচ্ছে আর গরীবরা হচ্ছেন আরো গরীব।

মি. ইউনুস  মনে করেন, “প্রচলিত অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় দারিদ্র্য দূর করা সম্ভব নয়,যার জন্য তা অর্জনে লাগবে তারুণ্য, প্রযুক্তি, সুশাসন ও সামাজিক ব্যবসা।

ড. ইউনূসের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে সম্প্রতি  ‘তিন শূন্য’ তত্ত্বটি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে বাস্তবায়নের নতুন প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছে যাতে করে বাংলাদেশ থেকে দারিদ্র্য-বেকারত্ব, সম্পদ বৈষম্য ও কার্বন নিঃসরণ সর্বনিম্ন মাত্রায় নামিয়ে আনা যায় এবং দেশটিকে ‘তিন শূন্যের বাংলাদেশ’ হিসেবে একটি  হিসেবে গড়ে তোলা যায়।

বাংলাদেশে এই যাত্রায় প্রায় শূন্য থেকেই শুরু করতে হবে এই নোবেলজয়ীকে। আর এই লক্ষ্য অর্জনে সামনে থাকছে তার নিজের তত্ত্ব তিন শূন্য। এ ক্ষেত্রে শূন্যে নামিয়ে আনতে হবে দারিদ্র্য, বেকারত্ব ও কার্বন নিঃসরণ। 

মি. ইউনুস মনে করেন,বর্তমান অর্থনৈতিক ব্যবস্থা নিজেই দারিদ্র্য সৃষ্টি করে এবং এই ব্যবস্থার অধীনে দারিদ্র্য দূর করা সম্ভব নয়।মানুষ এককভাবে দারিদ্র্য তৈরি করে না, আমাদের অর্থনৈতিক কাঠামোর ভেতরেই তৈরি হয় দারিদ্র্য।যার জন্য তারুণ্য, প্রযুক্তি, সুশাসন ও সামাজিক ব্যবসায়কেই গুরত্ব দিচ্ছেন মি. ইউনুস।

মি. ইউনুস আরো মনে করেন,আমরা জন্মেছি সমস্যা সমাধানের জন্য। কারো অধীনে চাকরি করার জন্য নয়।

তাই তরুণ প্রজন্মকে উদ্যোক্তা হতে হবে। কারো অধীনে নয়, বিশ্বকে নেতৃত্ব দিতে হবে নিজের পায়ে দাঁড়িয়েই।

উল্লেখ্য,মি. ইউনুস মালয়েশিয়ার ইউনিভার্সিটি পুত্রা আয়োজিত একটি জন-বক্তৃতা অনুষ্ঠানে ভাষণ দেয়াকালে তার ‘তিন শূন্য’, ধারণার ব্যাখ্যা করেছিলেন।

ফুয়াদ

×