ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল এবং ইরানের মধ্যকার পারমাণবিক উত্তেজনা বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। সম্প্রতি ইরান ৬০ শতাংশ পর্যন্ত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করেছে—যা ৯০ শতাংশের কাছাকাছি, অর্থাৎ অস্ত্র তৈরি উপযোগী মাত্রার কাছাকাছি পৌঁছে গেছে।
তবে ইরান বরাবরই দাবি করে এসেছে—তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি শুধুমাত্র শান্তিপূর্ণ কাজে ব্যবহৃত হবে। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোও জানায়, তেহরান এই মুহূর্তে সরাসরি পারমাণবিক বোমা তৈরির চেষ্টা করছে না।
বিশ্বের পারমাণবিক শক্তিধর দেশগুলোর অস্ত্র সংখ্যা (২০২৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত):
- রাশিয়া: ৪,৩০৯টি
- যুক্তরাষ্ট্র: ৩,৭০০টি
- চীন: ৬০০টি
- ফ্রান্স: ২৯০টি
- যুক্তরাজ্য: ২২৫টি
- ভারত: ১৮০টি
- পাকিস্তান: ১৭০টি
- ইসরায়েল: ৯০টি (স্বীকার করেনি, তবে ধারণা করা হয়)
- উত্তর কোরিয়া: ৫০টি
ইসরায়েল আনুষ্ঠানিকভাবে কখনো স্বীকার করেনি যে তাদের পারমাণবিক অস্ত্র আছে, তবে আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপকভাবে বিশ্বাস করা হয় যে দেশটির নিজস্ব গোপন পারমাণবিক কর্মসূচি রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য হলো পরমাণু অস্ত্রধারী প্রথম পাঁচটি রাষ্ট্র যারা NPT (Nuclear Non-Proliferation Treaty)-তে স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তি অনুযায়ী, নতুন করে কোনো দেশ পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে পারবে না এবং যাদের আছে তারা ধীরে ধীরে নিরস্ত্রীকরণের জন্য কাজ করবে।
তবে ভারত, পাকিস্তান ও ইসরায়েল এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেনি। আর উত্তর কোরিয়া ২০০৩ সালে এই চুক্তি থেকে বের হয়ে আসে।
বর্তমানে বিশ্ববাসীর দৃষ্টি মধ্যপ্রাচ্যে। ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ, ইসরায়েলের গোপন অস্ত্রভাণ্ডার এবং যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর অবস্থানের কারণে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে।
মুমু ২
