
বিশ্বখ্যাত পপ তারকা শাকিরা সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসীদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান ভয় ও অনিশ্চয়তা নিয়ে মুখ খুলেছেন, যা ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের অধীনে আরও প্রকট হয়েছে। তিনি নিজেও একজন অভিবাসী। এই গায়িকা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসীরা বেঁচে থাকে নিরন্তর ভয়ের মধ্যে যা অত্যন্ত বেদনাদায়ক।
শাকিরা তার কৈশরে কলম্বিয়া থেকে যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামিতে থিতু হয়ে বসবাস শুরু করেছিলেন। এই কারণে অভিবাসীদের প্রতি সব সময়ই তার পাল্লা ভারি দেখা যায়। চলতি বছরের শুরুতে সংগীতের মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার গ্র্যামি শাকিরা উৎসর্গ করেন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত অভিবাসীদের। ওই অনুষ্ঠানে তিনি প্রকাশ্যে অঙ্গীকার করেছিলেন সব পরিস্থিতিতে তিনি অভিবাসীদের পক্ষে থাকবেন।
শাকিরা স্মরণ করেন, "আমি তখন মাত্র ১৯ বছর বয়সে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলাম, অনেক কলম্বিয়ান অভিবাসীর মতো যারা একটি ভালো ভবিষ্যতের আশায় এই দেশে আসে।" তিনি আরও বলেন, ইংরেজি শেখা ও গান লেখার কৌশল রপ্ত করতে তিনি লিওনার্ড কোহেন, ওয়াল্ট হুইটম্যান এবং বব ডিলানের কবিতার ওপর ভরসা করেছিলেন।
ট্রাম্পের হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার পর থেকে অভিবাসন আইন কার্যকরে তার প্রশাসন আরও কঠোর অবস্থান নিয়েছে, যার ফলে অভিবাসী সম্প্রদায়গুলোর মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে। লস অ্যাঞ্জেলেসসহ বিভিন্ন শহরে আইস (ICE) কর্তৃক পরিচালিত তল্লাশি ও বেআইনি আটক করার অভিযোগে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে, যা জাতীয় পর্যায়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।
লাতিন ঐতিহ্যে গর্বিত শাকিরা এই বিভাজনের সময়ে ঐক্যের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, "এখন, আগের চেয়ে আরও বেশি, আমাদের একসাথে থাকতে হবে। এখন, আগের চেয়ে আরও বেশি, আমাদের কণ্ঠ তুলে বলতে হবে—একটি দেশ তার অভিবাসন নীতিতে পরিবর্তন আনতে পারে, কিন্তু সকল মানুষের প্রতি আচরণ সবসময় মানবিক হতে হবে।"
শাকিরা বর্তমানে কনসার্ট ট্যুরে আছেন। ট্যুরটি তিনি শুরু করেন চলতি বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরো থেকে। এখন পর্যন্ত এই সফরে তিনি বোস্টন, টরন্টো, মায়ামি, ডেট্রয়েট, হিউস্টন, সান দিয়েগোর মত গুরুত্বপূর্ণ শহরে পারফর্ম করেছেন। সফরের উত্তর আমেরিকা পর্ব শেষ হবে আগামী ৩০ জুন, সান ফ্রান্সিসকো দিয়ে।
সানজানা