
আজ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস
“আজ এই ঘোর রক্ত গোধূলিতে দাঁড়িয়ে/ আমি অভিশাপ দিচ্ছি তাদের/ যারা আমার কলিজায় সেঁটে দিয়েছে/ একখানা ভয়ানক কৃষ্ণপক্ষ/’....কিংবা ‘একঝাঁক ঝাঁ ঝাঁ বুলেট তাদের বক্ষ বিদীর্ণ করুক/ এমন সহজ শাস্তি আমি কামনা করি না তাদের জন্য......”।
দেশের প্রধান কবি প্রয়াত শামসুর রাহমান তাঁর কবিতায় এভাবেই জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হন্তারক দেশদ্রোহী রাজাকার-আলবদর-আলশামসদের শাস্তি কামনা করেছেন। আজ চৌদ্দই ডিসেম্বর, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের নিধনের মর্মন্তুদ স্মৃতিঘেরা এক দিন। বাঙালির মেধা-মনন-মনীষা শক্তি হারানোর দিন আজ। ইতিহাসের পাতায় কালো আখরে উৎকীর্ণ বেদনাবিধূর কালবেলা। পথে পথে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সকল বাঙালির কণ্ঠে আজ উচ্চারিত হবে- ‘উদয়ের পথে শুনি কার বাণী ভয় নাই ওরে, ভয় নাই। নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই...।’ বুদ্ধিজীবী হত্যার ঠিক দুদিন পর ১৬ ডিসেম্বর জেনারেল নিয়াজির নেতৃত্বাধীন বর্বর পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করে এবং স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।
ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক শহীদ জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতার সহধর্মিণী বাসন্তী গুহঠাকুরতা তাঁর একটি গ্রন্থে লিখেছেন, ‘নীল নকশার রেখা অংকন শুরু হয়েছিল একাত্তরের পয়লা মার্চের আগেই সত্তরের ১৭ ডিসেম্বর গণভোট বা তারো অনেক আগে ঊনসত্তরের গণআন্দোলনের সময় থেকেই, কিংবা বাহান্নর ভাষা আন্দোলনের পরে। একাত্তরে তারা প্ল্যান করে যুদ্ধে নামে। যুদ্ধ তো নয়, কেবল নিরস্ত্র মানুষ নিধন। প্রথমে ওদের এলোপাতাড়ি মারা, তারপর শহরে, গ্রামে-গঞ্জে বেছে বেছে ধনী, ব্যবসায়ী, বুদ্ধিজীবী নিধন করে নদীতে খালে ফেলে দেয়া। অনেকে মনে করেন চরম বিপর্যয় আসন্ন, পরাজয় একেবারেই সন্নিকটে- তখনই তারা সেই পরিকল্পনা কার্যকর করে। তালিকাভুক্ত বুদ্ধিজীবীদের চোখ বেঁধে নিয়ে হত্যা করে। তারা স্বাধীন বাংলাদেশের ভবিষ্যৎকে এভাবেই অন্ধকার করার পাঁয়তারা করেছিল।’
দীর্ঘদিন পরে হলেও জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবী হত্যার বিচারহীনতার দায় থেকে বেরিয়ে এসেছে দেশ। সকল রক্তচক্ষু ও দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রের পরও সাহসিকতার সঙ্গে জাতিকে দেওয়া ওয়াদা রক্ষা করেছেন টানা তিনবারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল থেকে বুদ্ধিজীবী হত্যার দায়ে শীর্ষ প্রায় সকল ঘাতকের বিচারের রায় ঘোষিত হয়েছে। দেওয়া হয়েছে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদ-। ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রায়ও কার্যকর করা হয়েছে অনেকের।
শত চক্রান্তের বেড়াজাল ছিন্ন করে একাত্তরের শীর্ষ ঘাতক ও যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লা, মোহাম্মদ কামারুজ্জামান, আলী আহসান মুজাহিদ, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী, মতিউর রহমান নিজামী ও মীর কাসিম আলীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদ- কার্যকর করা হয়েছে। আমৃত্যু জেলের ঘানি টানতে টানতে কারাগারেই মারা গেছে রাজাকার শিরোমণি গোলাম আযম ও আবদুল আলীম। একাত্তরের ঘাতক আরও ২০ মৃত্যুদ-প্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী এখন কারাগারে মৃত্যুর প্রহর গুনছে। বুদ্ধিজীবী পরিবারগুলোর বিচার প্রাপ্তির স্বস্তি আর সবগুলো রায় কার্যকর করে দেশকে আরেকটি কলঙ্ক থেকে পরিপূর্ণ মুক্ত করার দাবি নিয়ে বছর ঘুরে আবার এসেছে বুদ্ধিজীবী দিবস।
১৯৭১ সালের ৯ মাস রক্তগঙ্গা পেরিয়ে গোটা জাতি যখন উদয়ের পথে দাঁড়িয়ে, পূর্ব দিগন্তে টগবগিয়ে বিজয়ের লাল সূর্য উদিত হচ্ছে, দেশ যখন স্বাধীনতার দ্বারপ্রান্তে- ঠিক তখনই বাঙালির কৃতী সন্তানদের নৃশংসভাবে হত্যা করে পরাজয়ের গ্লানিমাখা পাক হানাদার আর তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার, আলবদর, আলশামস ও শান্তি কমিটির সদস্যরা। বধ্যভূমিতে বড় অসহায় দশায় নিঃশেষে প্রাণ দেন আমাদের সেরা শিক্ষক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবীরা।
রণক্ষেত্রে বীর বাঙালির হাতে নাস্তানাবুদ হয়ে শেষে এ জাতিকে মেধাশূন্য করতে সুদূরপ্রসারী ঘৃণ্য নীলনকশা আঁকা হয়েছিল। ঘাতকরা চেয়েছিল জাতির মেরুদ- ভেঙে দিতে। শ্বাপদীয় জন্তুর মতো আঁধারে নেমেছিল দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞ। এ রাতেই তালিকা ধরে ঘর থেকে টেনেহিঁচড়ে বের করে নিয়ে যাওয়া হয় অজ্ঞাত স্থানে। হত্যা করে ফেলে রাখা হয় নিস্তব্ধ ভুতুড়ে অন্ধকারে। জাতি হারায় তার অসংখ্য মেধাবী সন্তানকে। পরদিন ঘুম থেকে জেগে প্রায় ছুঁই ছুঁই স্বাধীনতার আনন্দে উদ্বেল মানুষ জানতে পারেন এ নৃশংস হত্যাযজ্ঞের কথা। মুহূর্তে স্থবির হয়ে যায় সব আনন্দ-কোলাহল। অন্যদিকে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করে উল্লাসে ফেটে পড়ে এ দেশীয় নরঘাতকরা।
স্বাধীনতার ৫২ বছরের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে গোটা বাঙালি জাতি আজ গভীর কৃতজ্ঞতায় স্মরণ করবে দেশের শহীদ কৃতী সন্তানদের। শোকাহত মানুষের ঢল নামবে সেদিনের সেই হত্যাযজ্ঞের স্মৃতিবিজড়িত রায়েরবাজারে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ, মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থান আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মৃতিস্তম্ভে। সেখানে অর্পণ করা হবে পুষ্পার্ঘ্য। শোকে আপ্লুত বাঙালি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে প্রয়াত বুদ্ধিজীবীদের। বেদিমূল ঘিরে থাকবে তাদের পরিবারের সদস্য, ভক্ত-শুভানুধ্যায়ীদের চাপা কান্না ও অশ্রুতে ভিজে উঠবে স্বজনের আনা ভালোবাসার অর্ঘ্য। দেশের সর্বত্র জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। শোকের প্রতীক কালো পতাকাও উড়বে।
ফ্লাশব্যাক ১৪ ডিসেম্বর ॥ ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর। মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয় যখন অবশ্যম্ভাবী, তখন নিশ্চিত পরাজয়ের মুখে মরিয়া পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের আজ্ঞাবহ দেশদ্রোহী প্রতিক্রিয়াশীল ধর্মান্ধ ঘাতক রাজাকার, আলবদর, আলশামস গোষ্ঠীর লোলুপ হিংস্র হায়েনারা উন্মত্ত মৃত্যুকামড় দিয়েছিল এদিন। সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রে রাতের আঁধারে কাপুরুষের মতো জল্লাদরা হত্যা করেছিল দেশমাতৃকার শ্রেষ্ঠ কৃতী সন্তানদের। কুচক্রী ঘাতকগোষ্ঠীর হীন লক্ষ্য ছিল, লড়াকু বাঙালি জাতি স্বাধীনতা অর্জন করলেও যেন বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে পঙ্গু, দুর্বল ও দিক-নির্দেশনাহীন হয়ে থাকে। দেশটির স্বাধীনতা আটকানো না গেলেও শিশুরাষ্ট্রটি জ্বরা আর অপুষ্টিতে মুখ থুবড়ে মারা পড়বে। সেই টার্গেট থেকেই হায়েনারা বুদ্ধিজীবী হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠেছিল এদিন।
পৃথিবীর অনেক জাতি যুদ্ধ করে, অনেক জীবন ও রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছে; কিন্তু এত প্রাণক্ষয় কোনো জাতির ভাগ্যে ঘটেনি। শুধু তাই নয়, জাতির বিবেক বলে পরিচিত বুদ্ধিজীবীদের এমন নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনাও ইতিহাসে বিরল। বাঙালি জাতির মুক্তি সংগ্রামে এসব বুদ্ধিজীবী নিজেদের মেধা, মনন ও লেখনীর মাধ্যমে স্বাধীনতার সংগঠকদের প্রেরণা জুগিয়েছেন। পথ দেখিয়েছেন মুক্তির। উদ্দীপ্ত করেছেন অধিকার আদায়ে। আর সেটিই কাল হয়ে দাঁড়াল তাঁদের জন্য। পুরো সপ্তাহজুড়ে এ দেশীয় নরঘাতকদের করা তালিকায় একে একে উঠে এলো অসংখ্য বুদ্ধিদীপ্ত সাহসী মানুষের নাম।
স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম কিছুতেই সহ্য হচ্ছিল না স্বাধীনতাবিরোধী কুলাঙ্গার চক্রের। তাই ইতিহাসের সবচেয়ে জঘন্য নৃশংস হত্যাযজ্ঞের গোপন ফন্দি আঁটে এরা। কৃতী বৃদ্ধিজীবীদের তালিকা তুলে দেয় তৎকালীন জামায়াতে ইসলামীর সশস্ত্র ক্যাডার গ্রুপ কুখ্যাত আলবদর ও আলশামস বাহিনীর হাতে। পেছন থেকে পূর্ব পাকিস্তানের দায়িত্বে থাকা পাক জেনারেল জল্লাদ রাও ফরমান আলী। ডিসেম্বরের ১০ থেকে ১৪ তারিখ পর্যন্ত সে তালিকা ধরে বৃদ্ধিজীবী হত্যার ঘৃণ্যতম অপকর্মটি করে এই ঘাতক চক্র।
সান্ধ্য আইনের মধ্যে রাতের আঁধারে তালিকাভুক্ত বুদ্ধিজীবীদের বাসা থেকে চোখ বেঁধে রায়েরবাজার এবং মিরপুর বধ্যভূমিতে নিয়ে গুলি করে ও বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। বিজয় অর্জনের পর স্বাধীন বাংলাদেশে রায়েরবাজার, মিরপুরসহ কয়েক জায়গায় পাওয়া যায় শহীদ বুদ্ধিজীবীদের ক্ষতবিক্ষত বিকৃত লাশ।
একাত্তর সালের আলবদর বাহিনীকে তুলনা করা যায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির হিটলারের ফ্যাসিস্ট নাৎসি বাহিনীর গোস্টাপো বা এসএস ফোর্সের সঙ্গে, যাদের কাজ ছিল ইহুদি বুদ্ধিজীবী হত্যা। বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ শুরু করেছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সাহিত্যিক-সাংবাদিক হত্যার মধ্য দিয়ে। আবার মুক্তিযুদ্ধ শেষও হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং দেশের প্রধান সাহিত্যিক, সাংবাদিক, বৈজ্ঞানিক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, অধ্যাপকদের নৃশংস হত্যাকা-ের মধ্য দিয়ে।
একাত্তরের ডিসেম্বরে হত্যাযজ্ঞের শিকার শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রকৃত সংখ্যা এখনো নিরূপণ করা হয়নি। তবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের তালিকা তৈরির অংশ হিসেবে প্রাথমিকভাবে এক হাজার ২২২ জনের একটি তালিকা অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এঁদের মধ্যে রয়েছেন- ড. জি সি দেব, অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী, অধ্যাপক জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা, অধ্যাপক সন্তোষ চন্দ্র ভট্টাচার্য, ড. মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, অধ্যাপক মুনীরুজ্জামান, অধ্যাপক আনোয়ার পাশা, অধ্যাপক গিয়াসউদ্দিন আহমেদ, ডা. ফজলে রাব্বী, ডা. আলীম চৌধুরী, ড. গোলাম মোর্তজা, ড. মোহাম্মদ শফি, শহীদুল্লাহ কায়সার, সিরাজউদ্দিন হোসেন, নিজামুদ্দিন আহমেদ, এস এ মান্নান (লাডু ভাই), খন্দকার আবু তালেব, আ ন ম গোলাম মোস্তফা, জহিরুল ইসলাম, শহীদ সাবের, সৈয়দ নাজমুল হক, আলতাফ মাহমুদ, নতুন চন্দ্র সিংহ, আর পি সাহা, আবুল খায়ের, রশীদুল হাসান, সিরাজুল হক খান, আবুল বাশার, ড. মুক্তাদির, ফজলুল মাহি, ড. সাদেক, ড. আমিনুদ্দিন, সায়ীদুল হাসান, হাবিবুর রহমান, মেহেরুন্নেসা, সেলিনা পারভীনসহ আরও অনেকে।
যথাযোগ্য মর্যাদায় শোকের আবহে আজ বৃহস্পতিবার সারাদেশে পালিত হবে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। এ উপলক্ষে রায়ের বাজার বধ্যভূমি ও মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী গোরস্তান এলাকায় নেওয়া হয়েছে নিñিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা। দিবসটি উপলক্ষে জাতীয়ভাবেও বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণীতে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেছেন শহীদ বুদ্ধিজীবীসহ দেশমাতৃকার জন্য আত্মোৎসর্গকারী শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের।
জাতীয় কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- আজ সকাল ৭টা ৫ মিনিটে রাষ্ট্রপতি এবং ৭টা ৬ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর নেতৃত্বে শহীদ বুদ্ধিজীবী পরিবারের সদস্যবৃন্দ এবং যুদ্ধাহত ও উপস্থিত বীর মুক্তিযোদ্ধারা সকাল ৭টা ২২ মিনিটে মিরপুর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে এবং সকাল সাড়ে ৮টায় রায়ের বাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এ ছাড়া সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সর্বস্তরের জনগণ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।
দিবসটি উপলক্ষে আজ সংবাদপত্রসমূহে বিশেষ নিবন্ধ ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে। দেশের সকল জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ অন্যান্য বেসরকারি টিভি চ্যানেল দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করবে। দিবসটি উপলক্ষে সকল মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা করা হবে।
আওয়ামী লীগের কর্মসূচির মধ্যে আজ শ্রদ্ধা নিবেদন ছাড়াও বিকেল তিনটায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আলোচনা সভার আয়োজন করেছে। এতে সভাপতিত্ব করবেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।