
ছবি: সংগৃহীত
মাত্র ৬০ সেকেন্ডে ঘটে যায় সবকিছু। এমন অপারেশনে নিহত হন মোহসেন ফখরিজাদেহ—যিনি ছিলেন ইরানের পরমাণু কর্মসূচির প্রধান স্থপতি এবং পশ্চিমাদের মতে, গোপন পারমাণবিক বোমা প্রকল্প ‘প্রজেক্ট আমাদ’-এর মস্তিষ্ক।
২০২০ সালের ২৭ নভেম্বর বিকেলে স্ত্রী ও দেহরক্ষীদের সঙ্গে তেহরানের পূর্বাঞ্চলীয় আবসার্দ শহরের দিকে যাচ্ছিলেন তিনি। সেই সময় রাস্তার পাশে পার্ক করে রাখা একটি ট্রাকের ভেতর থেকে চালানো হয় দূরনিয়ন্ত্রিত মেশিনগান, যা ছিল মুখ চিনে (Facial recognition AI) গুলি ছুঁড়তে সক্ষম। অস্ত্রটি স্যাটেলাইটের মাধ্যমে পরিচালিত হয় বিদেশ থেকে, সন্দেহ করা হয় ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সংশ্লিষ্টতা।
ফখরিজাদেহর গাড়ির গায়ে প্রথমে গুলি লাগে, তারপর গাড়ি থেমে গেলে গুলি তাঁর কাঁধে এবং পরে মেরুদণ্ডে বিঁধে। তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। আশ্চর্যজনকভাবে তাঁর স্ত্রী এবং দেহরক্ষীরা ছিলেন সম্পূর্ণ অক্ষত।
সর্বমোট ১৫টি গুলি ছোঁড়া হয়। পুরো হামলা চলে মাত্র এক মিনিট। অস্ত্রচালক বা খুনি কেউই ছিল না সেখানে, ছিল শুধু পার্ক করা একটি ট্রাক এবং এক নিখুঁত মারণপ্রযুক্তি।
এই হত্যাকাণ্ডকে ইরান বলছিল ‘রোবট স্নাইপার দ্বারা পরিচালিত প্রথম আন্তর্জাতিক গুপ্তহত্যা’। ঘটনাটি তখন মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনীতিতে উত্তাপ বাড়িয়েছিল বহুগুণ।
সূত্র: এনডিটিভি।
রাকিব