উত্তরায় র্যাব ছদ্মবেশে সংঘটিত কোটি টাকার নাটকীয় ডাকাতির রহস্য উদ্ঘাটন করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। অভিযানে গ্রেপ্তার হয়েছে পাঁচজন, যাদের মধ্যে রয়েছেন একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা সার্জেন্ট ও একজন চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্য। উদ্ধার করা হয়েছে ডাকাতিতে ব্যবহৃত হাইয়েস মাইক্রোবাস, জাল র্যাব-পুলিশের পোশাক ও পরিচয়পত্র এবং নগদ প্রায় ৩৫ লাখ টাকা।
গত ১৪ জুন সকালে নগদ কোম্পানির ১ কোটি ৮ লাখ ১১ হাজার টাকা নিয়ে উত্তরা অফিসমুখী একদল কর্মচারীর ওপর হামলা চালায় ছদ্মবেশী ডাকাতদল। ১২ ও ১৩ নম্বর সড়কের মোড়ে হাইয়েস মাইক্রোবাস থেকে নামা ৬–৭ জন অস্ত্রধারী নিজেদের র্যাব পরিচয় দিয়ে টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। তারা তিনজন কর্মচারীর চোখ-মুখ বেঁধে গাড়িতে তুলে তুরাগ থানার বৃন্দাবন এলাকায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
ডিবি উত্তরা বিভাগ ও উত্তরা পশ্চিম থানার যৌথ অভিযানে প্রথমে ধরা পড়ে হাইয়েস চালক মো. হাসান। তাঁর দেওয়া তথ্যে উদ্ধার হয় গাড়িটি ও জাল নাম্বারপ্লেট। এরপর একে একে ধরা পড়ে এই ডাকাত চক্রের মূলহোতা—সাবেক সেনা সার্জেন্ট শেখ মো. জালাল উদ্দিন ওরফে ‘ক্যাপ্টেন জালাল’, চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্য গোলাম মোস্তফা ওরফে শাহিন, ইমদাদুল শরীফ এবং সাইফুল ইসলাম ওরফে শিপন।
তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় নগদ টাকা, র্যাব-পুলিশের জাল পোশাক, আইডি কার্ড, চেকবই, লাঠি ও সেনাবাহিনীর লোগোযুক্ত মানিব্যাগ। পুলিশ জানায়, চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে সংঘবদ্ধভাবে ডাকাতি করে আসছিল। তারা নিজেদের ‘স্যার’ ও ‘ক্যাপ্টেন’ পরিচয় দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে অপারেশন চালাত।
গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে মামলার প্রক্রিয়া চলছে। পলাতকদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে ডিবি।
সজিব
