
ছিনতাই হওয়া বাংলাদেশের এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজ।
সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে ছিনতাই হওয়া ‘এমভি আব্দুল্লাহ’ জাহাজে আছে প্রায় ৫৫ হাজার টন কয়লা। আর এই কয়লার দাম ৬৬ লাখ ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় ৮০ কোটি টাকা।
গত মঙ্গলবার কয়লা মোজাম্বিক থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে নেওয়ার পথে ২৩ নাবিক ও ক্রুসহ জাহাজটিকে আটক করে সোমালিয়ান জলদস্যুরা। এরপর তাদের জিম্মি করে জলদস্যুরা জাহাজটিকে নিজেদের নিয়ন্ত্রিত জলসীমায় নিয়ে গেছে। এমভি আব্দুল্লাহ ও এর জিম্মিদের মুক্তি দিতে কেউ এখনো মুক্তিপণ চেয়ে যোগাযোগ করেনি। তবে মুক্তিপণ ছাড়া মুক্তি মিলবে না বলে নিশ্চিত হয়েছে জাহাজটির মালিকপক্ষ।
এই মুক্তিপণ প্রদান ও গ্রহণ প্রক্রিয়া বেশ জটিল ও সময়সাপেক্ষ। তাই কয়লা বোঝাই জাহাজটি কত দিন এভাবে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকবে তা নিয়ে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা।
এদিকে, জাহাজে থাকা নাবিকদের সঙ্গে খুব সীমিত পরিসরে কথা বলার সুযোগ দিচ্ছে জলদস্যুরা। আজ রোববার দিনভর নাবিকদের সঙ্গে কারো কোনো যোগাযোগ করতে দেয়নি জলদস্যুরা। গতকাল শনিবার দিনভরও ছিল অভিন্ন চিত্র। দিনভর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রাখার পর রাত ৮টার দিকে একজন নাবিকের সঙ্গে মালিকপক্ষকে কথা বলতে দিয়েছে জলদস্যুরা।
কেএসআরএম গ্রুপের মুখপাত্র ও গণমাধ্যম উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘জাহাজে জিম্মি থাকা নাবিক ও ক্রুদের সঙ্গে খুব সীমিত পরিসরে কথা হয় আমাদের। সেখানে বিস্তারিত কিছু জিজ্ঞেস করার সুযোগ থাকছে না। আজ সারাদিন নাবিকদের কারো সঙ্গে আমরা কথা বলার সুযোগ পাইনি। গতকাল শনিবার দিনভর ছিল এমন যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতা। রাত ৮টার দিকে একজন নাবিকের সঙ্গে অল্প সময় কথা বলার সুযোগ পাই আমরা।’
এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজে থাকা প্রায় ৫৫ হাজার টন কয়লা দু-তিনদিনের মধ্যে আরব আমিরাতের দুবাইয়ে খালাস করার কথা ছিল। কিন্তু এখন এসব কয়লা কখন খালাস হবে, জিম্মিরা কবে মুক্তি পাবে- তা জানে না কেউই।
২০১০ সালের ৫ ডিসেম্বর একই গ্রুপের আরেকটি জাহাজ জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল। সেই জাহাজের নাম এমভি জাহান মণি। সেটিতে পণ্য ছিল আকরিক। মুক্তিপণের বিনিময়ে ১০০ দিনের মাথায় ওই জাহাজ থেকে মুক্তি পান ২৫ নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রী।
এম হাসান