
ছবিঃ সংগৃহীত
আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার দুর্ঘটনায় প্রায় আড়াই শতাধিক যাত্রীর প্রাণহানির পর বাংলাদেশেও এ নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। কারণ, রাষ্ট্রীয় উড়োজাহাজ সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরেও রয়েছে ছয়টি বোয়িং ৭৮৭ উড়োজাহাজ—এর মধ্যে চারটি বোয়িং ৭৮৭-৮ এবং বাকি দুটি ৭৮৭-৯ মডেলের।
ভারতের দুর্ঘটনার পেছনে রক্ষণাবেক্ষণের ঘাটতিকে অন্যতম কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে বিমান বাংলাদেশ দাবি করছে, তাদের এয়ারক্র্যাফটগুলো সর্বোচ্চ পর্যায়ের রক্ষণাবেক্ষণ এবং নিরবিচ্ছিন্ন পর্যবেক্ষণের মধ্যে থাকে। প্রতিটি বিমানের ইঞ্জিনসহ গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশের অবস্থা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখা হয় এবং যেকোনো ত্রুটি ধরা পড়লেই সঙ্গে সঙ্গে কেন্দ্রীয় প্রকৌশল শাখায় তা নোটিফাই হয়।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক রওশন কবীর বলেন, “আমাদের প্রতিটি উড়োজাহাজ সব সময় ঘনিষ্ঠ পর্যবেক্ষণের আওতায় থাকে। ঢাকা থেকে সিলেট কিংবা আন্তর্জাতিক গন্তব্য—প্রতিবার ফ্লাইটের আগে বাধ্যতামূলকভাবে সবকিছু পরীক্ষা করা হয়। চেকিং ছাড়া কোনো উড়োজাহাজ উড্ডয়ন করতে পারে না।”
বর্তমানে ইউরোপ, কানাডা, মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন রুটে বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার ব্যবহার করে ফ্লাইট পরিচালনা করছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। দুর্ঘটনার পর নিরাপত্তা আরও জোরদারে কর্তৃপক্ষ বাড়তি সতর্কতা গ্রহণ করছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
মুমু