
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে “মুছে ফেলা” বা হত্যা করাই এখন তাদের যুদ্ধকৌশলের অন্যতম লক্ষ্য। বেয়ারশেভায় ইরানি হামলায় সোরোকা মেডিকেল সেন্টার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর তিনি এই মন্তব্য করেন।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) বীরসেবার সোরোকা মেডিকেল সেন্টারে যান এই দখলদার। যেটি ইরানের মিসাইল হামলায় কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী দাবি করেছেন, খামেনি এই হাসপাতালে হামলার নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া তিনি ইসরায়েলকে ধ্বংস করার ঘোষণা দিয়েছেন। এ কারণে তাকে এখন তারা হত্যা করবেন।
ইসরায়েল কাৎজ বলেন, “নিজের এজেন্ট দ্বারা খামেনি সবসময় ইসরায়েলকে ধ্বংস করতে চেয়েছেন। এই ব্যক্তি, যিনি আমাদের ওপর হামলা চালাতে ইচ্ছুক, তার বেঁচে থাকা উচিত নয়। খামেনিকে হত্যা করা এই যুদ্ধের অন্যতম অংশ।”
তিনি আরও বলেন, “এখন আমরা বুঝতে পারছি, ইসরায়েল ধ্বংসের যেসব কথা তিনি অতীতে বলতেন, তা কতটা বাস্তব হুমকি ছিল।”
এছাড়া, ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই তেহরানে সরকার পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়ে আসছে নেতানিয়াহুর প্রশাসন। শুক্রবার ইরানে ইসরায়েলি বিমান হামলার পর এক ইংরেজি ভিডিও বার্তায় নেতানিয়াহু ইরানিদের উদ্দেশে বলেন, “আমি আশা করি এই সামরিক অভিযান আপনাদের স্বাধীনতা অর্জনের পথ প্রশস্ত করবে।”
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মঙ্গলবার এক সামাজিকমাধ্যম পোস্টে খামেনির প্রসঙ্গে জানান, তারা জানেন আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি কোথায় আছেন। তবে এ মুহূর্তে তারা খামেনিকে হত্যার চেষ্টা চালাবেন না। তবে ট্রাম্প ওই সময় উল্লেখ করেন, তাদের ধৈয্য কমে আসছে।
সানজানা