ম্যানসিটির শুভসূচনা, রিয়ালের হোঁচট

ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মরক্কোর ক্লাব ওয়াইদাদ এসিকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে পাঁচ মাস গোলের দেখা পেলেন ফিল ফোডেন। দলের জয়ে তৃপ্ত ম্যানচেস্টার সিটি তারকা বললেন, নিজের ভেতর আবার ক্ষুধা অনুভব করছেন তিনি, ভুল প্রমাণ করতে চান সংশয়বাদীদের। এদিকে আল-হিলালের বিপক্ষে ম্যাচের শেষের অংশে ফেদেরিকো ভালভার্দে পেনাল্টি মিস করায় হতাশায় মাঠ ছাড়ে রিয়াল মাদ্রিদ। বিপরীতে নায়ক হয়েছেন আল-হিলালের গোলরক্ষক ইয়াসিন বোনো। ম্যাচ শেষ হয়েছে ১-১ সমতায়।
বুধবার ওয়াইদাদের বিপক্ষে ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে দ্বিতীয় মিনিটেই গোল করেন ফোডেন। ম্যাচের ৪২তম মিনিটে দলের দ্বিতীয় গোলটি করেন জেরেমি ডোকু। ফোডেন গত জানুয়ারির পর এটি তার প্রথম গোলের স্বাদ। ক্লাব ও দেশের হয়ে গোলের দেখা পেলেন ২০ ম্যাচ পর! ২০২৩-২৪ মৌসুমে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স ছিল তার। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের সেরা ফুটবলারের স্বীকৃতিও পেয়েছিলেন সেবার। কিন্তু এই মৌসুমটা তার কেটেছে ভুলে যাওয়ার মতো। অ্যাঙ্কেলের চোটে মাঠের বাইরে ছিলেন লম্বা সময়। যখন খেলেছেন, মাঠে তাকে মনে হয়েছে ক্লান্ত ও অবসন্ন।
ম্যাচ শেষে ফোডেন বলেন, ‘আমার ভেতরের ক্ষুধা আবার ফিরে এসেছে এবং মানুষকে ভুল প্রমাণ করতে চাই আমি। গোল পেয়ে এবং সুযোগ তৈরি করতে পেরে অবশ্যই খুব ভালো লাগছে। মিথ্যা বলব না, মৌসুমটা খুব কঠিন ছিল। সেরা মৌসুম ছিল না। এরপর কিছুটা বিরতি পেয়েছি, বিশ্রাম মিলেছে। এখন সামনের মৌসুমের জন্য মুখিয়ে আছি।’
অ্যান্ডোরা ও সেনেগালের বিপক্ষে ম্যাচে জাতীয় দলের স্কোয়াড থেকে ছাড় পেয়ে কৃতজ্ঞতা জানালেন ২৫ বছর বয়সী মিডফিল্ডার। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এই যুগে খুব বেশি ফুটবলার এমন বিরতি পায় না। আমার জন্য এটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ¯্রফে বিশ্রাম নিয়েছি, পরিবারের সঙ্গে সময় কাটিয়েছি এবং নিজের কাজ করেছি। চনমনে হয়ে উঠতে এসব জরুরি ছিল আমার জন্য।’
এদিকে রিয়াল মাদ্রিদের ক্লাব বিশ্বকাপ এবং নতুন কোচ জাবি আলোনসোর শুরুটা হলো নড়বড়ে। ২০১৫ সালে রাফায়েল বেনিতেজের পর এবারই প্রথম কোনো রিয়াল কোচ নিজের প্রথম ম্যাচে ড্র করলেন। ফ্লোরিডার মায়ামি গার্ডেন্সে ম্যাচের দুটি গোলই হয়েছে প্রথমার্ধে। গন্সালো গার্সিয়া ৩৩ মিনিটে রিয়াল মাদ্রিদকে এগিয়ে দেন। ৪১তম মিনিটে স্পটকিক থেকে সমতা আনেন রুবেন নেভেস। 
শুরুটা অবশ্য ছিল একান্তই আল-হিলালের। প্রথম ১০ মিনিটেই রিয়ালের গোলমুখে ৫টি শট রেখেছিল তারা। ১৯তম মিনিটে গোলই করে বসে সৌদি ক্লাবটি। যদিও রেনান লোদি অফসাইডে থাকায় গোলবঞ্চিত হয় আল-হিলাল। চাপের মধ্যে থেকেই কুলিং ব্রেকে যায় রিয়াল। আর সেটাই তাদের ম্যাচে ফিরে আসার জন্য সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে। 
প্রথমার্ধের ৪০তম মিনিটে ডি-বক্সে আল-হিলালের লিওনার্দোকে ফাউল করে বসেন রাউল আসেন্সিও। সফল স্পট কিকে ব্যবধান ১-১ করেন নেভেস। বিরতির পর প্রথম মিনিটেই গোল পেতে পারতেন আর্দা গুলের। তবে তার শট ক্রসবারে বাধা পায়। পরক্ষণেই গন্সালো গার্সিয়ার কাছ থেকে হেড গোললাইনে ঠেকিয়ে দেন ইয়াসিন বোনো।
ম্যাচের শেষ দিকে ৮৭তম মিনিটে আল হিলালের ডি-বক্সে ফ্রান গার্সিয়া ফাউলের শিকার হলে ভিএআর চেক করে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন রেফারি। পেনাল্টি নিতে আসেন ভালভের্দে। তার দুর্বল শট ঝাঁপিয়ে আটকে দেন বোনো।
এই ম্যাচ দিয়েই আল-হিলালে যাত্রা শুরু করলেন ইন্টার মিলানের সাবেক কোচ সিমোনে ইনজাঘি। চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল হারের পর পরই ইন্টার মিলানের কোচের দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছিলেন ইতালিয়ান এই কোচ। জাবি আলোনসোর সাপেক্ষে এই ফল বেশ হতাশার হলেও নিজেকে পাস মার্ক দিতেই পারেন ইনজাঘি।